আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ে: হার্টের কার্যকর ওষুধ!

আমি সিনেমা দেখতে ভালবাসি জীবনটা একটা সিনেমার মতো সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১২ মানবজমিন ডেস্ক: বিয়েতে কি লাভ? এমন প্রশ্নের জবাবে বিবাহিতরা বলেন, করেই দেখ না। তারকারা বলেন, জীবনে শৃঙ্খলা আসে। এই যে অগোছালো আমি বিয়ে করার পর পুরোপুরি ডিসিপ্লিন্ড হয়ে গেছি। জীবনের দর্শন বদলে গেছে। ইত্যাদি, ইত্যাদি।

তারপরও যারা চিন্তিত বিয়ে করা নিয়ে তাদের জন্যই সুখবর। গবেষকরা বলছেন, হার্টের শক্তিশালী ওষুধ বিয়ে। সমপ্রতি দ্য জার্র্নাল অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল বিহেভিয়ার-এ প্রকাশিত হয়েছে এক গবেষণা প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, হার্টের বাইপাস সার্জারির পর তিন মাস পর্যন্ত বিবাহিতদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অবিবাহিতদের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তাছাড়া এই তিন মাস আক্রান্ত না হওয়ার পাশাপাশি সার্জারির পর পাঁচ বছর পর্যন্ত বিবাহিতদের হার্টের সুরক্ষামূলক প্রভাব কার্যকর থাকে।

গবেষণাটির মূল গবেষক ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী এলেন ইডলার বলেন, সার্জারি পরবর্তী সঙ্কটজনক সময়ে বিবাহিতদের সারভাইভ করার অনুপাত একটা নাটকীয় ব্যাপার। এলেন আরও বলেন, বিয়েটা এক্ষেত্রে একটি সফল অনুঘটক। রোগী পুরুষ হোক বা মহিলা এতে কোন ভেদাভেদ নেই। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সর্বোপরি অবিবাহিতদের মৃত্যুর অনুপাত বিবাহিতদের চেয়ে দ্বিগুণ।

গবেষণায় স্বাস্থ্য সঙ্কটের সময় স্বামী-স্ত্রী’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা তুলে ধরা হয়। এলেন বলেন, এক্ষেত্রে স্ত্রী’র মতো স্বামীও ভাল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। এতে উল্লেখ করা হয়, বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া দীর্ঘজীবন পাওয়ার উপায় হিসেবে স্বীকৃত ১৮৫৮ সাল থেকে। ওই সময় উইলিয়াম ফার প্রমাণ করেছিলেন, ফ্রান্সে কম বয়সে মারা যাওয়ার প্রবণতা রোধ করছিল বিয়ে। গবেষণাটিতে বলা হয়- বিধবা, চিরকুমার ও ডিভোর্সিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।

এলেন বলেন, আমরা ৫শ’ সার্জারি ও ইমারজেন্সি রোগীর উপর গবেষণা করে এটি তৈরি করেছি। কেন বিয়ে সঙ্কটময় মুহূর্তের ঝুঁকি কমিয়ে আনে তাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়, বিবাহিতরা সার্জারিতে অনেক বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যায়। যা অবিবাহিতরা পারে না। ব্যথা সহ্য করা, আরাম ছেড়ে কষ্ট তুলে নেয়া ও সার্জারি সম্পর্কে দুশ্চিন্তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে- বিবাহিতরাই ইতিবাচক জবাব দেয়।

এতে বলা হয়, অবিবাহিতরা সার্জারির পর ৫ বছরের মধ্যে ৭০ ভাগ পর্যন্ত মারা যায়। যেটা বিবাহিতদের ক্ষেত্রে অনেক কম। এতে বিবাহিত জুটিদের মধ্যে ধূমপান কম হওয়ার কথাও বলা হয়। যেটা একটা উপকারী দিক। সব শেষে পরামর্শ দেয়া হয় বিষয়টি যখন হার্ট সংক্রান্ত, বিয়েই হবে শক্তিশালী ওষুধ।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার হাতে বিয়ে করবেন নাকি তাড়াতাড়ি মরবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.