আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েরাই ঘরের লক্ষী! মা-বাবার শেষ বয়সের অবলম্বন মেয়েরাই। প্রমাণিত

সাধারণ মানুষের সাধারণ কথা। ঘরটা আলোকিত হয়, এরা আছে বলে! দেখামাত্রই সারাদিনের কষ্টগুলো মুছে যায় নিমেষেই। বাহিরের জগতে যে যেভাবেই প্রতিষ্ঠিত, অনুপ্রেরণাটুকু তাদেরই। তবে বলতে দ্বিধা নেই যে, মেয়েরা আছে বলেই মাতা-পিতারা শেষ বয়সে ভরসা পায়। অল্প আয় উপার্জন করলেও মা-বাবাকে দেখে রাখে তারা।

অল্প কিছু সংখ্যক ছেলেই আছে যারা সঠিকভাবে মা-বাবার খেদমত করে!!! মেয়েরা দেশে থাকে আর বিদেশে থাকে, সব অবস্থায় মা-বাবার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। আমরা ছেলেরা, যত শক্তিমান আর প্রতিষ্ঠিত হইনা কেন? মা-বাবার আশা-ভরসাকে দুমড়ে মুছড়ে দেই। অথচ যেই ছেলেদের নিয়ে মা-বাবার ছিল কত আশা। বৃদ্ধা আশ্রমে মা-বাবাকে কে পাঠায়? জন্মের পর থেকে শুরু করে অর্থ আর ভালবাসায় গড়া সেই সন্তানটি যদি বিদ্রোহ করে, তাহলে মা-বাবার আর কি করার থাকে? অথচ যেকোন পরিস্থিতিতে মেয়েরাই পিতা-মাতার শেষ আশ্রয়স্থল। অথবা কোন না কোন পথ তৈরী করে পিতা-মাতার সহযোগিতা করে।

মা-বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলে মেয়েরাই মা-বাবার বেশী দোয়া করেন। তাদেরকে বেশী বেশী স্মরণ করেন। যেই দিকটাই আমরা ছেলেরা অনেক পিছিয়ে। সুসন্তানের অভাব অভিভাবকরা পদে পদে অনুভব করে। তাই পিতা-মাতার উচিত সুসন্তান হিসাবে, সন্তানকে গড়ে তোলা।

মায়ের কথা নাইবা বললাম। মাতো-মা। যাদের বোন আছে, দেখবেন বোনেরা ভাইদের জন্য কি করে? হয়তবা স্কুল-কলেজের বয়সে মারামারি ছিল? কিন্তু বয়স যত বাড়ে বোনের ভালবাসায় সিক্ত হতে হয়? এত আদর ভালবাসা দিতে পারে একটা বোন। অথচ এই বোনেরাই শেষ বয়সে মা-বাবার জন্য পাগল থাকে? আর আমরা ছেলেরা কি করেছি বা কি করছি তা নিজেই নিজের প্রমাণ। তাই আসুন প্রতিটি স্তুরে নারীদের সম্মান দেখাই।

হতে পারেন তিনি মা, হতে পারে বোন, হতে পারে মেয়ে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.