আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ে!!!

জীবন কিন্তু একটাই "বিয়ে”" শব্দটা শুনে যারা বিয়ে করেনি এবং যারা করেছে সবাই একটু মুচকি হাসে,শুভবিবাহ সবাই মনেপ্রাণে কামনা করে,আর এই বিয়ে নিয়ে আয়োজন,রীতিনীতি, কর্মকান্ডের কোন শেষ নেই,নানান প্রথা,প্রচলিত কানুন রয়েছে দেশ,ধর্ম,গোত্র ভেদে-উদাহরণঃ আমাদের দেশে কন্যাকে হলুদ দিয়ে বরণ কিংবা গ্রামাঞ্চলে “"বিয়ের গীত" গাওয়া ইত্যাদি আজকে আপনাদের একটু অন্যরকম মানে ভিনদেশি কিছু বিয়ের প্রথা ও প্রচলিত রীতির কথা বলব,অবশ্যই সেগুলো কিছুটা অদ্ভূত। আফ্রিকাতে নানান ধরণের উপজাতিদের বাস,এদের কয়েকটা গোত্রের কথা বললেই বোঝা যাবে আসলেই অনেক অদ্ভুতঃ মাসাই উপজাতির বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ের বাবা তাকে আশীর্বাদ করে। অবাক হচ্ছেন?আশীর্বাদ তো করবেই। কিন্তু আশীর্বাদটা কিভাবে করে শুনুন-বাবা বিয়ের অনুষ্ঠানে তার মেয়ের মাথায় আর বুকে থুতু ছিটায় আশীর্বাদস্বরুপ। তারপর মেয়ে বরের সাথে গৃহত্যাগ করে,যাবার সময় পিছনে ফিরে তাকানো নিষেধ আছে।

কারণ,এর ফলে “পাথর”-এ পরিণত হবার একটা কুসংস্কার আছে। সোহাহিল্লিঃএই উপজাতির সাথে আমাদের দেশের একটা রীতির মিল আছে। আমাদের দেশে মেয়েদের হাতে যেমন বিয়ের আগে মেহেদি লাগানো হয়,অনেকটা সেরকম। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে,সোমো নামক একজন বয়স্ক মহিলা থাকে,যার কাজ হচ্ছে বরকে সন্তুষ্ট করার ব্যাপারে মেয়েকে সবকিছু শিখিয়ে পড়িয়ে দেয়া,এমনকি প্রয়োজন হলে এই সোমো খাটের নীচে লুকিয়ে থাকে “কোন সমস্যা হলে তার সমাধান দেবার জন্য”!! নাইজার এ একটি গোত্রে নিয়ম হলো কাজিন দের সাথে বিয়ে। তো একটা মেয়ের দু’জন কাজিন থাকতে পারে,সেক্ষেত্রে মেয়েটিই বেছে নেবে তার বর,অপর কাজিন টা অনুমতি নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকতে পারবে,এমনকি মেয়ের অনুমতি নিয়ে তার সাথে রাত্রিযাপনও করতে পারবে।

নিয়মের কি বাহার! তানজানিয়ায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ,এখানে চন্দ্রমাস দেখে বিয়ে হয়,বিয়ের আয়োজন,কন্যা সাজানো এসব দিক থেকে আমাদের সাথে অনেক মিল আছে। তবে কুমারীত্ব খুব কড়াকড়িভাবে পরখ করা হয় বিয়ের রাতে,বিছানার উপর দাগ দেখে(প্রাপ্তবয়স্করা বুঝে নেবেন) কুমারীত্ব নিশ্চিত করা হয়,তারপর শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। আফ্রিকার সবচেয়ে বড় উপজাতি জুলু। জুলুদের বিয়েতে বউ তিনবার পোশাক পরিবর্তন করে কেবল শ্বশুরবাড়ির লোকদের খুশি করার জন্য। অনেক নাচগান এর পর বরের বাড়িতে বউকে নিয়ে যাওয়া হয়।

তাকে স্বাগত জানিয়ে একটা গরু জবাই করা হয়,হবুবউ সেই গরুর পাকস্থলীতে টাকাপয়সা দিয়ে সেই পরিবারের সদস্য হবার যোগ্যতা পায়,সোজাকথায় আমাদের দেশের যৌতুক এর মত। আপনার যদি বিয়েভাঙ্গার শখ থাকে তাহলে একজন কমেডিয়ান ভাড়া করে কঙ্গো-তে চলে যান,কারণ বিয়েচলাকালীন সময়ে বরবধূর হাসা একদমই নিষেধ। এতো গেলো বিভিন্ন উপজাতিদের কথা। ফ্রান্সের একটা আধুনিক বিয়ের কথা দিয়ে শেষ করি,ফ্রান্সে বিয়ের অনুষ্ঠানে হবু বরবউএর বন্ধুরা সব বাজে নোংরা বাসি উচ্ছিষ্ট খাবার একটা নতুন কমোড-এ জমা করে,আর এসব বরবউকে খেতে হয়,তবে নোংরা জিনিসের বদলে রাখা হয় চকলেট মিমি ইত্যাদি,কিন্তু এসব ঐ কমোডে মুখ ডুবিয়ে খেতে হয়,হোক না নতুন...কমোড-ই ত!!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.