আহত তরুণকে দেখতে গেলেন না কোনো নেতা, খোঁজ নিলেন না চিকিত্সার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যখন তাঁর অস্ত্রোপচার চলছিল, তখন তাঁকে নিজেদের নেতা দাবি করে তাঁর ‘মৃত্যুতে’ শোক জানিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় শোকবার্তা!
গতকাল বুধবার ১৪ দলের মহাসমাবেশ থেকে ট্রেনের ছাদে চড়ে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে আহত হন আসবাবপত্রের দোকানের কর্মী মো. মুরাদ (২০)। রাতে আসে ছাত্রলীগের শোকবার্তা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল স্বাক্ষরিত ওই শোকবার্তায় বলা হয়, ‘১৪ দলের মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মো. মুরাদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘নেতৃদ্বয় শোকবার্তায় বলেন, উন্নয়নের বাংলাদেশে যখন ছাত্রসমাজ সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গঠনের প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তখন ছাত্রসমাজের নন্দিত নেতা, মেধাবী ছাত্রনেতা মো. মুরাদ ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলেন।
তাঁরা বিবৃতিতে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ’
বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়ার পর এ বিষয়ে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুরাদের আহত হওয়ার খবর জানালে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমাকে বলছে ও (মুরাদ) মারা গেছে। ’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যায় মুরাদকে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগে মুরাদ সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেনের ছাদে বসে থাকার সময় গেন্ডারিয়া ফুট ওভারব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হন। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া ছড়ে যায়, মাংস উঠে যায়।
মুরাদ জানান, তিনি ফতুল্লা এলাকায় একটি আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করেন। রাতে মুরাদের শরীরে অস্ত্রোপচার চলছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, সন্ধ্যার দিকে রনি নামে গেন্ডারিয়ার এক যুবক মুরাদকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে আরও কিছু যুবক-তরুণ আসেন। ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সেখানে যাননি।
সুত্র প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।