আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একুশের আক্ষেপ



একুশ মানে ভাষা একুশ মানে আশা একুশ মানে প্রাণ রক্তের তাজা ঘ্রাণ। সোচ্চার আজ বাঙালি তবু রক্তের নেই তেজ কেন না হয়ে বলিয়ান করে না আন্দোলন? ভাষার জন্য-বাংলা ভাষা। যে ভাষা জাগিয়েছে বাংলার সহস্র কোটি প্রাণ। রক্তে ঝরেছে ভাষা প্রেমিকের তবু আন্দোলন হয়নি তো অম্লান। আজ তবে কেন এমন দশা? কথোপকথনে বিদেশি ভাষা হয়েছে সয়লাব চারদিক? কে দেবে উত্তর? কে আছো জনতা? তোমরা কি জন্মেছ এই বঙ্গভূমে অমৃত করেছ পান এই বঙ্গমাতা? তোমরা বিশ্বাসঘাতক! তোমরা দালাল! আশার মায়ায় স্বস্তির ছায়ায় প্রবঞ্চণা করেছ হে বাংলা দামাল।

মুক্ত প্রাসাদ দেখিয়ে আহবান করেছ পিছে পিছে তোমরাও চলেছ দ্বার প্রান্তে পৌছে গিয়ে রুদ্ধ করেছ দ্বার আগন্তুক দ্বারা হনন করেছ বাঙালি হৃদয় বার বার। তোমরাই তো আশা যুগিয়েছিলে সংখ্যায় ছিলে বেশ ভারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য বাঙালির সে কি আহাজারী! আজ কেন বাংলায় কথা বল না? সবই কি বাঙালির ছলনা? দিয়েছে প্রাণ, ওরা দিয়েছে আমাদের কী- এটাই কি ভাবনা? আজও অনেক মা নিরবে বুকে চেপে রাখে কান্না। তোমাদের কি কোন লজ্জা নেই? নেই কোন সম্মান? জাতি এক কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়ে রচনা করতে বসেছে আরেক কলঙ্কময় অধ্যায়। যেখানে অঙ্কিত হবে তাদের চিত্র যত আছে এই বাংলাতে বেঈমান। জাতির রচনাধীন এ নতুন কলঙ্কের নাম হবে কুহক! আশা দেখিয়ে নিরাশার পথে চালিত হয় যারা আলো দেখিয়ে কালোর দিকে পা বাড়ায়, তারা তো কুহক! কুয়াশার ধুম্রজালে তারা বন্দি রবে চিরদিন।

প্রতিদান তো দূরে থাক এতটুকু শুধতে পারবে না এ স্বাধীন বাংলার ঋণ। বিদেশি ভাষায় আজ ছেয়ে গেছে দেশ এতটুকু নেই কারো চিন্তা-ক্লেশ। কুহকাচ্ছন্ন বাঙালি আজ পশ্চিমা সংস্কৃতির কুপ্রভাবে শুরু করেছে নগ্ন হতে, গাত্রবস্ত্রখানি পরিত্যাগ করে উন্মুক্ত হয়ে দেখাতে চায় তাদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য আর যত অশিষ্টের সমাচার। বাংলাকে তারা ভুল্বশত ব্যবহার করে এমনটাই হয়েছে তাদের। পশ্চিমা সংস্কৃতি ছুঁতে পেরেছে যাদের।

অহরহ বলছে বাংলা ও ইংরেজি। যাকে আবার হাস্য করে বলা হয় বাংলিশ! ধিক্কার বাঙালি! তোমাদের ধিক্কার! যে মাতৃভাষার জন্য এত ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন, ক্রন্দন, প্রতিবাদ আর প্রতিক্ষা অবশেষে জীবন বিনিময়ে তা রক্ষা সে সফলতার ম্লান হতে নেই বেশি অপেক্ষা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।