আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামে সুদ হারাম

সুদ এর আরবি প্রতিশব্দ হলো রিবা। ইসলামী পরিভাষায় এটি একটি মারাত্মক অপরাধ। সুদ প্রথা হলো অর্থ বা পণ্য ধার দিয়ে অতিরিক্ত কিছু আদায় করা। একই জাতীয় দ্রব্য থেকে পরিমাণের অতিরিক্ত কিছু আদায় করা; যা শোষণের কৌশল। ইসলামে এ অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই।

কারণ এটি ব্যক্তি মানুষ ও সমাজকে নিঃস্ব করে দেয়। সুদ লাখ লাখ হাতের সম্পদকে এক হাতে পুঞ্জীভূত করার অপকৌশল। এর বিপরীতে আল্লাহ 'করযে হাসানা'কে জায়েজ করেছেন। 'করযে হাসানা' হলো- সম্পদশালী ব্যক্তি কোনো অসহায় ব্যক্তিকে কোনো টাকা বা সম্পদ প্রদান করবে এবং ওই ব্যক্তির সমস্যা সমাধানের পরে যখন সে স্বাবলম্বী হবে তখন দিয়ে দেবে। যদি প্রদানকারী ব্যক্তি তা দাবি করে, দাবি না করলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

তাই বলা যেতে পারে, সুদ একটি নিন্দনীয় কাজ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন শরিফে ইরশাদ করেন- যারা সুদ খায় তারা সেই ব্যক্তির ন্যায় দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ করেই পাগল করে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে বেচাকেনা তো সুদেরই মতো। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। যার কাছে তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে অতঃপর সে বিরত হয়েছে তার অতীতের কার্যকলাপ তো পেছনেই পড়ে গেছে এবং তার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আল্লাহর ইখতিয়ার।

আর যারা নির্দেশ পাওয়ার পরও এর পুনরাবৃত্তি করবে তারাই জাহান্নামি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা আল-বাকারা : ২৭৫)

মহান আল্লাহতায়ালা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বৃদ্ধি করেন। আর তিনি কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। (সূরা বাকারা : ১৭৬) অন্য এক আয়াতে মহান আল্লাহ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেতে নিষেধ করেছেন।

হে ঈমানদাররা! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খাওয়া ত্যাগ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, তবে তোমরা কল্যাণ লাভ করবে। আর সেই আগুনকে ভয় কর, যা অস্বীকারকারীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। (সূরা আল ইমরান : ১৩০)

সুদের ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন- তারা (ইয়াহুদি) যে সুদ গ্রহণ করত অথচ তা থেকে তাদের নিষেধ করা হয়েছিল এবং নিষেধ করা হয়েছিল তারা সে অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করা থেকে (কিন্তু অস্বীকারকারী বিরত হয়নি)। ফলে অস্বীকারকারীদের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি বেদনাদায়ক শাস্তি।

(সূরা আন্ নিসা : ১৬১)।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।