নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই ব্যক্তি থেকে সমাজের বৃহত্তর পরিসরে, আমরা নিজেরা পারব না, বিদেশীরা পারবে - কেন এমন হীনমন্যতা? বাঁধ দিয়ে জলপ্রপাত বিজলী বানায় যারা তাদেরও দুই হাত, সমুদ্রের তলায় সুরঙ্গে রেল চালায় যারা তাদেরও দুই হাত। আমরা ছেঁড়া পাঞ্জাবী ফকিরি জাত; নিঃস্বতায় অহংকারী। ভাত পেলে চান্নি দেখি, মেঘ বৃষ্টি নদী নিয়ে কান্না কাটি করি, ভিনদেশী জাহাজিরা পায়ের নিচের জমিন লুট করে নেয়, আমরা তো ডিঙি নৌকায় অন্য দেশ থেকে তুলে আনতে পারি নি এক মুঠো শিলা পারব না ভেবেই সঙ্কুচিত থাকলাম, ঋজু থাকলাম, অনুগত থাকলাম। কি পারি না - পেরেছি সেই তার লম্বা তালিকা বানাতে, সামান্য কিছু পেলে ডগমগ হয়ে নিদ্রার আয়োজন করতে থাকি অধিকার আদায় করে নিতেও কেন এত দুর্বলতা? দেশের গর্ভে খনিজ সন্তানের অস্তিত্ব তা জানতে নিজেদের লোক রেখে অন্য বাড়ির মানুষ ডেকে আনি, সেই সব বিদেশীদের ডাকি যারা দহন জ্বালানী তুলতে জঙ্গল জ্বালিয়ে দেয়, ছিঁচকে চোর, ডাকাতদের ক্ষমতায় আনি । সূর্যাস্তের দেশগুলো উন্নত, মেধাবী, বিত্তশালী - ওদের কে সেরা মেনে নিয়ে পাই সুখ। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমরা পারি না । *** নকশাল অথবা ফুলবাড়ি নিজেদের বাঁচাও ঝিনুক ঠেকাও ঐ চতুর বালুকার দানা, বেদনার বিনিময়ে ঝিনুক তুমি কিছুই পাবে না তুলে নিয়ে প্রেয়সী সাজাবে পরদেশী মানুষ পিঙ্ক পার্ল পেয়ে তোমায় অকৃতজ্ঞ ছুঁড়ে দেবে ভাগাড়ে। **** কখনো বিষাদ পাথর ঠোঁটে নেমে আসে আবাবিল পাখি দৈনন্দিন লড়াই শেষে মৃত হাতি দাঁত ফেলে পড়ে থাকে হেটে হেটে তাঁতীপাড়া ঘুরে হঠাৎ দেখি বাড়ির ফটকে একা দরজায়, খিল আঁটা কেউ খোলে না, ভেতরে লেখার টেবিল, কাগজ ওড়ে ভগ্নস্তুপ থেকে চিরল সজনের পাতা কাছিমের খোলস ফুঁড়ে মাথা বের করে, ফের ঢোকায়, ডুব দেয় গভীর কুয়ায়, আমি ঘুরে দাঁড়াতে চাই তবু কোন পিশাচের হাত আমাদের ডেকে নিতে থাকে অন্ধকারের গুহায়। --- ড্রাফট ১.০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।