ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এ নীল ট্যাবলেটটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভায়াগ্রার সন্ধান দিয়েছেন। এ নিরীহ প্রাকৃতিক জিনিসটি আর কিছু নয়, আমাদের অতি পরিচিত তরমুজ। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর তরমুজ।
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনি-ভার্সিটির গবেষক বিনু পাতিল মিডিয়াকে জানান, নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির দিক থেকে অক্ষম বা দুর্বল, তাদের সক্ষমতার জন্য তরমুজই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। অর্থাৎ তাদের এখন থেকে আর ভায়াগ্রার পেছনে টাকা না ফেলে তরমুজ বন্দনায় মেতে উঠলেই চলবে। বিনু পাতিল তার সহকর্মীদের নিয়ে গবেষণার পর বিস্ময়করভাবে দেখতে পান, একটি তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিডের পরিমাণ এত বেশি, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সিট্রোলিন সাধারণত ফলের অখাদ্য অংশেই বেশি থাকে। বিনু পাতিল বলেন, তরমুজে সিট্রোলিন আছে, এটা আমাদের জানা কথা।
কিন্তু এটা জানতাম না, সিট্রোলিনের পরিমাণ তাতে এত বেশি থাকতে পারে। গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, মানবদেহ সিট্রোলিনকে আর-জিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো এসিড, যা নাইট্রিক এসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক এসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণের কারণেই মানুষের বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়।
আর ভায়াগ্রাও দেহের নাইট্রিক এসিডকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। গবেষক বিনু পাতিল আশা করছেন, তরমুজের ভায়াগ্রা-গুণটি নিয়ে বিশ্বের গবেষকরা এগিয়ে আসবেন। তবে তার এ গবেষণার ফলকে সবাই এক বাক্যে এখনো মেনে নেননি। 'দি জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন'-এর প্রধান সম্পাদক ইরউয়িন গোল্ডস্টেইন বলেন, বিশেষ অঙ্গের উত্তেজনার জন্য অবশ্যই নাইট্রিক এসিড দরকার। কিন্তু বেশি করে তরমুজ খেলেই তা প্রাকৃতিকভাবেই একই কাজটি করে দেবে, এটা এখনো প্রমাণিত নয়।
অবশ্য বিনু পাতিল এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি করতে একজন অক্ষম লোককে ঠিক কত পরিমাণ তরমুজ গিলতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।