Mahmood Khan মুহাম্মদের (সঃ) কথা মানলে ,আমরা ১৪০০ বছর পিছিয়ে যাবো, আর খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ শতাব্দীর গ্রীকদের দেয়া গণতন্ত্র মেনে আমরা কোথায় চলে যাবো?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আমাদের সম্ভাব্য গন্তব্যস্থানগুলোর মৌলিক উপাদান গুলো একটু বিশ্লেষণ করি।
ইসলামি সভ্যতার মুল উপদান হচ্ছে আমরা মানুষেরা এক আল্লাহর বান্দা, এই পৃথিবীতে আমাদের কাজ হচ্ছে তার দেখানো পথে তাঁরই ইবাদত করা। ভেরি সিম্পল।
আর বিপরীতে রয়েছে আন-ইসলামিক সভ্যতা। পৃথিবীতে ইসলাম ছাড়া অন্য যত সভ্যতাই আছে, তা সে যে ভূখণ্ডেই , যে যুগেই , যে জাতির মাঝেই থাকুক না কেন, তাদের রূপ কিন্তু একই ।
একটা এলিট শ্রেণি থাকবে (শাসক এবং তাদের সহায়ক) । এবং সাধারণ জনগণ তাদের বানানো আইন কানুন মেনে চলবে। এলিট শ্রেণির স্বার্থ বিঘ্নিত না করে ,জীবনের সব ক্ষেত্রে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে।
হক একটাই , আর এর বিপরীতে আছে বাতিল। বাতিল অনেক রূপেই থাকে , কিন্তু তার চরিত্র এক।
বাতিল সমাজ ব্যবস্থার মুলে রয়েছে -
১। কোন নৈতিকবোধ না থাকা
২। অবাধ যৌনাচার।
যে গ্রিক সভ্যতাকে আধুনিকতার জন্মস্থান বলা হয় কথা বলে সেই গ্রিক সভ্যতা ছিল জাহেল সমাজ ব্যবস্তার চরম রূপ। সমকামিতা , শোষণ , নৈতিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত বাস্তবায়ন ।
আমাদের দেশেও প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে আমাদের ওই গ্রিকদের মতই আধুনিক বানানোর। ওদের কার্যক্রম ও তাঁর সুদূর প্রসারি ফল দেখুন -
১। সমকামিতার প্রচার এবং সমকামীদের সমাজের অবহেলিত শ্রেণি হিসেবে তুলে ধরে তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি তৈরি করা। বিজ্ঞানের নামে বিভিন্ন থিওরি তৈরি করে আমাদের বোঝান হচ্ছে যে সমকামিতা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ব্যপার।
২।
নারী দেহের অবাধ প্রদর্শন। নারী পুরুষের আকর্ষণের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে দুষ্প্রাপ্যতা।
আমাদের সমাজে এর ফর্মাল পোশাক দেখেন? পুরুষেরা পাঞ্জাবি পড়ে , সুট পড়ে , ফুল হাতা সার্ট পড়ে। পুরুষের মাথা আর হাত ব্যতীত সবই ঢাকা থাকে ।
আর মহিলারা? হাফ হাতা ব্লাউস, পিঠে আর বুকে বড় কাটা।
এরপর আবার পেটের প্রায়ই উম্মুক্ত। মেয়েরা স্কারট পড়ে , যা হাঁটু পর্যন্ত। এখন আবার নতুন ট্রেনড হচ্ছে হট প্যান্ট । যা আসলে কিছু না পড়ারই নামান্তর।
নারীদের এভাবে উম্মুক্ত করে দেয়ার প্রথম এফেক্ট হোল যে পুরুষেরা অনবরত উত্তেজনায় থাকবে এবং তাদের জীবনের লক্ষ্যই হয়ে যাবে এই উত্তেজনা প্রশমন।
তারা প্রেম/পরকীয়ার দিকে ধাবিত হবে। এবং অবাধে নারী সঙ্গের কারণে এক পর্যায়ে তারা এর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে সমকামিতায় প্রবেশ করবে।
৩। পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে দেয়া। একটা কচ্ছপের বাচ্চা , ডিম থেকে বের হয়েই সমুদ্রে চলে যায়।
মশার বাচ্চা জন্মেই জানে তাকে বেচে থাকবার জন্য কি করতে হবে। একটা বাঘের বাচ্চাকে কিছুদিন মা শিখায় কিভাবে শিকার ধরতে হয়। গরিলার বাচ্চাকে মা আরও বেশি সময় শিখায় ওদের সামাজিক নিয়ম ।
যে ইকো-সিস্টেমের যত উপরে , তার নতুন সদস্যকে সমাজের উপযুক্ত করে তুলতে ততই বেশি শিক্ষা দিতে হয়।
এই কারণেই জাহেলিয়াতের ফেরিওয়ালাদের পরিবারের প্রতি এত আক্রোশ।
কারন তারা জানে এই পরিবারগুলোকে ভেঙ্গে দিতে পারলেই একটা মানুষ কে আহসানুল খালেকিন(সৃষ্টির সেরা) থেকে আস-ফালাস সাফিলিন (নিম্ন থেকেও নিম্নতর ) এ নামিয়ে আনা সম্ভব।
আরবের জাহেল যুগ ,বর্তমান আমেরিকা, ইউরোপ, ভারত,রোমান, গ্রিক ,চিন , ইত্যাদি সভ্যতার মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। গায়ের রঙ আর ভাষা ব্যতীত, তাদের মাঝে কিন্তু তেমন কোন পার্থক্য নেই।
তাদের সবারই জীবনের মুল লক্ষ একটাই , এবং সেটা হল নগদ যা পাও মজা লুটে নাও।
- তারা সবাই অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত।
- তারা সবাই সমাজের/বিশ্বের একটা অংশ কে শোষণ করে ।
- তারা সবাই সমকামিতার দিকে ধাবিত, কেউ আগিয়ে কেউ পিছিয়ে ।
- ওরা বিয়েতে বিশ্বাস করেনা। ওরা চায় লিভিং টুগেদার।
- ওরা শিশু লালন করা বোঝা মনে করে ।
তাই ওরা কুকুর বিড়াল পালে।
- ওরা বাবা মা অকেজো হয়ে গেলে ওল্ড হোম পাঠায়।
- ওদের সবারই একটা নামকাওআস্তে ধর্ম আছে, যেটা মন্দির, প্যগডা আর গির্জার ভিতরেই থাকে। দুনিয়াবি জীবনে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন , অ্যাস লঙ অ্যাস এলিট শ্রেণির সমস্যা না হয়।
- ওরা শিশুদের হত্যা করে , কেউ অ্যাবরশান, কেউ ভ্রূণ হত্যা আর কেউ নবজাতককে বাথরুমে ফ্ল্যাশ করে।
আমাদের বলা হচ্ছে নারী পুরুষের সমান অধিকার দেয়া হবে। তখন নাকি পুরুষেরাও বাচ্চাদের দুগ্ধপান করাতে পারবে।
আমাদের এখন সিনেমায় দেখান হচ্ছে সমকামিতা ভাল জিনিশ । ওনারা নাটক বানাচ্ছেন লিভিং টুগেদারকে প্রমোট করে। বিজ্ঞাপনে দেখানো হচ্ছে বন্ধুই জীবনের সব।
আর এর বিপরীতে দেখান হয় , দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকেরা ধর্ষণ করে, খুন করে ইত্যাদি। ওরা ফেসবুক দিয়ে ইন্টারনেট চালায় । ওরা ব্যক ডেটেড।
আপনি যদি একটু গভীর ভাবে চিন্তা করেন , তাহলে বুঝবেন , ওরা সবাই কিন্তু একটা সিঙ্গেল এজেন্ডা বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করছে। সেটা হল আমাদের সমাজের ডি ইসলামাইযেশান।
কারণ ওরা জানে ইসলামের অনুপস্থিতই হল ওদের সভ্যতা প্রথম
রিকয়ারমেন্ট ।
শাদা চামড়া / কালো চামড়া / হিন্দু / বুদ্ধ/ কৃষ্টান / মুনাফিক / আমেরিকান/ ইউরোপিয়ান/ ইন্ডিয়ান , যে যাই হোক ওরা আসলে সবাই একটা সভ্যতাকেই রিপ্রেসেন্ট করে। আর সেটা হোল জাহেলিয়াত।
হক একটাই , এবং সেটা ইসলাম আর এর বিপরীতে সবই বাতিল এবং জাহেলিয়াত।
তবে ইসলাম এসেছে প্রবল পরাক্রমশালী সর্বশক্তিমান আল্লাহর পক্ষ থেকে।
ইসলামের জয় সুনিশ্চিত, আমরা কেউ থাকি বা না থাকি, মানি বা না মানি।
[61:8] তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
[61:9] তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।
আবু মুয়ায এর পোস্ট থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।