বাঙলা কবিতা বিজন মাঠের মধ্যে এইসব রাখালিয়া বাজে ---রহমান হেনরী---- নদীকে নদীর মতো নেচে যেতে দাও, আকাশের উদারতা তাকে দিক অনন্ত ইশারা; মাঠের গুঞ্জন থেকে উৎসারিত সংগীতের সাথে স্রোতের বিশিষ্ট স্বরভঙ্গিমার ঐকতান হোক! পরিত্যক্ত স্বজনেরে তোলো সেই অনন্দিত ভাসান-যাত্রায় ফাল্গুনের ঝরাপাতাটির মতো, সেও হোক দিগন্তের নিরুদ্দেশগামী। অনেক বছর পর, শীর্ণ পাতার এক জলভেজা গলিত কঙ্কাল যে-রকম তুলেছিলো স্নানের দুপুরে কোনও জেলেদের বউ যে-পাতার জালিকা বিন্যাসে মেখে গিয়েছিলো শ্যাওলাময় সবুজ সবুজ শত দিবসের অনাদর-স্মৃতি; সেরকমই কোনওদিন না হয় আবারও তুমি খুঁজে নিও অদরকারী পুরাতন মানুষের মুখ, নদীটির হৃদয়ের কাছে তাকে চেয়ে নিও, যদি মনে হয়, সমস্ত বাতিল ঋতু পরিত্যায্য নয়, নদীজলে ভাসানের উপাদান নয়! আবারও প্রসঙ্গক্রমে, ডেকে এনো সুপ্রাচীন দিনের হাওয়াকে; ভেসে যাওয়া যুগ ও ঋতুরও মধ্যে আগামীর নতুনত্ব থাকে। ২. বায়ুস্বরে কার সংবেদনা থেকে উঠে আসে এমন প্রভাতকালে আহির ভৈরবী? সে কি কোনও গ্রামদেশে নির্জন কবি? ধ্বনির পসরা তার মেলে ধরে ঐচ্ছিক বাতাসে? অনন্ত কালের মধ্যে বসে থেকে হৃদয়ে ও কানে সে কার অন্তর্জ্বালা শুনেছিলো মাঠের ওপাশে? ইতিহাস থেকে যেই সুর আসে এই বর্তমানে তার কোনও স্বরলিপি নির্জন মাঠের আভাসে কাল বুঝি এঁকে রেখে গিয়েছিলো অদৃশ্যের ছবি? ভোরের বিষণ্ন রোদে আমি টের পাই সেই এক কবি আছে, কোথাও নির্জনে, দূরে অস্তিত্বের বর্ণচোরা জাফরানে-কর্পূরে বাতাসে বাতাসে যার বাজবে সানাই স্তব্ধতা-ছেঁড়া ভোরে, এইসব ইঙ্গিত ভাসে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।