একজন শব্দ শিকারি এই মাত্র অসাধারন একটি উপন্যাস আত্মদহন শেষ করলাম।
ভাবলাম এটা নিয়ে কিছু লেখা দরকার। তাই এই রিভিউ....
লেখকেরা অনেক চরিত্র তৈরী করেন এবং তাদের লেখার মাঝে চরিত্রটিকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেন যেন তা বাস্তব। অনেকে আবার ঐসব চরিত্রের মত করে নিজেদের তৈরী করেন, ঐসব চরিত্রের মত করে পোষাক পরেন, চালচলন কথাবার্তায় নিয়ে আসেন ঐ চরিত্রকে। আত্বদহন উপন্যাসটিতে শহীদুল আমিন একজন লেখক যার লেখা চরিত্র মানুষের মনে প্রভাব ফেলে, টিন-এজারা উনার সৃষ্ট চরিত্রের মত করে পোষাক পরে।
শহীদুল আমিনবিশাল অংকের টাকার অফার পেয়ে উনার লেখালেখিতে নতুনত্ব আনার জন্য নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজতে থাকেন এবং শেষে সাগড়দাঁড়িতে গিয়ে সেখানের মোটেলে উঠেন। বাবর নামের দারোয়ানকে বলে রাখেন যেন কেউ তাকে বিরক্ত না করে কিন্তু মারুফ নামক একজন যুবক জোর করেই উনার সাথে দেখা করেন। মারুফ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার উপর অনার্স করছে বর্তমানে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। মারুফ ছোটবেলা থেকে সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ অনুভব করে এবং অনেকে নামী লেখকের লেখা সম্পর্কে তার বিশাল ধারনা। সে শহীদুল আমিন সাহেবের সব লেখা পড়েছে এবং উনার একটি গল্পের সাথে তার নিজের জীবনের মিল খুঁজে পায়।
সে এটি নিয়ে লেখকে সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু লেখক তাকে সময় দিতে নারাজ।
লেখকের কাছ থেকে সময় না পেয়ে সে ঐ লেখাটির চরিত্রের সর্বশেষ পরিনতি তার জীবনেও টেনে আনে এবং প্রেতাত্না হয়ে লেখক শহিদুল আমিনের কাছে গিয়ে উনার মাথায় ভর করে উনাকে মারুফ তার জীবনের সব কথা শুনতে বাধ্য করে। মারুফের এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারনে পরোক্ষভাবে দায়ী হন ঐ চরিত্রের জন্মদাতা লেখক শহীদুল আমিন।
লেখকেরা নিজেদের মনের কথাটুকু শুধু লিখে দেন কিন্তু ভাবেননা এর পরিনতি কি হতে পারে। আত্মদহন উপন্যাসটিতে লেখক পারভেজ রানা লেখার প্রতি লেখকদের দ্বায়িত্ববোদটুকু সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ডের ৪৭৫ নম্বর স্টলে, প্রচ্ছদ একেঁছেন অপুর্ব খন্দকার, দাম ১০০ টাকা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।