হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে...
নিজের নাম নিজেও রাখেন কেউ কেউ বড় হয়ে আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করে। সাধারণত সন্তানাদির নাম পিতা-মাতা কিংবা আত্মীয় স্বজন রাখেন। শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে-- সে বুঝতে থাকে তার নাম রাম, রহিম, সলিম, করিম অথবা ...
কিন্তু সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কল্যাণে হরহামেশাই শুনছি যে, আমি ডক্টর অমুক...। কথা এখানে নয়, মূলত কথাটা হচ্ছে কারো নামের সাথে পিতামাতা 'ড' ডট যুক্ত করেন না। বলবেন, পরবর্তীতে সে নিজে জ্ঞানগরিমা অর্জন করে নামের সাথে 'ড' লাগাবার সুযোগ লাভ করেছে।
দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, যারা নামে সাথে 'ড' লাগিয়ে গর্ব অনুভব করছেন, তারা একবারে ভেবে দেখেন না যে পড়ালেখা করে যে সার্টিফিকেট অর্জন করা হয়, তা কখনো নামের পূর্বে যুক্ত হতে পারে না। কেউ যদি নিতান্তই তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা প্রচার করতে চান, তাহলে তিনি সেক্ষেত্রে নামের শেষে তৃতীয় বন্ধনী ব্যবহার করে তা করতে পারেন।
এ ব্যাপারটিকে একটু সহজ করে বলা যায়-- আমরা যারা বিএ. এমএ. পাশ দিচ্ছি, তার কি লিখছি, নাকি বলছি-- 'বিএ' অমুক অথবা 'এমএ' তমুক...। নিঃসন্দেহে সবাই বলবেন, তা তো করা হয় না। কেন করা হয় না, তাও সকলেই জানেন।
কারণ, একাডেমিক পড়ালেখা করে সে বিএ. এমএ. সার্টিফিকেট অর্জন করেছে, সেগুলো তার নামের অংশ নয়। অথচ একই ব্যাপার 'ড' ডট-এর ক্ষেত্রেও। কারণ, যিনি 'ড' লাগিযে গর্ব অনুভব করছেন, তিনিও এমএ-এর পরে আরো প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা করেছেন এবং 'ডক্টর অব ফিলসফি' বা পিএচডি. ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলায় যাকে বলা যায়-- দর্শনে পণ্ডিত। সুতরাং একটি প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের সংক্ষেপ কেন ঐসব পণ্ডিতগণ নামের পূর্বে সংযুক্ত করে নিজের বাপ-দাদার দেয়া নামটি বিকৃত করে 'ড' ডট নামের একটি লেজ নামের সাথে জুড়ে দিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন, তা বোধগম্য হয় না।
এছাড়াও আছে অন্য কথা-- যারা কথায় কথায় 'ড'-এর বড়াই করেন, তাদের অনেকর রিসার্চ পেপার কোনদিন আলোর মুখ দেখে না। কেন দেখে না, যিনি 'ড'-এর আত্মপ্রসাদ অনুভব করেন, তিনি নিশ্চয় জানেন।
.... পরে কোনদিন আপনাদেরকে 'ড' ডটের অন্ধকার জগত সম্পর্কে জানাবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।