মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকঃ বাংলার অবিস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা
বাংলাদেশেকে এবং এদেশের রাজনীতিকে জানতে হলে, বুঝতে হলে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে জানতে হয়। কেননা বাংলাদেশের অতীত মানেই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। উনিশ শতকের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ও সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন তিনি। প্রায় সাত দশকের মত সময় ধরে তিনি এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন।
এই দীর্ঘ সময়ে তিনি নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে স্বীয় আদর্শ- দর্শন অনুসারে অটল ছিলেন। এজন্য বার বার তাঁকে নানা বাধা-বিগ্ন অতিক্রম করে হয়েছে। কোথাও তিনি আপোষ করেননি। এদেশের ইতিহাস ও তাঁর জীবন আলাদা করা সম্ভব নয়। তিনি হলেন বাংলার অবিস্মরণীয় নেতা।
এ বাংলার মানুষ তাঁকে কখনো ভুলবে না।
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের জন্ম ১৮৭৩ সালে ২৬ অক্টোবর। বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে। পিতা কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং মাতা সাইদুন্নেসা খাতুন। তিনি পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান।
পড়াশুনার হাতেখড়ি পিতা-মাতার কাছে। তারপর গ্রাম্য পাঠশালায়। কাছে তিনি আরবি, ফার্সি এবং বাংলা ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করেন গৃহ শিক্ষকদের । ১৮৮১ সালে কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ তার সন্তাঙ্কে বরিশাল জেলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করেন।
ওই স্কুল থেকে ১৮৮৬ সালে ফজলুল হক অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পান।
১৮৮৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফজলুল হক তৎকালীন ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম হন। প্রবেশিকা পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য কলকাতায় যান। ১৮৯১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ওই কলেজ থেকে ১৮৯৩ সালে তিনি তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণীতে বি.এ. পাশ করেন। এরপর ওই কলেজে থেকে ১৮৯৪ সালে এম এস সি’তে (অংকে) প্রথম শ্রেণিতে অর্জন করেন।
পড়াশুনার পাশাপাশি ফজলুল হক খেলাধুলার প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। দাবা, হাডিডু, ফুটবল ও সাঁতারসহ বিভিন্ন খেলা পছন্দ করতেন। বরিশালে থাকা অবস্থায় তিনি শিল্প-সাহিত্য চর্চার সাথে যুক্ত ছিলেন। এ সময় তিনি ‘বালক’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়াও যুক্ত ছিলেন আরো কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকাতে।
এ কে ফজলুক হক এম এস সি পাশ করার পর খুরশিদ তালাত বেগমকে সহধর্মিনী করেন। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। খুরশিদ তালাত বেগমের অকালে মারা যান। এরপর তিনি জিনাতুন্নেসা বেগমকে সহধর্মিনী করেন। কিন্তু জিনাতুন্নেসাও নিঃসন্তান অবস্থায় বেশি দিন বাঁচেননি।
১৯৪৩ সালে ফজলুক হক মীরাটের এক মহিলাকে সহধর্মিনী করেন। তাঁদের সংসারে জন্ম নেন ফাইজুল হক। ফাইজুল হক ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাট প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি গত তিন বছর আগে মারা যান।
১৮৯৭ সালে তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বি এল পাশ করেন।
এরপর তিনি স্যার আশুতোষ মুখার্জির শিক্ষানবিশ হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে দুবছর শিখানবিশ হিসেবে কাজ করেন। ১৯০০ সালে তিনি নিজেই আইন ব্যবসা শুরু করেন। বাবার মৃত্যুর পর কলকাতা থেকে ১৯০১ সালে তিনি বরিশালের চলে আসেন। বরিশাল আদালতে ওকলতি শুরু করেন। ১৯০৩-০৪ সালে বরিশাল বার এসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এ সময়ই তিনি বরিশাল রাজচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর হরেন্দ্রনাথ মুখার্জির অনুরোধে ওই কলেজে অঙ্কশাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
১৯০৬ সালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন ঢাকা ও ময়মনসিংহ কাজ করার পর তিনি জামালপুর মহকুমার এস ডি ও হিসেবে নিযুক্ত হন। বঙ্গভঙ্গের কারণে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা শুরু হয়। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় জামালপুরে দাঙ্গা বন্ধ হয়।
সাধারণ মানুষের উপর ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর ও জমিদারদের আমানবিক আচরণের কারণে ১৯০৮ সালে তিনি সরকারী চাকুরী ছেড়ে দেন।
১৯১১ সালে ফজলুক হক কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। কমরেড মুজাফফর আহমেদের প্রস্তাবে ফজলুক হক নবযুগের প্রকাশনাতে সাহায্য করেন। নজরুলের আগুণঝরা লেখার কারণে ‘নবযুগ’ বেশী বেশী করে বিক্রি হতে শুরু করলো। এক পর্যায়ে ‘নবযুগ’ প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যেত।
কলকাতা হাইকোর্টের ইংরেজ বিচারপতি টিউনন ফজলুল হককে ডেকে নিয়ে ব্রিটিশবিরোধী লেখার জন্য হুশিয়ার করে দেন। কিন্তু ফজলুল হক ভয় না পেয়ে নজরুলকে বলেন, ‘আরো গরম লিখে যাও’। ব্রিটিশ সরকার ‘নবযুগ’ পত্রিকায় ব্রিটিশবিরোধী লেখার জন্য ওই পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করে।
১৯১২ সালে তিনি কলকাতায় কেন্দ্রিয় মুসলিম শিক্ষা সমিতি নামে একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এরপর তিনি বরিশাল পৌরসভার কমিশনার পদে নির্বাচন করে নির্বাচিত হন। ১৯১৩ সালে ফজলুক হক বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৪ সালে ঢাকায় আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রাঙ্গনে এক অবিস্মরণীয় ভাষণ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ। এ দিন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
এ সম্মেলনে ফজলুক হক প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯১৫ সালে পুনরায় ঢাকা বিভাগ থেকে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৩-১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কারমাইকেল ও টেইলার হোস্টেল স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯১৮ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯১৯ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। ১৯২০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ও খেলাফত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
১৯২২ সালে তিনি খুলনা উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন। ১৯২৪ সালে খুলনা অঞ্চল থকে তিনি পুনরায় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় বাংলার গভর্ণর লিটন ফজলুল হককে বাংলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
১৯২৪ সালের ১ আগস্ট ফজলুক হক মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেন। যুক্ত হন কৃষক রাজনীতি সাথে। সংগঠিত করেন কৃষকদের। নানা দাবিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
১৯২৯ সালেই নিখিল বঙ্গ প্রজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কলকাতায়।
ঢাকায় প্রজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৪ সালে। এই সম্মেলনে ফজলুক হক সর্বসম্মতিক্রমে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রের রূপরেখা নির্ধারণের জন্য বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার র্যা মজে ম্যাকডোনাল্ড একটি গোলটেবিল বৈঠক আহবান করেন। ১৯৩০-৩১ সালের প্রথম গোলটেবিল বৈঠকে ফজলুল হক বাংলা এবং পাঞ্জাবের মুসলমানদের জন্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধিত্ব দাবি করেন। তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচনের পক্ষে বক্তৃতা দেন।
১৯৩৫ সালে ফজলুক হক কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
১৯৩৭ সালের মার্চে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টি ৩৯ টি আসন ও মুসলীম লীগ ৩৮ টি আসন লাভ করে। এই নির্বাচনে মুসলিম লীগের সথে সমঝোতায় গিয়ে ফজলুক হক ১১ সদস্য বিশিষ্ট যুক্ত মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন। ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল ফজলুক হকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রী পরিষদ গভর্ণর এন্ডারসনের কাছে শপথ গ্রহণ করে। আইন পরিষদের স্পিকার ছিলেন স্যার আজিজুল হক ও ডেপুটি স্পিকার হলেন জালালউদ্দিন হাশমী।
বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি দরিদ্র কৃষকের উপরে কর ধার্য না করে সারা বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করেন। ‘বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ’ পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৩৮ সালের ১৮ আগস্ট বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধনী পাস হলে জমিদারদের লাগামহীন অত্যাচার চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৩৯ সালে মুসলমানদের জন্য শতকরা ৫০ ভাগ চাকুরি নির্দিষ্ট রাখার ব্যবস্থা করেন।
ওই বছর ‘চাষী খাতক আইন’এর সংশোধনী এনে ঋণ সালিশী বোর্ডকে শক্তিশালী করেন। কৃষি আধুনিকায়নের জন্য ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনার দৌলতপুরে কৃষি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। পাট চাষীদের নায্য মূল্য পাওয়ার লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে ‘পাট অধ্যাদেশ’ জারী করণে তিনিই বেশী ভূমিকা পালন করেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রতিও ব্যাপক গুরুত্ব প্রধান করেন।
১৯৪০ সালে ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলীম লীগের অধিবেশনে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের উপস্থাপক ছিলেন ফজলুক হক।
১৯৪১ সালের ১২ ডিসেম্বর আবুল কাশেম ফজলুল হক দ্বিতীয় বারের মত মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন। শরৎচন্দ্র বসু ও হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সঙ্গে প্রগতিশীল যুক্ত পার্টি গঠন করে তিনি সেই দলের নেতা হয়েছিলেন। ১৯৪৬ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে বরিশাল অঞ্চল ও খুলনার বাগেরহাট অঞ্চল থেকে প্রার্থী হয়ে তিনি নির্বাচিত হন। কিন্তু, দলীয় ভাবে পরাজিত হওয়ার কারণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রীসভা গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। এই নির্বাচনের পর ফজলুল হক মুসলিম লীগে যোগ দেন।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়ার পর তিনি ঢাকা হাইকোর্টে পুনরায় ওকালতি শুরু করেন। তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালে তিনি পূর্ব-পাকিস্তানের এটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ফজলুক হক সমর্থন দেন। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন।
১৯৫৩ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের সময় তার বাস ভবনে কৃষক-প্রজা পার্টির কর্মীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে দলের নাম থেকে প্রজা শব্দটি বাদ দিয়ে ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’ গঠন করা হয়। আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে এই পার্টির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফজলুক হক।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর এ. কে.ফজলুক হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে গঠিত হল যুক্তফ্রন্ট। ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠা সম্পাদক।
১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হয় ১৫ মে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ফজলুল হক। ১৯৫৫ সালের ৫ জুন পুনরায় গণপরিষদের নির্বাচন মাধ্যমে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়। মুসলিম লীগের চৌধুরী মোহাম্মদ আলী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন।
ফজলুক হক হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র গৃহীত হুয়। ২৩ মার্চ তা কার্যকরী হয়। এ সময় ফজলুক হক পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে চলে আসেন।
১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে গভর্ণরের পদ থেকে অপসারণ করে। তখন তাঁর হয়েছিলো ৮৫ বছর। এরপর তিনি আর রাজনীতিতে না জড়িয়ে বরং সুদীর্ঘ জীবন চলার ক্লান্ত দূর করার জন্য বিশ্রাম নেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মারা যান।
সম্পাদনাঃ শেখ রাফিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।