উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে বেশ বাকবিতণ্ডা চলছে। বিএনপি-জামায়াত বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে বলে মনে হচ্ছে। দুই ধাপ উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে এ দুই দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে হতাশা কাটার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীর এক জনসভায় নির্বাচনী ফলাফলে আত্মপ্রত্যয়ী ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উপজেলার বাকি নির্বাচন শেষে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লীগনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, কিছুই করতে পারবে না বিএনপি। তার দলের এক নীতিনির্ধারক শেখ সেলিম তো আন্দোলনকারী প্রতিপক্ষের হাত-পা কেটে দেওয়ার হুমকিই দিয়ে রেখেছেন। উপজেলার বাদবাকি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রাধান্য করে রাখতে চাইবে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবির ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য। অপরদিকে শাসক লীগ চাইবে বিএনপি-জামায়াতের প্রাধান্য খর্ব করতে। এ অবস্থায় উপজেলার বাকি ধাপের নির্বাচনসমূহ আরও সহিংস রূপ নিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
এরকম এক পরিস্থিতিতে দেশের ৪৮৭টির মতো উপজেলার মধ্যে অর্ধেকের বেশি ২৭৫টি উপজেলার নির্বাচন ফেলে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ স্ত্রীকে নিয়ে দেড় মাসের এক লম্বা সফরে চলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবিধানিক পদাধিকারী বিদেশ সফরে যেতে পারেন না, এমনকি বউ-বাচ্চা নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণ হলেও, তেমন কোনো কথা নেই। তবে আমাদের দেশের উঁচু পদের সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে নানা বিরূপ সমালোচনা আছে। প্রয়োজন ছাড়াও তারা বিদেশ সফরের সুযোগ করে নেন এমন অভিযোগ প্রায়ই মিডিয়াতেও আসে। গত লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি সম্পর্কে 'বিদেশ ঘুরেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী' শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে এক মজার প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।
রূপক অর্থে ডা. দীপু মনির দুই বাহুতে দুটি পাখির ডানা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি কতবার বিদেশ গেছেন কয়বার প্রয়োজনে, আর কয়বার অপ্রয়োজনে সব কাহিনীই ছাপা হয়েছিল। বলা হয়েছে, যেসব প্রোগ্রামে ওই দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বা যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা যোগদান করলেই চলত, সে ধরনের সভা-সেমিনারেও তিনি যোগ দিয়েছেন। তার সফরে দেশের কোনো লাভ হয়নি বলে উল্লেখ করে কঠোর সমালোচনাও করা হয়।
বিভিন্ন মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তার বিনা প্রয়োজনে বা অল্প প্রয়োজনে বিদেশ সফরের সমালোচনার চেয়েও সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের এই সফর অধিকতর সমালোচনাযোগ্য।
উপজেলা নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তা অসীম গুরুত্ব বহন করছে। ইতিপূর্বে গত ৫ জানুয়ারি 'খুচরা' দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে তুমুল বিতর্ক চলছে। যেদিন ৩০০ আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় একসঙ্গে ভোট গ্রহণের কথা ছিল, তার ২০ দিন আগেই ১৫ ডিসেম্বর ৩০০ আসনের মধ্যে বেশির ভাগ ১৫৩ আসনে লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীরা প্রত্যক্ষ নির্বাচন ছাড়া বিনাভোটেই কার্যত এমপি হয়ে যান। ঘোষণাটাই কেবল বাকি ছিল। এতে বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ লঙ্ঘিত হয়েছে।
তাতে বলা আছে, 'একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের(৩) দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া (সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য) সংসদ গঠিত হইবে, সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন। ' কিন্তু সংবিধান নির্দেশিত প্রক্রিয়ায় সেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছেন সিইসি। ৫ জানুয়ারি ১৪৭ আসনের নির্বাচনও ছিল নিজেদের মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত আসন ভাগাভাগির নজিরবিহীন নির্বাচন। সব রাজনৈতিক (নিবন্ধিত) দলকে নির্বাচনে এনে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কম ছিল না। সিইসি শাসক দলের নেতাদের মতো শুধু লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিয়েছেন, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে তাকে দেখা যায়নি।
বিরোধী দল নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল। নির্বাচন আরও কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের সামনে। কিন্তু বিরোধী দলের সামনে সেই সুযোগ সৃষ্টি করেননি সিইসি এবং তার অন্য কমিশনাররা। এমনকি সংসদের মেয়াদ অবসানের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করার আরেকটি পথ যে সংবিধান উন্মুক্ত রেখেছে, রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশন সেই পথে অগ্রসর হতে পারত। কিন্তু তা-ও করা হয়নি।
তেমন একটি সময়-সুযোগ পাওয়া গেলে দেশি-বিদেশি মধ্যস্থতায় একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েও যেতে পারত এবং বিএনপিসহ অন্যান্য নির্বাচন বর্জনকারী দলও নির্বাচনে হয়তো এসে যেত। লীগ সরকার শুরু থেকেই তা চায়নি বলে মনে হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বদমতলবেই পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় বলে স্পষ্টতই মনে হয়। সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সরকারের 'সুইট ডিজায়ার' অনুযায়ীই কাজ করেছে বলে অভিযোগ দিন দিন প্রবল হচ্ছে। দেশে-বিদেশে লীগ বেনিফিশিয়ারিরা ছাড়া সবাই বলছেন, দশম সংসদ নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি।
দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছেন তারা। একটি বাজে নির্বাচনের কলঙ্ক তিলক এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কপালে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে সরকার উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় নেমে দশম সংসদ নির্বাচনে কপালে জোটা দুর্নামের বোঝা কিছুটা হালকা করতে চেয়েছিল। ভিন্ন অর্থে বলা যায়, দেশি-বিদেশি সমালোচকদের বৈরী সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছিল। সরকার যা-ই চাক না কেন, সিইসির সামনে কিন্তু দুর্নাম কমানোর একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল উপজেলা নির্বাচন।
একটি অবাধ, স্বচ্ছ তথা ভালো নির্বাচন করে দিয়ে কিছুটা হলেও কালিমা মোচন করতে পারতেন তিনি। প্রশ্ন এসেছে, তিনি কী সেই সুযোগ নিলেন না, না কি তা করতে পারলেন না? বেশির ভাগ উপজেলায় নির্বাচন বাকি রেখে তার এই আকস্মিক ব্যক্তিগত সফরে দেড় মাসের জন্য বাইরে চলে যাওয়া এই প্রশ্নকে অনেক বড় করে তুলেছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এই চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি উপজেলা পদ্ধতির পক্ষে ছিল না। বেগম খালেদা জিয়ার তৃতীয় সরকারের আমলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া উপজেলা নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
কিন্তু দলীয় সংসদ সদস্যরা এর তীব্র বিরোধিতা করেন স্থানীয় ক্ষমতার স্বার্থে। অর্থাৎ রিলিফের টিন, কম্বল, চাল, গম, উন্নয়ন বাজেট ইত্যাদির ওপর নিজেদের লাভজনক দখলদারিত্ব ছাড়তে চাননি তারা। শেষমেশ তারা অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সঙ্গে জট পাকিয়ে মান্নান ভূঁইয়ার পরিকল্পনা বাতিল করিয়ে দেন। এবার বিএনপি উপজেলা নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। শাসক লীগ মনে করেছিল অতীতের মতো এবারও বিএনপি নীতিগতভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করবে।
কিন্তু বিএনপি বর্জন করলেও স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং অনেক দলের অনেক প্রার্থীই নির্দলীয় পরিচয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেবে। সরকার হয়তো ধারণা করেছিল, যেহেতু যে কোনো প্রকারেই হোক আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ফেলেছে, তাই জনগণ এলাকার উন্নয়ন এবং বর্তমান শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে তাদের দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। তারা এই নির্বাচনী বিজয় দিয়ে সমালোচকদের বোঝাতে চেয়েছিল যে, তারা জনপ্রিয়। বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে এলেও আ'লীগই সরকার গঠন করত। তাদের প্রার্থীরা আশাব্যঞ্জক ফলাফল না করলেও এটা অন্তত বলতে পারত যে, তারা একটা ভালো নির্বাচন করে দিয়েছে, তাদের অধীনে ভালো নির্বাচন হয়।
কিন্তু বিএনপি-জামায়াত লীগ সরকারের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। জামায়াতও একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। তারা তাদের শক্তি-সমর্থন দেখানোর একটা মওকা পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে তা দেখিয়েছেও। দুই ধাপের নির্বাচনে তারা চেয়ারম্যান পেয়েছে ২০টি, ভাইস চেয়ারম্যান পেয়েছে ৫৩টি_ যা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে শাসকদল রাষ্ট্রীয় শক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক উপজেলায় বিরোধী দলের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জোরালো অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কথা বলছেন সবাই_ এক আওয়ামী লীগ ছাড়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে ২৭৫টি উপজেলায় নির্বাচন এখনো বাকি আছে, তাতে শাসকলীগ যে কোনো প্রকারে আধিপত্য বিস্তার করে 'বিজয়' করায়ত্ত করতে চাইবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তেমন একটা আশঙ্কা ইতোমধ্যে ব্যক্ত করেছেন। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সরকারি দলের প্রচারণার জবাব দিচ্ছে।
শুধু সরকারি দল কেন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননও অবিরাম বলে এসেছেন যে, বিএনপির কোনো জনসমর্থন নেই বলে তারা আন্দোলনে যেমন ফেল করেছে, নির্বাচনেও ফেল করবে; তাই সংসদ নির্বাচনে আসেনি। দুই ধাপ উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমুচিত জবাব দিয়ে দিয়েছে। এই নির্বাচনকে তারা জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটা পরীক্ষা হিসেবে নিয়েছে বলেই মনে হয়। নির্বাচনী হালচাল দেখে মনে হয়েছে, শাসকলীগের লোকজন কোথাও জোর-জবরদস্তি না করলে, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাই, বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা না ঘটালে ২১২ উপজেলায় ১৫-২০ ভাগ আসনও তারা পেত কি-না সন্দেহ। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনও তা জোর দিয়ে খণ্ডন করতে পারেনি।
বাদবাকি নির্বাচন নিয়ে যেখানে শঙ্কা-সংশয়, সেই নির্বাচনকালীন পুরো সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেশেই থাকবেন না, এটা কেমন কথা? তাও রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কোনো কাজে নয়_ স্ত্রীকে নিয়ে ব্যক্তিগত ভ্রমণে গেছেন তিনি। তার অনুপস্থিতির সুযোগে শাসকলীগ যাতে বাকি উপজেলাসমূহের নির্বাচনে নিজেদের 'পরিকল্পনা' বাস্তবায়ন করতে পারে এবং সিইসির অনুপস্থিতিজনিত কারণে নির্বাচন কমিশনও যাতে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে সেই সুযোগই তিনি শাসকলীগের জন্য সৃষ্টি করে দিলেন কি-না এই প্রশ্ন জেগেছে কারও কারও মনে। তিনি যাওয়ার আগে অপর এক কমিশনার আবদুল মোবারককে সিইসির কাজ চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। যাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তাকে দলকানা বলে কঠোরভাবে সমালোচনা করা হয়। বিএনএফ নামক একটি ভূঁইফোড় সংগঠনকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দিয়ে বিএনপি ভাঙার সরকারি উদ্যোগ কার্যকর করার মূল দায়িত্ব এই ভদ্রলোক পালন করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
তাকেই দায়িত্ব দিয়ে গেলেন সিইসি! উদ্দেশ্য সাধু বলে মনে হয় না। তা ছাড়া সিইসি এভাবে তার অনুপস্থিতিতে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারেন না। আইনবিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেছেন, এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এর আগেও একবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন, সিইসি কাউকে তার দায়িত্ব অর্পণ করতে পারেন না।
এমন প্রশ্নও উঠেছে যে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরকারের সব ইচ্ছায় সায় দিতে চাচ্ছেন না সিইসি। তিনি বাকি নির্বাচনগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে তার জাতীয় নির্বাচনের দুর্নামটা ঘুচাতে চান হয়তো। সেই কারণে ব্যক্তিগত ছুটিতে চলে যাওয়ার জন্য কী তিনি কোনো চাপের মধ্যে পড়েছিলেন? তা নাহলে গোটা নির্বাচনকালীন সময়টা তিনি ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে কাটাবেন কেন? দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়েও যে নির্বাচন দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যে নির্বাচনী ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে আমাদের জাতীয় রাজনীতির আগামী দিনের গতি-প্রকৃতি এমনকি বিদেশি অধিকাংশ বন্ধু রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীর বাংলাদেশ-ভাবনা, সেই নির্বাচন অসমাপ্ত রেখে সিইসির এই চলে যাওয়া বিস্ময়কর! এমন প্রশ্নও জেগেছে, তিনি আবার যথাস্থানে ফিরে আসবেন তো?
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
ই-মেইল : kazi.shiraz@yahoo.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।