ভালোর স্বপক্ষে থাকুন সে যেই হোক, আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকুন সে যেই হোক। বাবা, মা, দল, গোত্র, গোষ্ঠী এসব ভালো কিংবা অন্যায় নির্ধারণ করে না। বাকশাল কত প্রকার কী কী? তা বুঝাতে হলে শুধু জনসমাবেশ নয়, টেলিভিশন, মিডিয়া সব বন্ধ করে দিতে হবে...... “হঠাৎ বন্ধ একুশে টিভি ও বাংলাভিশন” এটা তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাকশাল বাস্তবায়নে এই সরকার নিঃসন্দেহে অনেক উন্নতি করেছে।
এজন্য তাদের বাহবা না দিয়ে পারা যায় না।
আমাদের টিভি ও ডিশ লাইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাভিশন ও একুশে টিভি পেলাম না, তারপর যতনম্বর চ্যানেলে এই চ্যানেল ছিল সেখানে শুধু দেখি নো সিগন্যাল.........আরো জানা গেলো দুপুর পর্যন্ত নাকি বাংলাভিষন আর একুশে টিভি দেখা যাচ্ছিলো বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু তারপর অধিকাংশ এলাকায় পরে এই চ্যানেলসহ যে চ্যানেলগুলো মহাসমাবেশের খবর প্রকাশ করছিল সরাসরি, তা বন্ধ করে দেয়া হয়। বাসট্রাক, লঞ্চ নাকি নিরাপত্তার জন্য বন্ধ করা হয়েছে, কিন্তু এই টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে তারা কিসের নিরাপত্তা চাচ্ছে?
যেকোন উপায়ে পরবর্তী নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই কী?
আর সারা বাংলাদেশের মানুষকে মহাসমাবেশ থেকে দূরে রেখে, তাদের টিভি ও অন্যান্য মাধ্যমেও মহাসমাবেশের খবর নিতে সরকারের এত আপত্তি কেন? থলের বেড়াল বের হয়ে যাবে এমন ভয়ে নাকি?
বি টি আর সি নাকি ব্যান্ডওয়াইডথ কমিয়ে দিয়েছে তাই অনলাইনে ঠিকমত ভাষন দেখতে পারলাম না। যাইহোক ব্লগার ভাইদের কল্যানে অনেক লিংক পাওয়ায় সেগুলোতে অনলাইনে ভাষন দেখতে পারলাম।
কিন্তু দেশে সিংহভাগ মানুষকে এতবড় সমাবেশের খবর না দিতে, সরকার কি না করল?
১. প্রথমবারের মত সরকার দলীয় হরতাল।
২. গনগ্রেফতার
৩. পুলিশি হয়রানি
৪. কুত্তালীগের হামলা
৫. টেলিভিশন বন্ধ
৬. সম্ভাব্য হতে পারে কালকের সংবাদপত্র বন্ধ
৭..........১০০০১টা কারন দেয়া যেতে পারে।
আরএকুশে টিভির খবরে বলা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগের লোকজন ক্যাবেল অপারেটরদের অফিসে গিয়ে চ্যানেল বন্ধ করে দিচ্ছে।
এখন মনে হচ্ছে বাকশালের সংজ্ঞা এদেশের জনগন জানে না, কিন্তু সরকার সেটার সংজ্ঞাসহ কত প্রকার কী কী তা জনগনকে উদাহরনসহ বুঝিয়ে দিবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।