পতাকায় ফালগুন মানচিত্রে বসন্ত
কবির মৃত্যু সংবাদটি আগামী সকালে সবাইকে নিশ্চিত করা হবে
তার আগে অনেকেই মচমচে পারাটা আর ওমলেট দিয়ে নাস্তা সারবেন
ধোয়াওঠা কফিতে দু একটি চুমুক শেষে তারা বলবেন- বেচারা কবি!
আত্মাহত্যার জন্য ছুটির একটি দিন বেঁছে নেবার মতন বুদ্ধিটাও নেই।
কবির মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের সুযোগগুলো বারবার হাতছাড়া হচ্ছে!
কবি কী সুশীল সমাজের জন্য কিছু বক্তব্য রেখে আত্মহত্যা করেছেন?
যখন চৈত্রদগ্ধ জমিনে ফসল কেঁদে ওঠে; নারীরা নদীর বিপরীতে দাঁড়ায়,
যখন অনেক পঙক্তির বিপরীতে ধর্ষকরা অট্ট হাসিতে অট্টালিকা কাঁপায়,
যখন কবির প্রিয় শব্দের বুক থেকে ফোটায় ফোটায় রক্ত ঝরতে থাকে;
তখনও অনেকেই ধোপদুরাস্ত পোশাক পরে উঠে বসে নতুন মার্সিটিজে;
পুলিশ আসে পুরাতন পরিচিত কোঁচকানো ভ্রু বাঁকিয়ে বলে, এ তো কবি!
ওভার টাইম ছাড়া ফাঁসির রশি কাটাকাটি ওদের আর ভালো লাগে না,
পাশের ফ্লাট থেকে দু এক জন কাব্যপ্রেমিকা কবির নিথর আঙুল ছুঁয়ে-
খুঁজতে থাকবেন ঝলসানো নখের নিচে হ্যাঙ হয়ে থাকা বিধ্বস্ত মানবতা,
আঙুলের শেষ পঙক্তি থেকে যেখানে ঝরছে আহত শিশু আদিলের রক্ত;
ধর্ষিত বোনের বাঁচা-মরার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব; কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার কান্নাজমা পিচুটি।
পুলিশের মন এত সব বোঝে না; তারা ততপর চটে মুড়িয়ে ভ্যান যাত্রায়
সেই কবিতাদীর্ঘ দেহ; ভ্যানগগের ছবির মতো পা ঝুলিয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন।
পরিচিত মৃত্যুর ময়না তদন্তে আজ তার চোখ ও হৃদপিণ্ড আলাদা করা হবে।
অবশ্যই মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের আগে চেষ্টা করা হবে কাব্যহীন রশির স্ট্রেন্থ
এবং তদন্ত রির্পোটে বলা হবে, কিস্তিতে কবি কটা কবিতা বিক্রি করেছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।