দেশকে ভালবাসি
ইসলামে ইবাদতের ধারণা এবং এর স্বরূপ যেমন ব্যাপক, গুনাহ কিংবা পাপের পরিধিও তেমন বিস্তৃত। হাতেগোনা কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে যেমন ইবাদত সীমাবদ্ধ নয়, তেমনি স্বল্পসংখ্যক অনুষ্ঠান পালন না করার মধ্যেও গুনাহ সীমিত নয়। আল্লাহতায়ালার জন্য নিবেদিত যে কোনো আমলের পাশাপাশি ইবাদতের সীমানার বিরাট একটি অংশ রয়েছে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক সূত্র। মূলত ইবাদত ও নাফরমানি এবং সওয়াব ও গুনাহর যে ব্যাপক ধারণা ও পরিচিতি ইসলাম আমাদের উপহার দিয়েছে, তাতেই মানবিকতাকে ইবাদত ও অমানবিকতাকে গুনাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কারণেই মানবিকতা পোষণ করার মানেই হল আল্লাহ তায়ালার নির্দেশের সামনে আত্মনিবেদন করা আর অমানবিকতা, জুলুম ও অন্যায়কে ধারণ করার মানেই হল আল্লাহর অবাধ্যতার পথে নিজেকে পরিচালিত করা
ইবাদত ও পূণ্যের, নাফরমানি ও পাপের এই জীবনাদর্শ ইসলামের চোখে বান্দার হক বা মানুষের অধিকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইসলামী জীবনাদর্শ ও জীবন বিধানের সমৃদ্ধ ভাণ্ডারে মানুষের প্রতি মানুষের অধিকার বিষয়ে, তাই স্বতন্ত্র একটি অধ্যায়ের উজ্জ্বল অবস্থান আমরা লক্ষ্য করি। সেই অধ্যায়ের নাম হল ‘হক্কুল ইবাদ’। হক্কুল ইবাদ ধ্বংস করে কিংবা উপেক্ষা করে আখেরাতে নাজাত ও কামিয়াবী অর্জন করা অসম্ভব। হক্কুল ইবাদের বিশাল ভুবনের মধ্য থেকে যদি শুধু মুসলমানের হক কিংবা অধিকার ও দায়িত্বের সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়, তাহলেও দেখা যাবে-আমাদের সামনে অধিকার ও দায়িত্বের একটি আকর্ষণীয় দিগন্ত উন্মোচিত হয়ে গেছে। রাসূলের আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এরশাদ-’নিশ্চয়ই আমি সদাচরণে পূর্ণতা দানের জন্য দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছি।
” অন্য এক হাদীসে রয়েছে-‘পূর্ণ মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার জিহবা ও হাত থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদে থাকে। ’ (বুখারী)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।