আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাঁস

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি : ৬০: ফাঁস মানবজমিনকে সাধারণ বিএনপি ঘারনার বলে মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। মানবজমিনে আমার কাজ করার সময় দেখেছি যেটি সত্য সেটি যার বিরুদ্ধেই যাক ছাপা হবে।

সে সময় পাবলিক সার্ভিস কশিমনের চেয়ারম্যান জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা । পিএসসির প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিল প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। বিএনপিপন্থি এ শিক্ষিকার সময় পিএসসিতে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। খবরটি আমি ও শামীম (বর্তমানে রেডিও টুডে) প্রথম পাই।

অন্যদের সরবরাহ করি। মানবজমিন এটি লিড স্টোরি করেছিল। তাহমিদা ম্যাডামের ছবিও ছাপা হয় সাথে। এ নিয়ে তুমুল হই চই। বিএনপি পরে ওই পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়।

যে দিন লিডটি ছাপা হয়, সে দিন আমি সন্ধ্যার দিকে ফালোআপ রিপোর্টের জন্য তাহমিদা ম্যাডামকে ফোন করি। উনি ফোন ধরেই ক্ষেপে যান। স্টোরি সাথে তার ছবি ছাপা হওয়ার কারণে তিনি বেশি ক্ষেপেছেন। আমি তাকে হালকা করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তিনি রাগ কমিয়ে কথা বলতে পারলেন না। পরে অবশ্য তাকে পদত্যাগও করতে হযেছে।

কারণ গণমাধ্যম ইস্যুটি নিযে সে সময় প্রচণ্ড সোচ্চার ছিল। এমনটা এখন আর দেখা যায় না। তাহমিদা ম্যাডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে আসেন। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য দায়ি সম্ভবত মোহব্বত স্যার, যিনি আওয়ামী পন্থি শিক্ষক ছিলেন তিনি পরে পিএসসিতে থাকতে পারেননি। মোহাব্বত স্যার অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।

তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে কোচিং সেন্টার জড়ি ছিল এটা নিশ্চিত। প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সংস্কৃতি বাংলাদেশে খুবই পুরনো একটি বিষয়। তবে এটি মেধাবীদের মাথার ওপর ইট ভাঙার মত। কারণ তারা সারা বছর পড়াশোনা করে, আর পরীক্ষার সময় অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষায় পাস করে যান। এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই সব সময়, সব সরকারের সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিৎ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।