অদ্ভুদ একটা ব্যাপার! আমার পিচ্চি কাজিন হাসান আমি স্কার্ট পড়লেই বলবে, আমাকে একটা তোমার মত ঘাগরা দাও না!আমরা তখন ওকে ঐরকম একটা স্কার্ট বানিয়ে দেই, এরপর আমরা নেইলপলিশ আর মেহেদি দিতে বসলেই ওকেও দিয়ে দিতে হবে না হলে চিল্লা-চিল্লি করে আমাদের ও দিতে দিবে না! এরপর তো অয়ন, আকাশ,অপূর্ব, এহসান,রিফাত,রিয়াদ,ইমন এরাও যে বড় হয়েছে কিন্তু তবুও এরাও মেহেদি দিবেই! তাও আবার কেউ পিঠে কেউবা বাহুতে কত কিত্তি! এরপর আছে আমার টি-শার্ট দেখলেই বলবে তোমারটা দাও না পড়ি! আমি বলি ওয়াক ওয়াক- তোরা যে কয়দিন পরে গোসল করিস তার ঠিক নেই আর আমার টি- শার্ট --ভাগ--! এরপর আমার স্লিপার অপূর্বর খুব পছন্দ- আসবে আর বলবে- দাও না এক জোড়া --ওর পায়ে হবে না তবুও পড়ার চেষ্টা তারপর মন খারাপ করে চলে যাবে--! আবার আমাদের বেসলেট নিয়ে এই ছেলে কাজিনরা ভেগে যায়! আবার কখনো কখনো আমরা মুখে এবং চুলে কি ব্যাবহার করি তাও নিয়ে ব্যাবহার করে! ঠিক তেমনি আমার ছেলেদের স্লিপার এর প্রতি দুর্বলতা আছে--! আমি প্রায়-ই বাপির বা কাজিনদের স্লিপার পড়ে বাসায় বা আশেপাশে ঘুরি! দূরে যাই না- শেষে পাগল খেতাব পাই এই ভয়ে! আর জিন্স, টি-শার্ট, থ্রি- কোয়ার্টার প্যান্ট এগুলোর প্রতি তো দুর্বলতা আছে এবং পড়িও! মজার ব্যাপার হল- স্পেসিফিক ভাবে মেয়েদের জন্য বানানো জিন্স বা থ্রি- কোয়ার্টার প্যান্টের থেকে ছেলেদেরটাই ভাল লাগে!
এত গেল নিজেদের কথা!
এরকম অনেক ছেলেদের/ মেয়েদের জিনিস আর মেয়েদের/ছেলেদের জিনিস ব্যাবহার করতে দেখা যায়! এমনকি চুলের ক্ষেত্রেও ! ব্যাপারটা মজার কিংবা ভাল লাগা থেকে অনেকেই করলেও এই নিয়ে কিন্তু বহুত কিচ্ছা/কাহিনী হয়ে যায় - যখন কেউ এইসব ব্যাবহারকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে যায়!
এটা লিখলাম এই কারনেই আমার ছেলে কাজিনরা লাইন ধরে আছে- মেহেদি দেয়ার জন্য! কেউ পিঠে/কেউ বাহুতে/ দেয়ার জন্য! আমরা বকা দিলেও তারা শুনে না-- দিবেই!
এমনকি ঈদ এর আগে আমরা কি কি করতেছি- মানে ফেসিয়াল- এইটা- সেইটা সেইগুলাও ওরা করতে চায়--!
আর পিচ্চি কাজিন হাসান - সে তো দুই হাতে মেহেদি, নেইলপলিশ দিয়ে বসে আছে!
সবাইকে ঈদ এর শুভেচ্ছা!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।