আধুনিক ইরানের প্রতিচ্ছবি ‘এ সেপারেশন’। যার কাহিনী গড়ে উঠেছে, উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এক দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদকে ঘিরে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বামী নাদের, মেয়ে তারমেহ্কে নিয়ে ইরান ছেড়ে পালাতে চান, স্ত্রী সিমিন। কিন্তু আলঝাইমারে আক্রান্ত বাবাকে রেখে যেতে নারাজ । মেয়েও এতে বাধ সাধলে, বিচ্ছেদ ঘটিয়ে একাই বাবাবাড়ি পাড়ি জমান, সিমিন।
হামলা, হুমকি আর আগ্রাসনের আশংকার মধ্যে ইরানি পরিচালক আসগার ফারহাদি যখন তাঁর দেশের শান্তিপূর্ণ সাংস্কৃতিক গুরুত্ব সম্পর্কে অস্কার ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন কোন ইহুদি তাঁকে শুনছে-এমনটা ভাবেনই নি।
সেই ইহুদি দেশেই ইরানি ছবি! অবাক হলেও, এমনটাই ঘটিয়েছে ফারহাদির---এ সেপারেশন। মধ্য ফেব্রয়ারিতে মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি দেখেছে, অন্তত দশ হাজার ইহুদি।
জিউয়িস চলচ্চিত্র সমালোচক এইর রাভেহ্ বলছেন, পরমাণু বোমা তৈরির অভিযোগে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোয় যখন ইজরায়েলি নেতারা হামলার কথা বলছেন, তখন ছবিটির ইজরায়েলজুড়ে বক্স অফিসে ঝড় তোলা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
‘ছবিটি দেখার পর ইজরায়েলিরা বুঝতে পেরেছে, ইরানিদের সঙ্গে তাদের জীবন যাপনে মিল রয়েছে।
বিভিন্ন সমস্যা, সংকটও একইভাবে সামলায় তারা। তারা এও বুঝেছে, দেশ দুটি’র উত্তেজনা জনসাধারণে নয়, সরকারি পর্যায়ে’।
ছবির বিষয়বস্তু শুধু রাজনৈতিক বললে ভুল হবে, এটি আসলে ইরানের অতি-রক্ষণশীল মনোভাবে পরোক্ষ চপেটাঘাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।