আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিশ্র প্রবণতায় শেয়ারবাজারের আরেকটি সপ্তাহ

মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে আরেকটি সপ্তাহ পার করল দেশের শেয়ারবাজার। গেল সপ্তাহের চার কর্মদিবসের মধ্যে এক দিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও বাকি তিন দিন সূচকের পতন ঘটে। একই সঙ্গে লেনদেনও আগের সপ্তাহের চেয়ে কমে যায় এ সপ্তাহে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এতে বাজারে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধনের ঘটনা ঘটে।


আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়, একরকম মিশ্র প্রবণতায় গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। সপ্তাহজুড়ে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন, শক্তিশালী মৌল ভিত্তির শেয়ারগুলোয় সামঞ্জস্য ফিরে আসা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গেল সপ্তাহে জ্বালানি ও প্রকৌশল খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি লক্ষ করা যায়। এ সময় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ ও প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাত, বস্ত্র, জেনারেল ইনস্যুরেন্স খাতে দর কমার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।


গত সপ্তাহের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬০২ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে সাড়ে ৩৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে চার হাজার ২৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। এই হিসাবে গেল সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৬৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের গড় লেনদেনের চেয়ে ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ কম।
লেনদেনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় দেড় শতাংশ, অর্থাত্ ৬৪ পয়েন্ট কমেছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৪,২১৩ পয়েন্টে, সপ্তাহ শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৪,১৪৯ পয়েন্টে। একই সঙ্গে এই সময়ে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে চার পয়েন্ট। ৪,৪২৯ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে ডিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক সপ্তাহের শেষ দিন দাঁড়িয়েছ ৪,৪২৫ পয়েন্টে।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে দর বাড়ার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিসেস, পদ্মা অয়েল, আইডিএলসি ফিন্যান্স, আইসিবি, লংকা-বাংলা ফিন্যান্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল প্রভৃতি।
লেনদেনে শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, ইউনিক হোটেল, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি, যমুনা অয়েল, গ্রামীণফোন, পদ্মা অয়েল, আফতাব অটো, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রভৃতি।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।