------ আজ সারাদিন কেটেছে জগন্নাথ হলের খেলার মাঠের পাশের বধ্যূভূমিতে। যেখানে পাক-হানাদার বাহিনী একাত্তুরে চালিয়েছিল নৃশংস হত্যাকান্ড।
আর সেখানে জন্ম হয়েছিল একটি নতুন কবিতারও। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখছিলেন একটি অসাধারন কবিতা "জগন্নাথ হল: সাতাশে মার্চ একাত্তর
"।
বধ্যূভূমির পাশেই আজ কবির কন্ঠে রেকর্ডিং হলো সেই সময়ের কথা গুলো।
ভিডিও ফুটেজ ও ছবি গুলো ধারন করেছে আমার ভাগ্নে "ইমতিয়াজ-উল-হক (অর্ণব)। বাংলাদেশী স্যাটেলাইট টিভি "চ্যানেল নাইন-এ" ২৫মার্চ ২০১২ বিকেল সাড়ে পাচটায় এই অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে। কবিতার কিঞ্চিত অংশ এখানে তুলে ধরছি।
জগন্নাথ হল: সাতাশে মার্চ একাত্তর
মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য কার্ফ্যু তুলে দেয়া হলো,
দেড় দিন দেড় রাত্রি গৃহবন্দী থেকে আমরা দু'জন
নগরীর রুপ দেখতে বাইরে বেরুলাম।
আজিমপুর মোড়ে বেয়নেটবিদ্ধ এক তরুনের লাশ
স্বাগত জানালো আমাদের।
তারপর বৃদ্ধ একজন।
অগ্নিদগ্ধ মর্টার বিদ্ধস্ত এই প্রাচ্য নগরীকে
মনে হলো প্রান স্পন্দনহীন এক মৃত প্রেতপুরী।
অপসৃত অদম্য প্রানের গর্ব, ডানে বাঁয়ে
সর্বএ মৃত্যুর হাতছানি। যুবতী কন্যাকে নিয়ে
পালাচ্ছেন পিতা, মা'র কোলে দুগ্ধপোষ্য শিশু।
প্রিয়জনের খোঁজে উদ্বিগ্ন মানুষ ছুটছে সতর্ক,
যেমন সন্ত্রাসবিদ্ধ বনের হরিন ক্ষিপ্ত নেকড়ের তাড়া খেয়ে ছুটে.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।