আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
বেশ কিছুদিন আগে সামহোয়্যার আউট আর তার এক কলিগ, অফিসের কাজে রাজশাহী গিয়েছিলেন। তখন ছিল আমের মৌসুম। ফিরে এসে রাজশাহীর এমন গল্প দিলেন আমার কাছে যে আমি একেবারে মুগ্ধ। বাংলাদেশের এদিকটা আমার এখনও দেখা হয়নি। ঠিক করলাম এরপর আমের সময় আমিও একবার ১/২ দিন থেকে আসব।
আমি ওকে হাজার বার বললাম ব্লগে আপনের কথা গুলো লিখুন। কিন্তু নিজের লেখার উপর ওর এক বিন্দু আস্থা নেই। তাই কিছুই লিখলেন না।
তাই আজ ভাবছি, যা শুনেছি আমি তাই লিখিনা কেন? আপনারাও আমার লেখায় আর ওর চোখে একবার রাজশাহী ঘুরে আসবেন।
সামহোয়্যার আউট যখন বাসে করে রাজশাহী ঢুকলেন প্রথমেই চোখে পড়ল ভ্যান গাড়ি।
যাতে বোঝাই করা আম। এই ভ্যান গাড়ির লাইন বহূদুর পর্যন্ত গিয়েছে। এরপর বাস যখন শহরে ঢুকল তখন চোখে পড়ল আম গাছে থোকা থোকা আম ঝুলে আছে। যেন অতিথিকে প্রথমেই জানিয়ে দিচ্ছে যে তুমি আমের শহরে ঢুকেছে। এরপর কিছুক্ষন পর পর চোখে পরবে আমের হাট।
যেখানে লোকজন আমের ঝুরি নিয়ে বসেছে। দামাদামি কেনা বেচা চলছে। শহরটা জুরে শুধু আম আর আম। একেবারে পুরোপুরি আমের শহর। কিছুদুর পর পরই চোখে পরে আমের হাট।
ঢাকায় যে বাস গুলো যায় সেখানেও মানে বাস স্ট্যান্ডেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে আম। হাটে যাবার আর দরকার নেই। বাসের বক্সে ঢোকানো হচ্ছে শুধু আমের ঝুড়ি।
শহরটাও দেখতে বেশ সুন্দর। বেশ সাজানো গোছানো।
বিশেষ করে বাংলালিংক স্পন্সর করেছে যে রাস্তা গুলো।
আমার মনে যারা পর্যটন পেশার সাথে জড়িত, তারা এই বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন। যদি আমের মৌসুমে বিদেশীদের এই আমের শহরে ঘুরতে আনা যায় তাহলে তারা খুবই আনন্দ পাবেন আর দেশি খাটি (কারন ঢাকায় কি করে জানিনাহ, আমের এই স্বাদ আর থাকে না। ) আমের স্বাদও পাবে। একটা শহর কি করে পুরোপুরি আমের শহরে পরিনত হয় এটা দেখেও আনন্দ পাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।