এক দেশে ছিল এক সুন্দরী রাজকন্যা। তার ছিল তুষারের মত গায়ের রঙ, রক্তের মত লাল ঠোট, ঘন কাল চুল। আরো ছিল নাশপাতির মত বুবস্ আর সেতারের মত এস্। মেয়েটা ছিল খুব লাজুক। মেয়েটা একা একা বাগানে খেলা করে, প্রাসাদের ছাদে ঘুরে বেড়ায়, প্রাসাদের বিশাল বাগানের ঝর্ণায় গোসল করে।
একবার দূর দেশের এক রাজপুত্র ঘুরতে ঘুরতে রাজকন্যার কথা শুনে ভাবল, “আমাকেতো রাজকন্যাকে দেখতেই হবে”। সে বুদ্ধি করতে লাগলো। ভাবলো, বাগানে রাজকন্যা খেলা করে। কষ্ট করে দেয়াল টপকে গিয়ে দেখলেই হয়।
এক বিকেলে রাজপুত্র দেয়াল টপকে বাগানে ঢুকে গেল।
দেখলো, খুব সুন্দর আর বিশাল বাগান। কিন্তু, কোথাও কেউ নেই। শুধু পাখির গান আর ফুলের সুবাস। রাজপুত্র মুগ্ধ হয়ে হাটতে লাগলো। হাটতে হাটতে ঝর্ণার কলকল শব্দে ফিরে তাকাতেই চোখ আটকে গেল।
নগ্ন রাজকন্যার সাথে চোখাচোখি হতেই যেন সময় থেমে গেল। কেটে গেল যেন অনন্ত কাল।
কিন্তু, হঠাত রাজকন্যা চিতকার করে উঠল। দৌড়ে এল প্রহরীরা। বন্দী করল রাজপুত্রকে।
রাজকন্যা গোসল করছিল বলে প্রহরীরা দূরে ছিল। দুষ্ট লোকটাকে বন্দী করে ছুঁড়ে ফেলা হল কারাগারে। এমন অপরাধের কঠিন শাস্তি হবে।
কিন্তু রাজকন্যার মন ভাল নেই। তার কেন যেন মুগ্ধ সুন্দর চোখ জোড়ার কথা মনে পড়ে।
বাগানের সব ফুল যেন সুবাস হারালো। সব পাখি গান ভুলে গেল। ঝর্ণার পানি থেমে গেল। রাজকন্যার মন খারাপ দেখে তার সখীরা দুষ্ট লোকটার কঠোর শাস্তি দাবী করল। কিন্তু রাজকন্যা লজ্জায় মারা যাচ্ছে এই বলতে যে, “কি ছিল তার পরিচয়? কেন সে এভাবে এসেছিল? সে কাকে খুজছিল? সে কি কিছু বলতে চাইছিল যখন প্রহরীরা তাকে বন্দী করছিল?” কাল সকালে দরবার বসলে প্রথমেই রাজপুত্রের বিচার হবে।
যদি রাজকন্যা লুকিয়ে লুকিয়ে রাজপুত্রকে দেখতে যায়? কিন্তু সেখানে যে অনেক পাহারা! লজ্জায় রাজকন্যা কাওকে কিছু বলতে পারছেনা। এখন উপায়?
এদিকে রাজপুত্র অন্ধকার কারাগারে বসে ভাবছিল বিকেলের ঘটনাটা। ঝর্ণার জলে নগ্ন রাজকন্যাকে দেখে প্রায় মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিল, “Nice ass!”। কিন্তু ওই চোখ জোড়ায় দৃষ্টি যেন আটকে গেল। কিন্তু হঠাত মেয়েটা মুখ খুললো।
আর মুখ খুলেই দিল সব সর্বনাশ করে। কিছু আর বলা হলনা তাকে। কত কথা বলতে ইচ্ছা করছিল। প্রহরীরা ধরে নিয়ে যাবার সময় যদি চিতকার করে বলতে পারত, “I am sorry, I didn’t mean to”। কিন্তু রাজকন্যার চোখের দিকে তাকালে যে আর কথা বলতে পারেনা।
চুপ হয়ে মন্ত্র মুগ্ধের মত হয়ে যেতে হয়। অন্ধকার কারাগারে বসে চুল ছেড়া। আর কি করবে। রাজপুত্রের কিছু ভাল লাগেনা। এমন সময় কোথায় যেন শব্দ।
তবে কি মৃত্যু এসে গেল? এখনি কি কেটে ফেলা হবে তার গর্দান? তবে কি আর দেখা হবেনা রাজকন্যাকে? মনটা হুহু করে উঠল রাজপুত্রের।
ঘটাং ঘটাং শব্দে খুলে গেল কারাগারের দরজা। আপাদমস্তক আলখাল্লায় ঢাকা এক দাসী খাবার নিয়ে এসেছে। রাজপুত্র ফিরেও তাকালো না। তার মন আজ বিক্ষিপ্ত।
ক্ষুধা নেই। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ময়লা কাপড় পরা ছুকড়িটা জিজ্ঞাসা করল, “খাবেন না? আমাদের রাজকন্যার অনেক দয়া। তার অপরাধীর জন্য খাবার পাঠিয়েছেন”।
শুনে রাজপুত্র বলে উঠল, “আমিতো জানতামনা যে সে তখন গোসলে। আমার কি অপরাধ? আমিতো চুপ করে একটু দেখেই চলে যেতাম।
বোকা মেয়েটাইতো চিতকার করে গন্ডগোল করল”।
মেয়েটা বলল, “বোকা? এখন নিজের মাথা কাটা গেলেই বুঝবেন, কার বোকামি। জীবনের সব ইচ্ছা পূরণ করে নিন”।
শুনে রাজপুত্র বলল, “আমার আর কোন ইচ্ছা নেই, শুধু একটি ছাড়া”।
“আরেকবার যদি শুধু, আরেকবার রাজকন্যাকে দেখতে পেতাম”, আনমনে বলল রাজপুত্র।
শুনে মেয়েটা থমকে দাড়াল। এক মুহূর্ত পর মেয়েটা তার আলখাল্লার বাধন একটানে খুলে গা থেকে ফেলে দিল। পায়ের কাছে পরে রইল কাপড়টা।
রাজপুত্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নগ্ন রাজকন্যা।
কিছুক্ষণ পর রাজপুত্র বলল, “আমি অবশ্য এমনি আপনাকে দেখলেই খুশি হতাম, নগ্ন না হলেও চলত”।
রাজকন্যা বলল, “আমি চাইনি তুমি আমায় এই নোংরা পোষাকে দেখ”।
শুনে রাজপুত্র সাহস করে এক পা এগিয়ে গেল রাজকন্যার দিকে। রাজকন্যা ভীত হরিণির মত কেপে উঠল।
রাজপুত্র আর রাজকন্যার মাঝে চোখে চোখে হাজারো কথা বিনিময় হয়ে যাচ্ছে।
ভীতু হরিণির মত কাপতে থাকা রাজকন্যার দিকে রাজপুত্র আরেক পা এগোল।
রাজকন্যা দৌড়ে এসে রাজপুত্রের বুকে ঝাপিয়ে পড়ল। বলল, “তুমি খুব দুষ্টু। আমি নোংরা পোষাকে তোমার সামনে আসতে চাইনি বলে নগ্ন। তাই বলে তুমি এভাবে তাকিয়ে থাকবে? আমার লজ্জা করে না?”
রাজপুত্রের মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি। Now he knows, she means the world to him. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।