শুধু না-কেই জানা এবং না-এরই সাধনা। জাকাত জেগে উঠবে না-এর কঠোর সালাতে। আ’উজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম
র্থঃ: আমি আল্লাহর সহিত আশ্রয় লইতেছি(বা আশ্রয় সন্ধান করি) প্রস্তরাহত (বা বিচুর্নিত) শয়তান হইতে।
আলোচনাঃ
এই বাক্যটি কোরানে অতি গুরুত্বপুর্ন একটি স্বর্গীয় আদেশ বানীরুপে উল্লেখ করা হয়েছে((১৬ঃ৯৮) “জাইজা ক্বারা তাল কোরআন ফাসতাঈজ বিল্লাহ মিনাস্ শাইতানের রাজিম। “ র্থ্যাত্ অতএব,যখন কোরান পাঠ কর তাই তোমরা (তখন) প্রস্তরাহত শয়তান হইতে আল্লাহর সহিত আশ্রয় লও(বা আশ্রয় সন্ধান কর।
কোরানের এই নির্দেশের জবাবে আমরা উপরোক্ত রুপে বলিয়া থাকি ঃ “আমি আল্লাহর সহিত আশ্রয় সন্ধান করি প্রস্তরাহত শয়তান হতে”। অবশ্য সকল মাজহাবের লোকেরা ইহা একইরুপে পাঠ করেন না।
ব্যাখ্যাঃ
ইহা আশ্চর্্য একটি বাক্য যাহাতে কোরানের দর্শন এবং ধর্মের দর্শন সংক্ষেপে এক কথায় মুর্ত হয়ে উঠেছে। ইহা এত শক্তিশালী একটি ধন্বন্তরি বড়ির মতো যে,অন্তরকে রোগমুক্ত করে মুক্তির দেশে পৌছিয়ে দিতে ইহার আমলই যথেষ্ট।
এই দুনিয়ার জিন্দগী জাহান্নামেরই একটি জিন্দেগী।
এই জীবন বহু প্রকার দুঃখ-কষ্টে ভরপুর । দৈহিক,মানসিক,সামাজিক,র্থনৈতিক ইত্যাদি বহু প্রকার কষ্ট হতে উদ্ধার লাভের জন্য মানুষ আশ্রয় সন্ধান করে থাকে। কখনও ধন-সম্পদকে আশ্রয়রুপে গ্রহন করে,আবার কখনও বা স্বাস্থ্য,ক্ষমতা,মান-মর্্যাদা,আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি অনেক কিছুকেই র্থ্যা ত্ বস্তুগত আশ্রয়কে বিপক মুক্তির আশ্রয় মনে করে গ্রহন করে। কিন্তু ইহাই আক্ষেপ যে,আল্লাহ ব্যতীত বস্তুর যে কোন আশ্রয় তাকে এক জাহান্নাম হতে অন্য জাহান্নামে নিক্ষেপ করে থাকে। এরুপ আশ্রয় সন্ধানের ফলশ্রুতি এবং উপজাত(By Product) হলো বস্তুজগতের বৃদ্ধি বা তথাকথিত উন্নয়ন।
সকল প্রকার দুঃখ ভোগের একমাত্র কারন হলো শয়তান। এখন শয়তান কি?মানুষের আমিত্বই শয়তান। ‘আমি ও আমার’ এটাই শয়তানের কথা। আমিত্বের আশ্রয়ে থাকা জাহান্নাম। আল্লাহর আশ্রয়ে থাকা জান্নাত।
যে যত আমিত্ব প্রকাশ করে সে তত বেশী জাহান্নামের গভীরে বাস করে।
আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করলেই আল্লাহর আশ্রয় লাভ করা যাবে না। এইটার জন্য পুর্ব শর্ত হলো ‘আমি ও আমার’ পরিপুর্ন সমর্পন করা বা কোরবানী করা। এইরুপ সমর্পনের নামই ইসলাম ধর্ম। ইহা হতে সরে থাকলে তা হয় আমার ধর্ম,আল্লাহর নয়।
সমগ্র কোরানে উল্লেখিত জীবনদর্শন ‘তা-আউজ’ এর কথারই সুবিস্তার।
শয়তানকে প্রস্তরাহত বা বিচুর্নিত বলা হয়েছে কেন?বস্তুজগতের প্রতীক হলো পাথর বা মাটি। আমিত্ব বা অহম সব সময় বস্তুর আঘাত-প্রাপ্ত হয়ে মরে। আমিত্ব বিচুর্নিত বা খন্ডিত হয়ে থাকে-অখন্ড আহাদের সঙ্গে অখন্ড একক হয়ে বিরাজ করতে পারে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।