মোহাম্মদ আবুল হোসেন: ভায়াগ্রার চেয়ে অধিক মাত্রায় যৌন উত্তেজক হিসেবে কাজ করে শূকরের মাংস। আর এ কথা বলেছেন যে সে নয়। এমন মনত্মব্য করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নাদেজ। তিনি বলেছেন, ব্যক্তি জীবনে তিনি এর প্রমাণ পেয়েছেন। তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট নেস্টর কিরচনার শূকরের মাংসের কাবাব খেয়ে তার কার্যকারিতা প্রমাণ পেয়েছেন।
অরলাইন চায়না ডেইলি এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার শূকর সংশিস্নষ্ট শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন ক্রিস্টিন। এমনিতেই আর্জেন্টিনার মানুষ গরম্নর মাংস খুব পছন্দ করে। তাদের সামনে প্রেসিডেন্ট যখন যৌন জীবনের সঙ্গে শূকরের মাংস মিলিয়ে এমন বক্তব্য দেন তখন উপস্থিতদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ বলেন, আমি জানতাম না শূকরের মাংস যৌন জীবনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।
কিন্তু আমার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট নেস্টার কিরচনারের সঙ্গে শূকরের কিছু মাংস খেয়ে তার প্রমাণ পেয়েছেন। এর পর তিনি আর্জেন্টাইনদের খাবারের তালিকায় বেশি বেশি করে শূকরের মাংস রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু তার কথায় কতটুকু কাজ হবে তা বলা কঠিন। কারণ আর্জেন্টিনার মানুষ গরম্নর মাংসকে বেশি পছন্দ করায় তারা তার পরিবর্তে বরাবরই মুরগির মাংস, শূকরের মাংস বা অন্য কোন মাংস খেতে চায় না। আর্জেন্টিনা দড়্গিণ আমেরিকার সর্বদড়্গিণের একটি দেশ।
বলা যায়, তা আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে। সেখানে প্রচুর সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের খাবার টেবিলে সে সব মাছ পাওয়া যায় না বললেই চলে। এ অবস্থায় সেখানে শূকরের যেসব ফার্ম গড়ে উঠেছে তাতে মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ভর্তুকি দিচ্ছেন। এছাড়া তিনি সমপ্রতি গরম্নর মাংসেও ভর্তুকি দিয়েছেন।
যৌন জীবন এবং শূকরের মাংস নিয়ে তিনি যে মনত্মব্য করেছেন তা সমর্থন করেছেন শূকরের মাংস উৎপাদনকারী সমিতির প্রধান হুয়ান লুইস উসেলি। তিনি বলেছেন, আর্জেন্টিনার মানুষ শূকরের মাংস খায় না। এ মাংস খায় ডেনমার্ক এবং জাপানের মানুষ। সেজন্য ওই দেশের মানুষ আর্জেন্টাইনদের চেয়ে যৌনজীবনে বেশি সুখী। রেডিও মিট্রিতে তিনি বলেন, জাপানের ওসাকায় একটি গ্রাম আছে।
সেখানকার ১০৫ বছর বয়সী মানুষও শূকরের মাংস খান। এর ফলে শতবর্ষী হয়েও তারা যৌনজীবন উপভোগ করেন। তবে লা নাসিওয়ন নামের একটি পত্রিকার ওয়েবসাইটকে যৌন অভিজ্ঞ আমাদো বেছারা বলেছেন, শূকরের মাংস যৌন জীবনের উন্নতি ঘটায় এমন কোন পরীড়্গিত প্রমাণ বা জরিপ নেই।
দৈনিক মানবজমিনে ৩রা ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।