আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কম
চট্টগ্রাম, জানুয়ারি ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--বিভাগীয় জটিলতা ও অশান্তিকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অ্যান্ড্রু অলক কুমার দেওয়ারী (৪৭)।
নগরীর শূলকবহরের বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেন।
পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, অলক দেওয়ারীকে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় নিজের ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় ।
বড় ছেলে পাভেল দেওয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সম্ভবত সকাল ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমরা দুপুর ১২টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখি তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছেন।
"
বড় ছেলে পাভেল এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোশাররফ হোসেন রাজীব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আত্মহত্যার আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে গেছেন।
চিরকুটে লেখা ছিল: আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কর্মস্থলে অশান্তি এবং জটিলতাই এর অন্যতম কারণ। আমার স্ত্রী খুব ভাল। আমার ছেলে মেয়ে দুটো খুব ভাল ছাত্র-ছাত্রী।
সৃজনী ট্রাস্ট স্কুলের মুসা ভাই আপনি ওদেরকে দেখে রাখবেন। এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই দেশে জন্ম গ্রহণ করাই অভিশাপ। '
ড. অ্যান্ড্রু অলক কুমার দেওয়ারী ২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে যোগ দেন।
সাংবাদিকতা বিভাগের বুধবারের সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।
প্রথম আলো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকের আত্মহত্যা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এন্ড্রু অলক কুমার দেওয়ারী আজ মঙ্গলবার সকালে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরের মির্জাপুল এলাকার ভাড়াবাসার বসার ঘরে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ড. অলক দেওয়ারী তাঁর বিভাগের বিভিন্ন ঝামেলার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশ ছিলেন। স্বভাবে সদা হাস্যোজ্জ্বল ও কোলাহলপ্রিয় হলেও দুই মাস ধরে তিনি একেবারেই চুপচাপ ছিলেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় এলে তিনি প্রায়ই চুপ থাকতেন এবং পায়চারি করতেন।
এ অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দুই দিন আগে তাঁকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়।
ড. অলককে সব সময় চোখে চোখে রাখতে পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। আজ সকালে তাঁর ছেলে কলেজে ও মেয়ে স্কুলে যায়। এরপর স্ত্রী কর্মক্ষেত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ছুটি নিতে। এ সময়ই ড. অলক দেওয়ারী সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে যান। তাতে তিনি লেখেন, ‘বিভাগের (যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা) বিভিন্ন সমস্যা আমাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছে। বিভাগের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার মৃত্যুর জন্য পরিবারের কেউই দায়ী নয়। ’
ড. এন্ড্রু অলক কুমার দেওয়ারীর গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সম্মানসহ এম এ ডিগ্রি নেন। শিক্ষক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ড. অলকের মৃত্যুর ঘটনায় কাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শেখ আবদুস সালামসহ বিভাগের সব শিক্ষক ড. অলকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।