খুব ছোটকাল থেকে লেখালেখি করছি। গদ্য ,পদ্য দুটোই লেখার চেষ্টা করি। তবে সবাই বলে আমার গদ্যের হাত ভাল, আমিও তা মনে করি। তাই গল্প নিয়ে বেশি পড়ে থাকি। তবে পড়ালেখা ছেড়ে কখনো অন্য কিছু করার চেষ্টা করি না।
আমার সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা `প্রভাতী' নামে একটা শিশু পাত আমি যখন প্রথমদিকে পত্রিকায় লেখালেখি করি আমার বিস্ময়ের বস্তু ছিল আবিদ আজম। এটা বোধয় ২০০৮-৯ এর দিকে। যে পত্রিকা খুলতাম সে পত্রিকার শিশুপাতায় তার ছড়া চোখে পড়ত। তার ছড়ার অসাধারণ গুনের কারণেই তার লেখার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও জানতাম না এই মানুষটির বয়স এত কম!
আপনারা অনেকে ভাববেন হয়তো বাতুলতা করছি, কিন্তু কয়েকটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন আমি সত্যি কিনা।
আর আমি কী বলব, স্বয়ং আল মাহমুদ যেখানে বলছে, “তারুণ্যের সোনালী আলোয় আলোকিত একটি নাম। বয়সের গন্ডি ছাড়িয়ে আবিদ তার সৃষ্টিশীলতার আলোকরাশ্মি ছড়িয়ে দিয়েছে নানান দিকে। ”
এবারের বই মেলায় প্রতিভা প্রকাশ (স্টল নম্বর-৬২৮) বের করেছে আবিদ আজমের ছড়ার বই “খসড়া ছড়ার পসরা”। চমৎকার প্রচ্ছদের এ বইটিতে স্থান পেয়েছে ৪৪ টি ছড়া কবিতা। হাস্যরস আর ভাবের গভীরতা মিলিয়ে মজার সব ছড়া।
ধাঁধা ছড়াটার কথাই ধরা যাক-
ফুল দিয়েই করছি তোদের
আত্মত্যাগের স্মরণ
দিবস এলে অশ্রু ফেলে
করছি ঠিকই বরণ।
এই মাটিতে দেখছি আজব
স্বাধীনতার ধরণ
তবে কি ছাই বলবো দুঃখে
বৃথাই রক্তক্ষরণ।
এমনো আরো অনেক মজার মজার ছড়ায় ঠাসা বইটি। বইটি থেকে একটা লিমেরিক শোনাই তোমাদের-
স্বীকার করে নিচ্ছি আমি স্বীকার করে নিচ্ছি,
তুমি হলে বিশাল মানুষ আমি হলাম পিচ্ছি
আমি তোমার কথার শিকার
তুমি লাউড এক স্পিকার
তাই তোমাকে বড় মেনে সার্টিফিকেট দিচ্ছি।
অসাধারণ এই বইটির ভূমিকা লিখেছে সদ্য প্রয়াত ছড়াকার , সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ।
তিনি অবাক হয়ে বলেছেন,“ আমি ভীষণ হতবাক এ রকম এ তরুণ অথচ বিশুদ্ধ ছড়া রচয়িতার আগে একক কোন ছড়ার বই বেরোয়নি। ”
আমাদের দেশের তরুণ লেখকরা সত্যিই উপেক্ষিত,তবে প্রতিভা কখনও থেমে থাকে না। তাই আবিদ আজমরাও থেমে থাকে না। তারা নিজেদের পথ নিজেরা করে নেয়।
বন্ধুরা, বইটি সংগ্রহ করে তোমাদের ছড়া আর বইয়ের সংগ্রহ সমৃদ্ধ কর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।