আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাশেম ভাই চলে গেলেন।

মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু তারপরও সব মৃত্যু মেনে নিতে মন চায়না। কাশেম ভাইয়ের মৃত্যুটাও এমন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র ইউনিয়ন করেছেন এক সময়। ন্যাপের সাথেও যুক্ত ছিলেন। পেে যুক্ত হয়েছিলেন আওয়ামি লীগের সাথে।

সততার এক বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সমগ্র কর্মজীবনে। অভাবে দিন কাটিয়েছেন কিন্তু কখনো নিজের আত্মমর্যাদা বিসজন দেন নি। কতজনের সাথেই না তার সখ্যতা ছিল। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি, নুহ আলম লেনিন আরো অনেকে। চাইলে নিজের জন্য অনেক কিছু করতে পারতেন।

করেন নি। তদবিরে গিয়েছেন কিন্তু একটিও নিজের জন্য নয়। সব অপরের জন্য। তিনি মনে হয় কিছু নিতে আসেন নি। দিতে এসেছিলেন।

মুক্তি করে দেশ স্বাধীন করেছেন , এলাকায় কলেজ করেছেন অসংখ্য মানুষের চাকরি ব্যবসায় সহায়তা করেছেন এবং নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ হিসেবে। একবার দু বার মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু তা হয় নি। তার তো কোনো টাকা ছিল না। তাই দল তাকে মনোনয়ন দেন নি। তাতেও কোনো দুঃখ ছিল বলে কখনো শুনিনি।

সেই কাশেম ভাই চলে গেলেন নিরবে। এমনি ভাবে ভাল মানুষেরা একে একে চলে যান। যারা থাকেন তারা কি মনে রাখেন এই সব মানুষদের? কেউ হয়তো রাখেন কিন্তু অধিকাংমই রাখেন না। কারণ তারা তো নিতে আসেন না দিয়েই পরিতৃপ্ত। কাশেম ভাই, আপনাকে আমি কখনোই ভূলবো না।

রূপকথার রাজপুত্রের মতো আপনি থাকবেন আমার হৃদয় আলো করে। আপনার মতো মানুষ আগামীতে আরো জন্ম হোক এটিই আমার পরম চাওয়া। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.