পরির্বতনের সময় এখন.... প্রথম পর্ব দ্বীতিয় পর্ব তৃতীয় পর্ব কথায় আছে পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি.......পেপে, কলা আর ডাব খেয়ে মোটামুটি শান্ত সবাই....অনেকগুলো ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই মো্টামুটি হাঁপিয়ে গেলাম....তবে মেঘলা পর্ব শেষ করে বের হয়ে আসলাম.....মেঘলার সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক করে নিলাম পরবর্তী পরিকল্পনা....এবার ছুটে চলা নীলাচল এর পথে.....মহেন্দ্র সিং কে ভাড়া করলাম.....( মহেন্দ্র সিং মানে মাহিন্দ্রা অনেকটা সিনজি টাইপো )। এই পথটা বেশ আপ এন্ড ডাউন টাইপ....আর মনেন্দ্র সিং এর গতি সাথে যুক্ত হওয়ায় রোলার কোস্টার এর আনন্দ অনেকটা উপভোগ্য....ড্রাইভার বেটাও আমাদের সাথে যোগ দিলো....কথার ফাকে বেটার নামটা যা জানা গেলো..... তার নামও সুমন......আমরা তিনজনই আপ এন্ড ডাউন সাথে সমস্বরে চিৎকার করতে করতেই পথ শেষ করে ফেললাম....চলে এলাম নিলাচল.... নামকরনে সার্থকতা সত্যিকার অর্থে এখানে পাওয়া যায়......চারিদারে নীল আকাশের ছড়াছড়ি...সারি সারি পাহাড় আর নিচে সবুজের মাঝে কেউ যেন তুলি দিয়ে অন্কন করে রেখেছে...পথচিত্র......এখান থেকে বান্দরবন শহরটাকে ছোট ছোট কয়েকটা বিন্দুর সমষ্টির মতই মনে হচ্ছে..... ছবি দেখেন.... এখানে খুব বেশী সময় ধরে দেখার তেমন কিছু নেই....তবে সংক্ষিপ্ত বিশ্রাম এর জন্য চমৎকার জায়গা.....যতক্ষন থাকবেন ভালো লাগা আপনার পাশেই থাকবে.....তাই আমরা আবার শহর পানে ছুটে চললাম......মহেন্দ্র সিং সুমনকে ছেড়ে...অটো সুমনের গাড়িতে উঠলাম.......চল এবার রজাবাড়ি যাই.... আমিঃ আরে ভাই হোটেলের দিকে যাও কেন?? ড্রাইবা সুমন ঃ রাজবাড়ি যাবেন না বললেন। সাংগু হোটেলের কাছেই তো রাজবাড়ি..... বলে কি!!....রাজবাড়ি আশেপাশে আমরা ঘুরি ভবের দেশে...... রাজবাড়ি আসার পর যা দেখলাম তা হলো ....বান্দরবন শহরে মধ্যভাগে রাজবাড়ির সামনে একটা মাঠ তার পাশে পুকুর....আর মাঠ পেরিয়ে অপর প্রান্তে একটু ঘুরে গেলেই আমাদের সাংগু হোটেল.... মাঠে কাজকর্ম চলছে প্যান্ডেল তৈরী করার....লোকমুখে জানা গেলো.....আসছে বৃহস্পতিবার রাজা তার লোকদের খাজনা নিবেন.....সেই উপলক্ষে এখানে সাতদিনব্যাপি অনুষ্ঠান হবে......লোকে লোকারন্য থাকবে এই এলাকা......রাজা বছরের এই একটি বার সকলের সম্মুখে আসেন....রাজার এক মেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে আছে.... ১৯৩৪ সালে নির্মিত এই রাজবাড়িটির তেমন কোন সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি....তবে ফটক সহ বহিঃ দেয়াল বা সীমানা প্রাচীরটা বেশ আকৃষ্ট করেছে....এই প্রাচীর তৈরীতে নেপাল থেকে কারিগর এনে কাজ করানো হয়েছে... দেখে নিন... একটু দূরে একটি টিলার উপর জাদি বৌদ্ধ মন্দির....এটা স্বর্ণ মন্দির এর ছোট সংস্করন বলা যেতে পারে...তবে যেখানটায় উপাসনা হয় সেখানটায় যেতে পারিনি..... ছোট সংস্করন দেখে বড় জনকে দেখবে না তা হয় কি করে ....তাই আবার ছুটে চলা স্বর্ন মন্দির এর উদ্দেশ্যে...হ্যা এবার ১৫২টি সিঁড়ি টপকে উঠে গেলাম....স্বর্ন মন্দিরে..... এক নজরে.... স্বর্ন মন্দির এর উপর থেকে পাহাড়ের একাংশ.... স্বর্ন মন্দিরের উপরে পাহাড়ের পাদদেশে ছোট্র একটা পুকুর....অবাক হওয়ার মতই...তবে এই পুকুরটাকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করায় ....খুশি হতে পারিনি.....পুকুরের পাশেই এক কোনে এই সাইনবোর্ড.... অবশেষে স্বর্নমন্দির দর্শন হলো........সন্ধ্যা হয়ে গেছে....সেখান থেকে চলে এলাম...শহরে...চলতি পথে পেয়ে গেলাম স্কবি স্কবি ডু কার্টুন এর গাড়ি হালকা নাস্তা সেরে....এবার বান্দরবন বাজার দর্শনে বের হলাম.....রাত ৯টায় চলে এলাম হোটেলে... ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলাম.......হোটেল মালিকের সাথে দেখা....যার নাম ইউ চুইপ্রুই.....তিনি রাজার ছোট ভাই....শান্তিপ্রিয় মানুষ....হউচই করে এমন পাবলিক ভাড়া দেন না....তবে আমরা তাকে ভালোই পটাইছি......ওনার সাথে আলাপ এর পর্যায়ে...একটা জুটি পেয়ে গেলাম...যাদের কাছ থেকে ক্রেওক্রাডং যাওয়ার পথ নির্দেশিকা পাওয়া গেলো....যদিও আমাদের ইচ্ছে ছিলো নীলগীরি যাওযার....সেটা বাদ দিয়ে ক্রেওক্রাডং এবং ঝাদিপাই ঝর্নার উদ্দেশ্যে মনস্থির করলাম....তাই দেরী না করে খাওয়াদাওয়ার পাট চুকিয়ে....বাবুর্চিকে স্পেশাল একটা ধন্যবাদ দিয়ে...রাত্রিনিবাসের জন্য নির্ধারিত রুমে প্রবেশ করিলাম..... শত হলেও পরেরদিন বেশ ভালো একটা দখল যাবে..... (চলবে)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।