গোল্ডফিস ছিলো আমাদের, তারা পাক খেতো আর পাক খেতো টেবিলের উপর ছবির জানালাটা ঢেকে রাখা বোলটাতে ভারি পর্দাটার কাছে এবং আমার মা, সবসময়েই হাসিমাখা, আমরা সবাই যেনো সুখী হই তা চেয়ে, বলতেন আমাকে, ‘সুখী হ, হেনরি, বাপ আমার!’ তিনি ঠিকই ছিলেন: যদি পারেন, সুখী হওয়াই তো ভাল কিন্তু আমার বাবা সপ্তাহে অনেকবার করে তাকে আর আমাকে পিটিয়ে চললেন যখন তার ৬-ফুট-দুই কাঠামোর ভেতরটা নিয়ন্ত্রণহীন রাগে ফুসতো বুঝতে পারতো না বলে তার নিজের ভেতরে কী এমন তাকে এতো আঘাত করে চলেছে। আমার মা, হতভাগা মাছ, সুখী হতে চেয়ে, সপ্তাহে দুই তিনবার পিটুনির শিকার হতেন, আমি যেনো সুখী হই তা চেয়ে বলতেন: ‘ হেনরি, হাস! কখনো হাসিস না ক্যান তুই?’ এরপর কীভাবে হাসতে হয় তা দেখাতে, হাসতে ভাললাগতো তার , আর তা ছিলো আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে দুঃখের হাসি একদিন মারা গেলো গোল্ডফিসগুলো, পাঁচটার সবকটাই পাশ উল্টে গিয়ে জলের উপর ভাসতে লাগলো, চোখ তাদের তখনো খোলা, আর বাবা যখন ঘরে ফিরলেন, বেড়ালের দিকে ছুঁড়ে দিলেন মাছকটিকে রান্নাঘরের ফ্লোরের উপর এবং আমরা লক্ষ্য করলাম মা যখন হাসলেন
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।