দিনের বেশিরভাগ সময় বসে কাটালে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এছাড়া ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো রোগগুলো আক্রমণ করতে পারে। এমনকি কোলেস্টরলও বেড়ে যেতে পারে।
তাই বাসার টিভির সামনে কিংবা অফিসে বা বাসায় কম্পিউটারের সামনে কতক্ষণ বসে আছেন তা হিসেব রাখুন। বার বার উঠুন তবে কাজের ক্ষতি করে নয়।
মাঝে মাঝে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করতে পারেন।
রচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকের ডাক্তার মিন এই বিষয়টিকে ‘সিটিং ডিজিজ’ বলে অখ্যায়িত করেছেন।
অলসতার মন্দ প্রভাব হিসেবে ধুমপানের সঙ্গে এর তুলনা করেছেন। তারা মনে করছেন দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা আর ধূমপান শরীরের জন্য একই রকম ক্ষতির বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। তবে এ বিষয়টির আরো তথ্য প্রমাণ পেতে এখনও গবেষণা চলছে বলে গবেষকরা জানান।
জেমস লেভিন নামের এক ডাক্তার মিনিএপলিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। গবেষণার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি সেই প্রতিষ্ঠানে থাকা ৩০টি ডেস্ক সরিয়ে দেন যেন তারা হেঁটে হেঁটে সহজে কাজ করতে পারেন।
লেভিন ব্যক্তিগতভাবে নিজেও যখন কাজ করেন তখন ট্রেডমিলে দৌড়ে কাজ করেন। তার এই গবেষণা ছাড়াও বিশ্বব্যাপী এই ধরনের আরো গবেষণা চলছে।
লেভিন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াও হাড়ের সমস্যার কারণে আপনার জীবন আয়ু দ্রুত কমে যেতে পারে।
’
আর এক গবেষণায় দেখা যায় বয়স্ক মানুষ যারা দৈনিক দু’ঘণ্টা টেলিভিশনের সামনে বসে থাকেন তাদের চেয়ে যারা চার ঘণ্টা টেলিভিশন দেখেন তাদের মধ্যে ৮০ ভাগ বেশি মানুষের আগেই মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়।
তিনি উদাহরণস্বরুপ বলেন, এই ধরনের সমস্যা ধূমপান বা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের থেকে আলাদা।
এক্ষেত্রে ব্যায়াম করাকে তিনি সমাধান হিসেবে দেখেননি। বরং দৈনিক কম সময় ধরে বসে থাকাকে উল্লেখ করেছেন। কারণ দৈনিক তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করেও আপানি যদি টানা তিন ঘণ্টা বসে থাকেন তাও আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, উঠে দাঁড়ান, এতে আপনার বসে থেকে যে ক্যালরি জমবে তার তিনভাগ নষ্ট করতে পারবেন। ফলে আপনার পেশির সংকোচন হবে এবং রক্তের সুগার ভেঙে যাবে। যদি আপনি বসে থাকেন তাহলে এর কিছুই হবে না।
তাহলে ভাবুন এখন আপনি কি করবেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।