কথার রঙের আচড়ে গড়া .। .। । বাসায় ঢুকেছি মাত্র। রুমের জানালা খুলেই শুনতে পেলাম ঝগড়া।
খুব অবাক হলাম, ঢাকার শহরেও এভাবে ঝগড়া হয় নাকি! ভাল করে খেয়াল করার জন্য বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম। ওমা একি! ...। ।
ছোট বেলার দিনগুলি গ্রামেই কেটেছে। প্রতিবেশীদের পারস্পরিক ঝগড়া দেখেছি।
শুরু একবার হলে শেষ হতেই চাইতো না। কেউ কাউকে ছাড়বে না। যা ইচ্ছা বলে যাবে। মনে হতো যেন এটা গ্রামের সংস্কৃতির সাথে মিশে ছিল। যদিও এখন খুব একটা দেখা যায়না।
একটু ভালো করে খেয়াল করার জন্য বিল্ডিঙয়ের নিচের দিকে খেয়াল করলাম। না, নিচ থেকে নয় । পাশের বাসার জানালা দিয়ে আসছে শব্দগুলো। মানুষের ঝগড়া নয়। টেলিভিশনের শব্দ।
সংসদ হচ্ছে। খুব টাস্কি খাইলাম।
সংসদ আজকাল ঝগড়ার জায়গা। হবে না। ওখানে যারা যায় তারা তো আর যেন তেন লোক নয়।
সংসদ সদস্য। একেক আসনের লক্ষ লক্ষ লোকের প্রতিনিধি। সবার পক্ষ থেকে তো তাকেই কথা বলতে হয়। লক্ষ লোকের সমান শব্দ না করতে পারলেও তো কমপক্ষে শত ভাগের এক ভাগের সমান শব্দ হওয়া উচিত। তাইতো একেকজন সংসদ সদস্যের এতো উচ্চস্বরে কথা বলা।
আইন প্রনয়নের জায়গা সংসদে যদি ঝগড়াই করা হয় তবে তা সংসদের মাঠে করাই ভালো। সাধারন মানুষও দেখতে পাবে। ঝগড়ার সঠিক পরিবেশও পাওয়া যাবে। আর জনগনের কষ্টার্জিত পয়সায় চালিত সংসদের অমর্যাদাও হবে না।
যাইহোক আমার প্রশ্ন একটাই, জনগনের টাকায় চালিত সংসদে দাঁড়িয়ে ঝগড়া ছাড়া কাজের কথা বললে কি খুব কষ্ট হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।