দূরে অাছি......তার্হ ফেরা সহজ....কাছের মানুষ কখনো ফেরে না......... চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পল্লি পারলক্ষ্মীপুরের অভিযুক্ত ধর্ষক স্কুলশিক্ষক ইসমাইল জামিনে মুক্ত
: ধর্ষণের শিকার সেই অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী সন্তান প্রসব করেছে। আলমডাঙ্গার পল্লি পারলক্ষ্মীপুরের সেই অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক ইসমাইল হোসেন বর্তমানে জামিনে মুক্ত। পুলিশও ইতোমধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করেছে। এখন প্রশ্ন নবজাতক কি শেষ পর্যন্ত তার পিতার স্বীকৃতি পাবে?
পারলক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন একই গ্রামের প্রভাবশালী ইসমাইল। ওই বিদ্যালয়েরই ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী দরিদ্র দিনমজুরের সন্তান। ধর্ষণের পর তা ফাঁস করলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। হুমকির কারণে স্কুলছাত্রী বিষয়টি গোপন রাখলেও কয়েক মাসের মাথায় শুরু হয় বমিসহ অন্তঃসত্ত্বার নানা উপসর্গ। পরীক্ষা করতে গিয়েই পরিষ্কার হয়ে যায় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি। গ্রামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জানাজানি হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
গ্রামবাসী মানববন্ধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। অভিযুক্ত লম্পট স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে জনগণ। পরদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অনেকে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইলকে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ধারায় মামলা করা হয়।
শুরু হয় তদন্ত। তাকে তার বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিও দেয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ। স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বেও ইসমাইল মাস্টারের বিরুদ্ধে অন্যের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উত্থাপন হয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় পূর্বের ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিতে পারে। ইসমাইলকে জেলহাজতে প্রেরণ করার পরও তার পক্ষের লোকজন নানাভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলায়।
মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে অভিযোগের সুর ঘোরানোরও প্রস্তাব দেয়া হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক শিক্ষক ইসমাইল হোসেন পরে জামিনে মুক্ত হন। মামলার বাদীপক্ষকে নানাভাবে হুমকিধামকি দিতে থাকেন বলেও অভিযোগের কমতি ছিলো না। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার পাঁয়তারা এখনও থামেনি। এরই এক পর্যায়ে গতরাতে সেই স্কুলছাত্রী কন্যাসন্তান প্রসব করেছে।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে পড়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী। তাকে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গতরাত ১১টার দিকে অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করানো হয়। ফুটফুটে কন্যাসন্তান দেখে অনেকেই তার নাম রাখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। অবশ্য গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নবজাতকের নাম রাখা হয়নি।
নবজাতক ও তার মাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর চোখেমুখে গতকালও ছিলো অনিশ্চয়তার ছাপ। নবাগতকে নিয়ে তার নানি ছিলেন ব্যস্ত। যে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান প্রসব করলো, সেই সন্তান কবে পাবে তার পিতার স্বীকৃতি, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী কবে পাবে ন্যায্য বিচার? এসব জানার অপেক্ষায় এখন এলাকাবাসী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।