অবিনশ্বর প্রেমের জন্য প্রার্থনা ইদানীং পত্রপত্রিকায় ডাক্তারদের সমালোচনা বেড়ে গেছে। ডাক্তারগণ, সমালোচনায় হাল ছাড়বেন না, আপনি আপনার সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যান। বৈধভাবে যা আয় করার করুন । মন খারাপ করবেন না। কিছু দিন আগে শিক্ষকরা আর প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না এমন কি যেন জারি করা হয়েছিল।
কারা যেন চায় শিক্ষক আর ডাক্তাররা ভালো না থাকুক !
আজও এই জাতীয় দৈনিকে দেখলাম এক ভদ্রলোক (সম্ভবত বৃদ্ধ), যিনি নিজেকে সাংবাদিক বলে দাবি করছেন, তিনি চিকিৎসকদের “বেফক” সমালোচনা করলেন। উনি লিখলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকলে রোগী ডাক্তারের দেখা পান না, শুধু জুনিয়র কলিগ আর ছাত্ররা কালেভদ্রে দেখে যান !!!! কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারন প্রফেসররা সবসময়ই ওয়ার্ডে যান। আমি নিজে সাক্ষী। আর মাননীয় সাংবাদিক মহোদয়ের মতে জুনিয়র কলিগরা ডাক্তার না।
তারা সম্ভবত মানবাধিকার কর্মী অথবা সাংবাদিক ! জুনিয়র ডাক্তার কাউকে দেখতে পারবেন না !! তাহলে হাসপাতালে শুধু প্রফেসর নিয়োগ দেওয়া হোক। আর রোগীদের পাশে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হোক।
ছাত্রদের নিয়ে যা বলেছেন তা আরও মিথ্যা। নিজের শেখার স্বার্থে আমাদের রোগীদের দেখতে হয় এখন। আমরা কালেভদ্রে যাই না, বরং এত যাই যে ভয়ে থাকি রোগী বিরক্ত হচ্ছে কিনা।
“বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা কেমন তা দয়া করে আমাকে শেখাতে আসবেন না। মেডিক্যালের ছাত্রকে যদি ডাক্তারি, কোনও ভুঁড়িওয়ালা তথাকথিত মানবাধিকার আবাল কিংবা চেটের বালের হলুদ সাংবাদিকদের কাছ থেকে শিখতে হয় তাহলে আমাদের অবস্থা রাজনিতিক দলের মতো হবে।
পত্রিকায় আজ এসছে যে ডাক্তারদের ঘুম নেই, স্ত্রী সন্তানদের দেবার মতো সময় নেই। ইত্যাদি ! পাঠক, আপনি বলতে পারবেন, এটা কোন সংবিধানে লিখা? নাকি সাংবাদিকের নিজের বানানো ?
আমরা ঘুমাব নাকি রাত জেগে গাঁজা খাব এটা ঠিক করে দিবে আধুনিক ডিজিটাল সন্ত্রাসীরা ! আমার স্ত্রীকে আমি সময় দিবো, তাতে আপত্তি করবে কোনও আবাল ? আর আমি মিউমিউ করতে করতে তাদের কথা মেনে নেব !!!! শালার সাংবাদিকরা মানুষ না, এরা কুত্তার বাচ্চা,জারজ এতকিছু যে লিখছে সব উপরি ইনকামের ধান্ধা। কয়েকদিন পর থেকে তারা শিক্ষকদের আর ডাক্তারদের কাছে গিয়ে চাঁদা আদায় করা শুরু করবে।
”
রাগ করলেন পাঠক ? গালি দেওয়াতে ?
আসলে আজ পত্রিকায় দেখলাম যে সেই সাংবাদিকটি বলেছেন “চিকিৎসকদের মধ্যে যারা সৎ ও মানবিক, তারা মানবাধিকার চেয়ারম্যানের কথায় রাগ করেন নি, কারন তারা জানেন মন্তব্যটি তাদের জন্য না। ”
তদ্রুপ আমি বলতে চাই, এতক্ষন যে আমি মানবাধিকার চুদনের কর্মী আর হলুদ কুত্তার বাচ্চাদের গালি দিলাম, তাতে ভালো কর্মী আর সাংবাদিক ভাইয়েরা রাগ করবেন না। কারন আপনারা অবশ্যই জানেন, এই গালি ভালো মানুষগুলার জন্য নয় !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আর যারা রাগ করবেন,তারা গালির মাঝে পড়ে গেলেন। আসুন, দেখি কে কতো রাগ করতে পারেন আজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।