হৃদয়ের দু'পাট ঠেলে স্মৃতিরা ঝড় তোলে দুঃখক্রোধে।
-এই কথা শুন, আজ কোন ঝগড়া করবিনা।
-আরে ঝগড়া কি আমি একা করি নাকি?
-না একা করিস না, তবে তুই শুরু করিস।
-আমি শুরু করি মানে কি? আর তুই কিচ্ছু করিসনা তাইনা?
-আমি না করেছি নাকি? তবে ঝগড়ার শুরুটা তুই করিস।
-আচ্ছা! আমার সাথে আর কথা বলার দরকার নাই।
আমি যখন ঝগড়া শুরু করে দেই তাইলে আর কথা বলে কি হবে?
-আরে কথা বলতে হবেনা ঝগড়া কর।
-না
-কেন? তোর ঝগড়া আমার ভালো লাগেতো।
-আল্লাদ দেখাইস না। তুই থাক। আমি গেলাম।
- এই কথা.. কথা শুন..যাবিনা, গেলে কিন্তু খারাপ হবে।
-কি খারাপ হবে?
-বললামতো যাইসনা।
-কেনো যাবনা? আমার কাজ আছে। আমি যাই।
-এই কথা ...কথা... এই কথা.......
-হুম
- কি হলো, চুপ কেন?
-তো কি করবো?
- ঝগড়া কর।
-না।
-তাইলে চল প্রেম করি?
-তোর সাথে করব প্রেম? হুমম!
-যা যা করিস না। আমার সাথে প্রেম করার জন্য কত লাইন ধরে আছে। এই সুমি, রুমিকে ফোন দিতেছি আসার জন্য। তারপর হবে গান, কবিতা, আড্ডা, প্রেম হা হা হা।
-যা যা যাইচ্ছে কর আমার কি? আমিও আমার প্রিয় বন্ধুর সাথে সারা দিন কথা বলবো আড্ডা দিব। যাই।
-খবরদার কথা তা করিস না। মাথা ফাটাবো। এই তুই বন্ধুর সাথে সারাদিন আড্ডা দিস নাকি?
-নাহ দেই নাই।
তবে দেব।
-খবরদার!!! এই কথা শুন,,তুকে দেখলাম সেদিন ফেবুতে খুব আড্ডা দিতেছিস?
-হুমম দিয়েছি।
-ওহ। তো ওদের সাথে কেমন আড্ডা চলে?
-অনেককককক ভালো। কেন কি হয়েছে? তুই কি আমাকে সন্দেহ করিস? তুই কি আমাকে বিশ্বাস করিস না?
-বিশ্বাসের প্রশ্ন আসতেছে কেনো? এমনি বললাম।
তবে ব্যাপারটা আমার ভালো লাগেনি।
- আশ্চর্য্য এখানে খারাপ লাগার কি হলো?
-কিছু না।
-ঐ তুই যে কত জনের সাথে আড্ডা দিস কই আমি কি কিছু বলি নাকি?
-বলিস না কেন? তুই বলে দেখ আমি সব ছেড়ে দেব।
-না আমি চাইনা আমার জন্য তুই সব ছেড়ে বসে থাক। আমি তোকে ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি।
তাই তুই যতই সুমি, রুমির সাথে আড্ডা দেসনা কেন আমি কিছু বলব না। তুই এমন কিছু করবিনা যেটায় আমার খারাপ লাগবে এটা আমার বিশ্বাস।
- থাক তুই তোর বিশ্বাস নিয়ে। আমি এই ভাবে পারিনা, পারবো না।
বেশি ভালোবাসা থাকলে কেবল আমার মনে হয় তার হৃদয়ের এক ফোটা অনুভূতিও অন্য কেউকে দেব না।
এইটা অনেক বেশি কাজ করে। সকল ভালো লাগা খারাপ লাগাগুলো শুধুই আমার। তুকে বলে কি হবে? তুই বুঝবি না। তুই আমার মতো ভালোবাসলে বুঝতি।
-ওহ আমি বুঝবো না? আমি তোকে ভালোবাসি না? ওকে আমি যখন বুঝবো না, ভালোবাসি না তাইলে আর কথা বলে কি হবে?
- আচ্ছা আমি যাই।
তুই তোর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দে। বাই
-শব্দ শুন যাইস না। এই এইইইই শব্দ শুন। ওকে চলে গেছিস? যা তবে মনে রাখিস।
এক আকাশ অভিমানে শ্রাবণের মেঘগুলো শুধু অন্ধকারে ছেয়ে আছে।
তোকে ছাড়া এ জীবন যেন এক ধু ধু মরুভূমি খা খা করে বুকের অতলে। তোকে বোঝাতে পারবোনা তুই ছাড়া ভাল নেই এতটুকু.....
শব্দ তুই যাই বলে সাথে সাথে চলে যাস একবারও ফিরেও তাকাসনা যে কথা কি করতেছে দেখি। তোর কষ্টটাই তুই দেখিস একবার ভাবিসনা যে আমার কেমন লাগতেছে। আমি যানি তোর ভালোবাসা অনেক গভীর কিন্তু আমার ভালোবাসায় কি একটুও গভীরতা নেই?
তুই প্রকাশ করতে পারিস। মন খোলে চিৎকার করে বলতে পারিস অনেক কিছু।
আমি বুঝতে পারি তোর অনুভূতি। তুই বুঝিস না আমার অনুভূতি কারন আমি চিৎকার করে বলতে পারিনা। আমি পারিনা আমি কেন পারিনা? এসব বলে কি হবে? এসব আর নতুন কি? আমার কথা বাদ দে। শব্দ আমি শিকার করতেছি তুই খুব কষ্ট পাচ্ছিস। যাই বলে চলে গিয়ে তুইও অনেক কষ্ট পাস।
তুই যেমন চাস আমি তেমন পারিনা। তুই কষ্ট পাচ্ছিস তা দেখে আমার ভালো লাগেনা। তুর ধারনা আমার কোন কষ্ট হয়না। তুর সেই ধারনাই থাক ....................
তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি
তোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আরো বেশি গভীরে জড়াই,
যতোই তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই দূরে
ততোই তোমার হাতে বন্দি হয়ে পড়ি
তোমাকে এড়াতে গেলে এভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে যাই
এভাবেই সম্পূর্ণ আড়ষ্ট হয়ে পড়ি;
তোমাকে ছাড়াতে গেলে আরো ক্রমশ জড়িয়ে যাই আমি
আমার কিছুই আর করার থাকে না
তুমি এভাবেই বেঁধে ফেলো যদি দূরে যেতে চাই
যদি ডুবে যেতে চাই তুমি দুহাতে জাগাও।
এমন সাধ্য কী আছে তোমার চোখের সামান্য আড়াল হই,
দুই হাত দূরে যাই
যেখানেই যেতে চাই সেখানেই বিছিয়ে রেখেছো ডালপালা,
তোমাকে কি অতিক্রম করা কখনও সম্ভব
তুমি সমুদ্রের চেয়েও সমুদ্র
আকাশের চেয়েও আকাশ তুমি আমার ভেতরে জেগে আছো।
তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো বেশি
ভালোবেসে ফেলি,
তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই
যতোই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই
ততো মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে,
ততোই তোমার আমি হয়ে পড়ি ছায়ার মতন;
কোনোদিকে যাওয়ার আর একটুও জায়গা থাকে না
তুমিই জড়িয়ে রাখো তোমার কাঁটায়।
তোমাকে ছাড়তে গিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে আরো জড়িয়েছি
তোমাকে ভুলতে গিয়ে আরো ভালোবেসেছি
তোমাকে।
(মহাদেব সাহার কবিতা)
ছবি: নিজের তোলা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।