স্বেচ্ছাচার না করা গেলে তারে স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতা মানেই স্বেচ্ছাচারের অধিকার। তাজউদ্দীনের নাতি রাকিব হোসেনের ওপর পুলিশের নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাইছেন সাতজন বিশিষ্ট নাগরিক [সাত বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি: তাজউদ্দীন আহমদের নাতির ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে হবে / prothom-alo.com] । তারা নাকি এই ঘটনার মাধ্যমে বুঝতে পারছেন "সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে কতটা নিরাপত্তাহীন!" এই দাবিদাররা হইলেন হামিদা হোসেন, শামসুল বারী, সুলতানা কামাল, খুশী কবির, ইফতেখারুজ্জামান, মেঘনা গুহঠাকুরতা ও সারা হোসেন। ওনাগো এই বিশিষ্ট উদ্বেগ দেইখা মনে হয় এই প্রথম পুলিশ কাউরে নির্যাতন করল। এই উদ্বেগ যাদের কারণে তাদেরকে অর্থাৎ বিশিষ্টজনদের যাতে আর পুলিশ না মারে এই কি তাদের দাবি? তাই তো মনে হয়। কারণ অ-বিশিষ্টগো আগেও পুলিশে নির্যাতন করছে, কী কী প্রকারে করে তা অন্তত সারা হোসেনের পেশাগত কারণেই বুঝতে পাইরা থাকার কথা আর অন্যরা যদি না বুঝতে পারেন আগে তাইলে সাধের বিশিষ্টজন বইলা দাবি উত্থাপনের কারণ দেখি না। তো ওনাগো এই দাবির একটা অর্থ এই রকম করা যায় যে পুলিশ খালি সাধারণ মানুষরেই নির্যাতন করুক। কারণ সাধারণ মানুষের উপরে নির্যাতন হইলে বিশিষ্টজনরা বুঝতে পারেন না "সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে কতটা নিরাপত্তাহীন!" তা শুধু বিশিষ্টজনরা নির্যাতিত হইলেই বোঝা সম্ভব হয়! সাধারণ মানুষের উপরে নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতেই তাজউদ্দীন আহমদের নাতির ঘটনা ঘটছে, অথচ তারা পুনরাবৃত্তি রোধ করতে চান তাজউদ্দীন আহমদের নাতির ঘটনা থিকা। তার আগে আর যেন কিছু নাই কিছু নাই...!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।