I m not WIERD, I m just a LIMITED ADDITION : এতো দেরী করলে কেন? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি।
- কি করবো বলুন ম্যাডাম? টিউশনি শেষ করে বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি। আমার জন্যে তো আর গেইটের বাইরে মার্সিডিজ দাঁড়িয়ে থাকে না যে ড্রাইভারের কুর্নিশ নিতে নিতে হুট করে ঢুকে পড়বো। তাই ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, কাদা-জল ভেঙ্গে, গরীবের গাড়ি মানে দু’পায়ের উপর ভরসা করেই আসতে হয় আপনার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। তবে আজ রিক্সায় করে এসেছি নইলে একেবারে কাকভেজা হয়ে যেতাম।
রিক্সা খুঁজে পেতেই যা দেরী হলো।
: ইস্ বেশ ভিজে গেছো দেখছি। কাছে এসো তো, রুমাল দিয়ে মুছে দিই।
- ওহো, আমি তো ভেবেছিলাম তোমার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেবে। ঠিক আছে, রুমালই সই।
: না মিস্টার, ওটা ভবিষ্যতের জন্য জমা থাকুক। যখন তোমার বউ হবো তখন ইচ্ছেটা পূরণ হবে।
- আচ্ছা। আর যদি তা না হও, তবে আমি বুড়ো বয়েসে পান চিবোতে চিবোতে কোন এক বাদলঘন দিনে বসে বসে রোমন্থন করবো আজকের এই রুমালি ভালোবাসাময় সময়টাকে। নাতিপুতিকে তখন প্রথম প্রেমিকা আর এই রুমালটার গল্প শোনাবো।
: প্লিজ, এভাবে বলো না। কেন আমি তোমাকে পাবো না? তুমি কি আমাকে চাও না? আমাকে ভালোবাসো না?
- উত্তরটা আসলে একটু কঠিন। তোমাকে চাই আবার চাই না। ভালোবাসি আবার বাসি না।
: হেয়াঁলি রাখো।
আমি স্পষ্ট জানতে চাই।
- তবে শোন। আমার প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামের নির্মম বাস্তবতা তোমার জানা নেই। সেই জীবনে তুমি কখনো অভ্যস্ত হতে পারবেও না। তোমাকে একটা প্রশ্ন করি?
: হ্যাঁ, করো।
- একটু আগে একটা টং-এর দোকানের ছাউনিতে গা বাচিয়ে রিক্সা খুঁজছিলাম। খুব শীত শীত লাগছিলো, তখন চা খেয়েছিলাম ভাঙ্গা কাপে। আধধোয়া সে কাপে লেগেছিলো অনেক মেহনতি মানুষের ঠোঁটের ছোঁয়া, লেগেছিলো থুতুও যা এখনো আমার ঠোঁটে লেগে আছে। তুমি কি পারবে সেই ঠোঁটে চুমু খেতে?
কথোপকথন @ পূর্ণেন্দু পত্রী
ধুর!! এতো নরম-কোমল-রোমান্টিক লেখা তানভীর লেখে না। এটা লিখছেন পূর্ণেন্দু পত্রী।
তানভীর কি লিখছে সেটা পড়তে নিচে ক্রল করেন
: শেষ পর্যন্ত আসছো তুমি। তোমার জন্য এভাবে আমি আর ওয়েট করতে পারব না বলে দিলাম।
- কি করবো বলো? শ্লার টিউশনি আর ভাল লাগে না। তার উপর আরেক আপদ বৃষ্টি। তুমি তো আছো মজায়, ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে আসে আর তুমি ঢুকে পড়।
আমারতো এই দুই পা ই ভরসা। তবে আজকে রিক্সায় আসছি। শ্লার রিক্সাওয়ালাগো যা দাম, সব শ্লা নবাবের পুঁত।
: পুরাই ভিজে গেছ দেখছি। একটু দূরে গিয়া বসো।
আমার দামী শাড়ীটা ভিজে যাবে।
- ওহো, আমি তো ভাবছিলাম ঐ শাড়ীর আঁচল দিয়ে বৃষ্টির পানি মুছে দেবে।
: ইইহ, শখ কতো। তোমার ঐ ভিজা শরীর মুছবো আমার লাখ টাকার শাড়ী দিয়ে? নাও রুমালটা নাও। ঐটা দিয়েই কাজ চালাও।
- ঠিকাছে, শাড়ী যখন খুলাতে পারি নাই, রুমালই সই।
: হইছে, আজাইড়া প্যাঁচাল বাদ দাও। এখন বলো আমাকে বিয়ে কবে করবা? বাবা কিন্তু আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে, ছেলে নাসায় চাকরী করে।
- কি আর করবা, যাও ঐ ছেলেকেই বিয়ে করো। আমি না হয় বুড়ো বয়সে এমন বৃষ্টির দিনে সিগারেট টানতে টানতে নাতিপুতিদের বলব, এক পাষাণ মেয়ে যুবক বয়সে আমাকে ছ্যাঁকা দিছে।
: থাক, আর ভাব নেওয়া লাগবে না। বিয়ে না করলে প্রেম করছিলা কেন? তুমি কি আমাকে আর চাও না?
- উত্তর সোজা। যতদিন টাকা দিবা ততদিন চাই, না দিলে "যা ফুট, দূরে গিয়া মর। "
: এত প্যাচাও কেন? সোজা করে বলতে পার না?
- ঠিকাছে শোন। আমার সাথে তোমার মিলবে না।
তোমার কাছ থেকে অনেক খাইছি। এখন তোমাকে আর ভাল লাগে না। তুমি এবার আসতে পারো।
: তুমি না করলে নাই, অনেক ছেলে লাইন দিছে আমাকে বিয়ে করার জন্য। আমি গেলাম।
- আচ্ছা তোমাকে লাষ্ট একটা প্রশ্ন করি?
: কি বলবা তাড়াতাড়ি বল, টাইম শর্ট।
- একটু আগে একটা টং দোকানে চা থেয়েছিলাম। কাপ ভাঙা, কাপে ময়লা এই অজুহাতে বিল দেই নাই। আসলে বিল দিলে রিক্সায় আসতে পারতাম না। এখন, তুমি কি পারবে ঐ চায়ের বিলটা দিয়ে দিতে?
আজাইড়া প্যাঁচাল @ তানভীর ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।