আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। সকলে সালাম নিবেন, এই শেষ জমানায় ইসলাম আজ মুনাফেকদের খপ্পরে। কিছু দিন থেকেই চিন্তা করছিলাম লংমার্চ কর্মসূচি কতটা ইসলাম সম্মত?
সামান্য ইসলামী জ্ঞান নিয়ে থৈ পাচ্ছিলাম না। কিছু পুস্তিকা হাতিয়ে যা যানতে পারলাম তা আরো ভয়াবহ। বিজাতীয়/বিধর্মীয় তিলক, চিহ্ন ধারন, আচার আচরন করা স্বম্পর্কে ইসলামে স্পস্ট নিষেধ আছে।
কিন্তু মুনাফেকরা ছলনায় মুসলমনদের দিয়ে তাই করিয়ে আসছে যা বেদাত বলে পরিচিত। তারই একটি এই লংমার্চ।
লংমার্চ বা অনুরূপ কোনো কর্মসূচীর নমুনা ইসলামের ইতিহাসে নেই (আমি খুঁজে পাইনি আপনারা খুঁজে দেখতে পারেন) বরং তা আছে চিনের কমিউনিস্ট বিপ্লবে ১৯৩৪-১৯৩৫ সালের ইতিহাসে [সূত্র]। কমিউনিস্টরা মূলত নাস্তিক বলেই আমরা সকলেই জানি। মুসলমানরা তাদের আচার পালন করবে তা ভাবাই যায় না।
কিন্তু কিছু বিভ্রান্ত মুসলমান এই ইহুদী নাসারা মুনাফেকদের খপ্পরে পরে বিদাত করছেন বলে আমার প্রথম আমার মনে হয়।
আমি আলেম নই, তাই কাউকে কিছু বলি নাই শুধু আল্লাহকে বলেছি, "আল্লাহ তুমিই স্বয়ং ইসলামের হেফাজতকরি, ইসলামকে তুমি হেফাজত কর। আর সকল মুমিন মুসলমন্দের জ্ঞান চক্ষু উন্মেচন করে দাও। যাতে তারা মুনাফেকদের চালাকি ধরতে পারে ও পাপাচার থেকে বিরত থাকতে পারে। "
আজকে পত্রিকায় চোখ আটকে গেল, ওলামারা বলছেন "লংমার্চ শিরক, হারাম ও বেদাতি কর্মসূচি"শুধু বলেই থেমে থাকেননিলংমার্চ কর্মসূচির প্রতি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন।
বলেছেন, "আপনারা যদি প্রকৃত আলেম হন, তাহলে লংমার্চ করার আগে এলেম দিয়ে আমাকে মোকাবিলা করুন। এ ব্যাপারে আমি আপনাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলাম। ' তিনি বলেন, 'বর্তমানে দেশে বিরাজমান হানাহানি, ফিতনা-ফাসাদের পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকা কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে মোটেই সমীচীন নয়।
১৩ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ নামক কর্মসূচি দিয়ে আপনি নিরীহ জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের আলোকে আমি প্রমাণ করে দেব, আপনাদের এ ধরনের লংমার্চ কর্মসূচি একটি শিরক, হারাম ও বেদাত কর্মসূচি।
এ কর্মসূচি প্রতিহত করা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। তাই কোনো হানাহানি, দলাদলি, মারামারি নয়, ১৩ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ নয়, আসুন আলোচনার টেবিলে। "
সূত্র
"পবিত্র কোরআনের আলোকে আমি প্রমাণ করে দেব, আপনাদের এ ধরনের লংমার্চ কর্মসূচি একটি শিরক, হারাম ও বেদাত কর্মসূচি। " মো. হায়দার আলী চৌধুরীর, হেফাজতে ইসলামের আমির এবং দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে করা চ্যালেঞ্জ তারা গ্রহন না করে এরিয়ে গেছেন। যা উচিৎ হয়নি।
উচিৎ ছিল মুসলমান সমাজকে স্বচ্ছ ধারনা দেয়া ঘোলা পানিতে মাছ শিকার ওলামাদের কাজ নয়।
আল্লাহ নিজেই যেখানে ইসলাম-কোরআন হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে আল্লাহর দায়িত্ব পালনের কথা তিনি ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। সুতরাং হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি ইসলাম ও কোরআন পরিপন্থী।
Click This Link
কাউকে ভুল ভাবে মুনাফেক বলাও ইসলাম সম্মত নয় বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সকলের ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।
আমিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।