আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথা'র বিরোধিতায় কি মেয়েরাই এগিয়ে যাচ্ছে?

Everyone is entitled to my opinion.

ধর্মগ্রন্হগুলো (বাইবেল/কোরান/তোরাহ) মতে সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীরাই প্রথা ভাঙার চল শুরু করেছে। জ্ঞান বৃক্ষের ফল খাওয়ার সাহস নারীরাই দেখিয়েছে প্রথম। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনার আলোকে মনে হচ্ছে মেয়েরাই এক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকা রাখে। এক: জুলিয়া গিলার্ড, প্রধানমন্ত্রী, অস্ট্রেলিয়া। উন্নত বিশ্বের প্রায় সবদেশেই ব্যক্তিগত ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা থাকলেও সবাই সেটা সবসময় প্রকাশ করতে স্বস্তি বোধ করেন না।

বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে যারা জড়িত তাদের ক্ষেত্রে কথাটা খুবই সত্যি। আমার ধারণা ছিলো রাস্ট্রপ্রধানরা কখনই ভোট হারানোর ভয়ে তাদের ধর্মীয় চিন্তার চেতনার আসল বহিঃপ্রকাশ করবেন না। কিন্তু সম্প্রতি আমার সেই ধারণা ভুল প্রমানিত হয়েছে। গতমাসের শেষভাগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শপথ নেবার সময় যখন এতদিনের প্রথা অনুসারে ‘পবিত্র বাইবেল’-এ হাত রাখতে প্রকাশ্যে অসম্মতি জানান। প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড সরাসরি বলেছেন, তিনি যা বিশ্বাস করেন না তা করার ভান তিনি করতে পারবেন না।

তাঁর ধর্মীয় অবিশ্বাস নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। টিভি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে তা কিছুতেই মাত্রা ছড়ায় নি। জুলিয়া গিলার্ড অস্ট্রেলিয়ার ইতইহাসে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ৪৭ বছর বয়সী এই মহিলা এখনও অবিবাহিত।

জুলিয়া গিলার্ডকে তার সৎসাহসের জন্য অভিনন্দন। দুই: জোহানা সিগুডোরডাতির, প্রধানমন্ত্রী, আইসল্যান্ড ** (নামের উচ্চারণ নিয়ে সন্দেহে আছি) গত ১১ই জুন আইসল্যান্ডের সংসদ সমকামীদের বিবাহের বি পাশ করে। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো বিলটির বিপরীতে একটিও ভোট পরেনি। । আইনটি কার্যকরী হয় আইনটি কার্যকরী হয় ২৯শে জুন থেকে।

আর সেদিনই আইসল্যান্ডের প্রধামন্ত্রী তার দীর্ঘদিনের পার্টনার জোনিনা লিওসডোটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি হচ্ছেন পৃথিবীর প্রথম সমকামী রাস্ট্রপ্রধান। ২০০২ সাল থেকেই এই দম্পতি সমকামী পার্টনার হিসাবে রেজিস্ট্রশন করে একসাথে বসবাস করছেন। তার এই প্রথার বিরোধিতাও নিঃসন্দেহে আগামী দিনে অনেকের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। তার সৎসাহসকে অভিনন্দন।

এবার একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ: তিন: ইসমাইল মোহাম্মদ ডিডি, মালদ্বীপ কিছুদিন আগে যাকির নায়েকের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপবাসী মোহামেদ নাজিম নামে একজন নিজেকে নাস্তিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ভীষন বিপদে পরে গিয়েছিলেন। সেই সার্কাস আমরা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। কিন্তু বিষয়টা যে হালকা ভাবে নেয়ার কোন বিষয় না তা আরেক মালদ্বীপ বাসী ইসমাইল মোহাম্মদ ডিডি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। ২৫ বছর বয়সী এই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের দেহ কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ফাঁসীতে ঝুলন্ত অবস্হায় পাওয়া গেছে। আইন রক্ষাকারী বাহিনী বলছে এটা আত্মহত্যা।

কিন্তু ধর্মীয় হয়রানীর (persecution) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে তিনি ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করার আবেদন করেছিলেন। তার (আত্ম)হত্যার পিছনের কারণ অনুমান করতে খুব একটা কস্ট হওয়ার কথা না। বিশেষ করে মোহামেদ নাজিমকে নিয়ে সার্কাস খেলার পর। ধিক সেইসব জানোয়ারদের যারা মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্মবিশ্বাস বেছে নেয়ার অধিকার হরণ করতে চায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.