ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল জালিয়াতি হবে- এটাই তো স্বাভাবিক। ডিজিটাল বাংলাদেশের এ্যানালগ বা ম্যানুয়াল জালিয়াতি হলেই সেটা হতো হতাশার কথা!!!
ঘটনায় প্রকাশ : দেশে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা ও ডিজিটাল উত্তর সরবরাহে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে একটি জালিয়াত (ডিজিটাল) চক্র। আর এ চক্রের মূল হোতা স্বাধীন (!) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিদর্শক মফিজুর রহমান। সাথে আছেন আরও ১০ডিজিটাল বাংলাদেশী। আর তাদের পরিচয় প্রকাশ পায় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ার পর।
আরও কেউ এ চক্রের সাথে আছে কিনা, কিভাবে চক্রটি কাজ করে তা জানতে এসব গুণধরদের একদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আমরা তার তীব্র নিন্দা (!) জানাচ্ছি।
আমরা মনে করি, দেশের এ্যানালগ পুলিশ ডিজিটাল প্রতিভার কদর বুঝবে না। কেননা পুলিশ ডিজিটাল পদ্ধতির সাথে পরিচিত নয়। এ্যানালগ বা ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করলে দেশের প্রতিভাবান (!) এসব সন্তানদের প্রতি অবিচার করা হবে।
তাই রিমান্ডের ক্ষেত্রে কিভাবে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটনো যায়, সে বিষয়ে তাদের পরামর্শ এবং সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিদর্শক মফিজুর রহমান ছাড়া অন্য ডিজিটাল গুণধররা হলেন, কফিল উদ্দিন মাহমুদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র রেফায়েত সানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমিতাভ চৌধুরী, নূরুল হুদা ওরফে ডলার মাহমুদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুবেল বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ পরশ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০০৯সাল থেকে ডিজিটাল গুণধররা মোবাইলফোন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। তারা ১০০/১২০টির মতো ঘড়ি-সদৃশ মোবাইলফোন চীন থেকে আমাদানি করেছে। পরীক্ষার আগে তারা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে তাদের ওই ঘড়ি গুলি দিয়ে দেয়।
পরে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নপত্রগুলো বাইরে নিয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পারদর্শী ছাত্রদের দিয়ে সেগুলো সমাধান করে তারা মোবাইলে ম্যাসেজ করে পাঠিয়ে দেয়। পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা ঘড়ির ন্যায় মোবাইলফোন করে। এটি ঘড়ির মতো দেখতে হওয়ায় শিক্ষকরা এগুলোকে ধরে না। অনায়াসে এটি নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়া যায়।
লিংক : Click This Link
তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও মেধাকে সরকার কাজে লাগাতে পারে। শাস্তি দিয়ে এসব মেধার অপচয় করা ঠিক হবে না। প্রয়োজনে এ বুদ্ধিমান দলটিকে সরকারী খরচে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশ্ন ফাঁস ও উত্তর সরবরাহকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হোক - এ দাবি ডিজিটাল জনতার (!)। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।