আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার্লস বুকোওয়স্কি : ছন্নছাড়া এক মার্কিন কবি

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

চার্লস বুকোওয়স্কি (১৯২০-১৯৯৪) ছিলেন একজন কবি। মার্কিন কবি। ছন্নছাড়া এক মার্কিন কবি।

ছন্নছাড়া এই কারণে যে বুকোওয়স্কি একবার বলেছেন, সাম পিপল নেভার গো ক্রেজি, হোয়াট ট্রুলি হরিবল লাইভস দে মাস্ট লিভ। ছন্নছাড়া না হলে এভাবে কেউ বলে? বুকোওয়স্কির শহর মার্কিন দেশের লস এঞ্জেলেস। সে শহরের মানুষজনের জীবনস্পন্দন ফুঠে উঠেছে বুকোওয়স্কির লেখা গল্প, কবিতা ও উপন্যাসে; অবশ্য ধন্যাঢ্য ও সুখি মার্কিন জনগনের জীবন নয়, সমস্যাগ্রস্থ দরিদ্র মানুষের জীবনই বুকোওয়স্কির লেখায় খুঁজে পাওয়া যায়। কোণঠাসা লোকজনের প্রতি কেমন এক কবিসুলভ সহৃদয় প্রীতি ছিল বুকোওয়াস্কির । আকর্ষন ছিল মদের প্রতি, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ।

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি নাকি কবিদের অদম্য আকর্ষন থাকে। গতবছরে এক সাক্ষাৎকারে কবি নির্মেলেন্দু গুন বলেছেন, আমার কামবোধ প্রবল। এ তো গেল শরীরের হিসেব। মনের হিসেব অন্য। মনের এক রহস্যময় দিক রয়েছে।

সে রহস্যময় মনের বোঝাপোড়ায় বাংলার বাউল লালন ও মার্কিন মুলুকের কবি বুকোওয়স্কি অভিন্ন। লালন লিখেছেন- কে কথা কয় রে দেখা দেয় না। নড়েচড়ে হাতের কাছে খুঁজলে জনম-ভর মেলো না। আর, বুকোওয়স্কি ‘ব্লুবার্ড’ কবিতায় লিখেছেন, আমার হৃদয়ে আছে এক নীল রঙের পাখি আমায় ছেড়ে যে যেতে চায় চলে কিন্তু পাখিটিকে আমি কঠোর স্বরে বলি : আমার হৃদয়েই থাক তোমায় আমি দেখাব না কাউকে । বুকোওয়স্কির মা জার্মান।

বাবা অবশ্য আমেরিকান। বুকোওয়স্কির জন্ম জার্মানিতে। ৩ বছর বয়েসে অবশ্য পরিবারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসে। প্রথমে বাল্টিমোর ম্যারিল্যান্ডে বাসবাস করতে থাকে; পরে চলে আসে লস এঞ্জেলেস । বুকোওয়স্কির বাবার প্রায়শ চাকরি থাকত না।

খুব মেজাজি ছিলেন ভদ্রলোক, ভীষণ রাগারাগি করতেন। বুকোওয়স্কির লেখা উপন্যাসে এসব তিক্ত অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। বুকোওয়স্কির শৈশব সুখকর ছিল না। পাড়ার ছেলেপুলেরা ওকে ‘জার্মান’, ‘জার্মান’ বলে ক্ষেপাত। চর্মরোগ হয়েছিল হাইস্কুলে পড়ার সময়।

ঘরে বন্দি থাকতে হত। এভাবেই স্কুল ও কলেজের গন্ডি পেরোয় কিশোর। তরুন বয়েসে (১৯৪০/১৯৪৫) ২য় মহাযুদ্ধে ডামাডোল। তখনকার দিনে মার্কিন তরুণদের যুদ্ধে যাওয়ার জন্য সরকারি খাতায় নাম লেখাতে হত। বুকোওয়স্কি র ব্যাপারটা পাছন্দ হয়নি।

কেননা, ‘বি কাইন্ড’ নামে একটি কবিতায় বুকোওয়স্কি র লিখেছিলেন: উই আর ওলয়েজ আস্কড টু আন্ডারস্ট্যান্ড দি আদার পারসনস ভিউপয়েন্ট নো ম্যাটার হাউ আউট-ডেটেড ফুলিশ অর অবনক্সাস। সম্ভবত এ কারণেই সরকারি খাতায় নাম না লিখিয়ে লুকিয়ে থাকল। এফ বি আই তাকে ধরল। জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দিল সতোর দিন পর। পরে, ‘আ চ্যালেঞ্জ টু দি ডার্ক’ কবিতায় লিখেছেন: shot in the eye shot in the brain shot in the ass shot like a flower in the dance এসব বিস্ময়কর বোধ ও ব্যাতিক্রমী উপলব্ধিই হয়তো যুদ্ধে না যাবার জন্য কারণ হিসেবে কাজ করেছে।

কী এক অস্থির অসহ্য সময়! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। নিহত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ। আহ্, যদি সব ভুলে থাকা যেত! মদ চাই মদ। মদ ধরল তরুণ কবি। আমৃত্যু মদ হয়ে থাকল সঙ্গী।

এবং একজন অসুখি তরুণ বেড়ে উঠছে লস এঞ্জেলেস শহরে । ৫০ এর দশক। অ্যান্ড দ্য মুন অ্যান্ড দ্য স্টারস অ্যান্ড দ্য ওয়াল্ড কবিতায় লিখেছেন: রাত্রিতে অনেকক্ষণ হাঁটা- আত্মার জন্য ভালো: জানালায় উঁকি দিয়ে দেখা ক্লান্ত গৃহিনীদের বিয়ারআসক্ত স্বামীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ... নীলাভ চোখ স্বর্ণকেশী জেন নামে একটি মেয়ের সঙ্গে হঠাৎ দেখা। দেখে চমকে ওঠা। কবিতা লিখেন শুনলাম।

এই তো। বুকোওয়স্কি থতমত। শোনান না? প্লিজ। বুকোওয়স্কি টের পেল কপালের বাঁপাশের শিরা কাঁপছে। শোনান না? প্লিজ।

জেন আদুরে গলায় বলে। যেন পৃথিবীতে কবিতা ছাড়া কিছু নেই। আসলে এসব পরিচয় করার ছল। বুকোওয়স্কি সদ্যলিখিত কবিতা পাঠ করতে থাকে। বাড়ির পাশে।

নগ্ন। সকাল ৮টা। শরীরে মেখে তিলের তেল, ওহ যিশু, আমি কি এসেছি এখানে? একসময় আমি হাসব বলে অন্ধকার গলির সঙ্গে যুদ্ধ করতাম। আমি এখন হাসছি না ... কবিতা পাঠ শেষ হলে জেন বলল: ভারি সুন্দর হয়েছে। বুকোওয়স্কি জেন এর সুন্দর মুখের দিকে চেয়ে থাকে।

সময়টা পঞ্চাশ দশক। লেখা ছাপাচ্ছে না। মন খারাপ। মন খারাপ। মন খারাপ।

মন খারাপ। মন খারাপ। মন খারাপ। মন খারাপ। আর বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি ... তারপর মারাত্মক অসুখ হল।

আলসার ধরনের। রক্ত যাচ্ছে। হাসপাতালে ভরতি হতে হল। জেন এর মুখ উদ্বিগ্ন । বিবর্ন।

একসময় অসুখ সেরে যায়। জেন ও সরে যায়। ধরে রাখা গেল না। যেন ও এসেছির অসুখের সময় পাশে থাকতে, ভরাসা যোগাতে । এমনই হয়।

এরপর জীবনে এল বারবারা নামে এক নারী। নারীটি কবি। দু-পক্ষের বিয়ে হল। তারপর যা হয়। ১৯৫৯ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়।

১৯৬০। অর্থনৈতিক সঙ্কট। লস এঞ্জেলেস পোস্ট অফিসে চাকরি নিতে হল। এখানেই কেরানি হিসেবে কাজ করতে হয়েছে পরবর্তী ১২ বছর। বুকোওয়স্কির প্রথম উপন্যাসের নাম: ‘পোষ্ট অফিস।

’ ১৯৬২ সাল। ভয়ানক এক সংবাদ এল। জেন মারা গেছে। হা, ঈশ্বর! কবিতায় ফুটে উঠল সে দুঃখ আর আক্ষেপ। ‘জেন এর জন্য’ কবিতায় লিখেছেন: ২২৫ দিন তুমি ঘাসের তলায় তুমি আমার চেয়ে এসব ভালো করে জান।

তারা অনেক ক্ষণ ধরে তোমার রক্ত নিয়েছে, তুমি ঝুড়িতে শুকনো কাঠি? এভাবেই কি সব হওয়ার কথা ছিল? এই ঘরে এখনও প্রেমের প্রহরে এখনও ছায়ার দেখা মেলে। যখন তুমি চলে গেছ প্রায় সব কিছুই নিয়ে গেছ তুমি । আমি রাতে অবনত হই বাঘের সামনে আমাকে যা হতে দেবে না। ১৯৬৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় জন মার্টিন নামে একজন সাহিত্যপ্রেমিক ব্ল্যাক স্প্যারো প্রেস নামে একটি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। সাহিত্য পত্রিকা ছেপে বের করত ব্ল্যাক স্প্যারো প্রেস ।

বুকোওয়স্কি র কিছু লেখা চোখে পড়েছিল জন মার্টিন এর। ১৯৬৯। বুকোওয়স্কি কে ডেকে জন মার্টিন বললেন, আপনি চাকরি ছাড়–ন তো মশাই। সে কী মশাই! বুকোওয়স্কি অবাক। চাকরি ছাড়লে খাব কি? জিজ্ঞেস করলেন।

সে সব আমি দেখছি। জন মার্টিন বললেন, আপনি কেবল লিখতে থাকুন। পরে বুকোওয়স্কি লিখেছেন, আমার সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। এক পোষ্টঅফিসে চাকরি করতে করতে পাগল হয়ে যাওয়া। নয়তো লেখকের জীবন বেছে নিয়ে ক্ষুধার্ত থাকা।

আমি ক্ষুধার্ত জীবনই মেনে নিয়েছিলাম। জন মার্টিন যে সময় বুকোওয়স্কির লেখা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেসময় বুকোওয়স্কির তেমন নামডাক হয়নি- কৃতজ্ঞাসরূপ ব্ল্যাক স্প্যারো প্রেসকে প্রচুর লেখা দিয়েছেন বুকোওয়স্কির । অন্য ছোট ছোট প্রকাশনীর স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন, তাদেরও আমৃত্যু লেখা দিয়েছেন বুকোওয়স্কি। পোষ্টঅফিসের চাকরি ছেড়ে ডুবে রইলেন লেখায় । কবিতা আসলে ব্যতিক্রমী ভাষায় জীবনেরই ব্যাখ্যা।

আমরা মৃত্যুর আগে কী বুঝিতে চাই আর? জানি না কি আহা, সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে ধূসর মৃত্যুর মুখ- একদিন পৃথিবীতে স্বপ্ন ছিল- সোনা ছিল যাহা নিরুত্তর শান্তি পায় - যেন কোন্ মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে। কী বুঝিতে চাই আর? রৌদ্র নিভে গেলে পাখিপাখলির ডাক শুনি নি কি? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখি নি কি উড়ে গেছে কাক। জীবন ব্যাখ্যা করছেন নিমগ্ন বুকোওয়স্কি। আর সেজন্যই জীবন হয়ে উঠল উদ্দাম- যেমন মহত্তম কোনও কিছুর খোঁজে নিরাপদ সোজা রাস্তা ছেড়ে অনিরাপদ অ-যায়গাতেও যেতে হয়, অনেকটা সেইরকমই । প্রিয় নেশা মদ তো ছিলই, এবার যুক্ত হল নারী।

নিজস্ব উপলব্ধিকে পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষেই নারীর সান্নিধ্য, ভঙ্গিমা, উষ্ণতা ও কান্না খুব কাছ থেকে লক্ষ করছেন কবি। নারীর অঙ্গে না নারীর চেতনায়- কোথায় নিহিত আছে মহাকালকে উপলব্ধি করবার সূত্র? এই প্রশ্নে কাতর কবি। যদি তাকে সাহিত্যে পূনঃনির্মান করি তো? এভাবে কবিতা ও গল্পের উপাদান যোগাত লাস্যময়ী রহস্যময়ী সব নারীরা। তেমনই একজন উঠতি অভিনেত্রী লিন্ডা লি। বুকোওয়স্কির ‘ওমেন’ ও ‘হলিউড’ নামক উপন্যাস দুটিতে লিন্ডা লি অন্যনামে আছেন।

আসলে বুকোওয়স্কি ছিলেন তান্ত্রিক । মিস্টিক। মরমীবাদীদের নারীদের ঘনিষ্টভাবে জানতেই হয়। অনেক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সংযোগ গড়ে উঠতে লাগল কবির। লাল নীল রঙের নমনীয় উষ্ণ নারীদের সঙ্গে চলল লস এঞ্জেলেসের জোছনায় অবগাহন ।

কিংবা, প্রশান্ত মহাসাগরের সৈকতটি অতি নিকটেই। সমুদ্রের লবনাক্ত ঢেউয়ের ভিতর স্বল্পবসনা নারীর সান্নিধ্য অন্যমাত্রা পায়। অভিনেত্রী লিন্ডা লি-র সঙ্গে পরিচয় ১৯৭৬ সালে। ভিন্নধর্মী একটি রেস্তোঁরার মালিক লিন্ডা লি যেহেতু অভিনেত্রীটি ছিল ভারতীয় গুরু মেহেরবাবার ভক্ত। বুকোওয়স্কির ভিতর কি পেল কে জানে।

দীর্ঘদিন টিকে থাকল ঘনিষ্ট ও গভীর অবৈবাহিক সর্ম্পকটি । এরপর ১৯৮৫ সালে দুপক্ষের বিবাহপর্ব সম্পন্ন হল। ততদিনে সানপেড্রো ক্যালির্ফোনিয়ায় স্থায়ীভাবে বাস করছেন বুকোওয়স্কি। সমুদ্র তীর ঘেঁষে বাংলো। উত্তাল বাতাস।

অফুরন্ত অবসর। লিখে যাচ্ছেন। কবিতা ছাড়াও ৬টি উপন্যাস ও অজস্র ছোট গল্প লিখেছেন। সে না হয় বোঝা গেল। কিন্তু কবিতা লিখে কী পেলেন ছন্নছাড়া লোকটি? “অ্যাজ দি পোয়েমস গো” কবিতায় বুকোওয়স্কি লিখেছেন: হাজার কবিতা লেখা হয়ে গেলে পর পাওয়া যায় টের, হয়নি তেমন সৃজন ।

জীবনভর কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা। দরিদ্র মা-বাবা, অপরুপ লস এঞ্জেলেস শহর। তার রোদ -শৈত্য-ভূমিকম্প- দাবানল। জেন নামে একটি তরুণি মেয়ে; তার নীল নীল চোখ; তার মৃত্যু ... কিন্তু কিন্তু বুকের ভিতরের যে নীলরঙা লুকোন পাখিটি রয়ে গেছে সে পাখিটিকে চেনা গেল না যে ... আমার হৃদয়ে আছে এক নীল রঙের পাখি আমায় ছেড়ে যে যেতে চায় চলে কিন্তু পাখিটিকে আমি কঠোর স্বরে বলি : আমার হৃদয়েই থাক তোমায় আমি দেখাব না কাউকে । আমৃত্যু সেই নীলপাখিটি কাউকে দেখতে দেননি ছন্নছাড়া কবিটি।

১৯৯৪। এক ধরনের রক্তের অসুখ (লিউকেমিয়া) ধরা পড়ল। ৯ মার্চ । ৭৩ বছর বয়েসে নীলপাখিটি উড়ে গেল দেহখাঁচা ছেড়ে । অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিধবা স্ত্রী লিন্ডা লি ছাড়াও ক্যালির্ফোনিয়ায় বসবাসরত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সমবেত হয়েছিল।

বৌদ্ধদর্শন বাংলার বাউলদের জীবনধারায় সুগভীর প্রভাব রেখেছিলেন। বাউলশ্রেষ্ট হিসেবে লালনকেই গন্য করা হয়। লালনের আখড়াবাড়িটি কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ায়-সেই আখড়াবাড়িটির আঙিনায় ২০০৩ সালের দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মার্কেট নির্মানের উদ্যেগ নিলে সংস্কৃতিকর্মীরা তুমুল আন্দোলন করে ব্যবসায়ীদের সেই উদ্যোগ ব্যর্থ করে দেয়। বুকোওয়স্কির ক্যালির্ফোনিয়াস্থ বাংলোটিও মার্কিন বহুতল নির্মানকারী ডেভেলাপারদের চোখে পড়েছিল। বহুতল নির্মানের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে সেটি ভাঙার উদ্যোগ নিলে মার্কিন সংস্কৃতিকর্মীরা তুমুল আন্দোলন করে ব্যবসায়ীদের দুরভিসন্ধি রোধ করে।

জীবদ্দশায় বুকোওয়স্কি তীব্র ধিক্কার উচ্চরণ করেছিলেন: Boring damned people. All over the earth. Propagating more boring damned people. What a horror show. The earth swarmed with them. জীবদ্দশায় লালন গেয়েছিলেন: এ দেশেতে এই সুখ হল আবার কোথায় যাই না জানি। পেয়েছি এক ভাঙা নৌকা জনম গেল ছেঁচতে পানি। সব শেষে বুকোওয়স্কির কয়েকটি বাণী পাঠ করা যাক: Genius might be the ability to say a profound thing in a simple way. It's possible to love a human being if you don't know them too well. You begin saving the world by saving one person at a time; all else is grandiose romanticism or politics. There is a time to stop reading, there is a time to STOP trying to WRITE, there is a time to kick the whole bloated sensation of ART out on its whore-ass. There are worse things than being alone. Sex is interesting, but it's not totally important. I mean it's not even as important (physically) as excretion. A man can go seventy years without a piece of ass, but he can die in a week without a bowel movement. Sometimes you just have to pee in the sink. এই হল আমৃত্যু হৃদয়ে নীলপাখি লুকোন ছন্নছাড়া এক মার্কিন কবি ...


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.