কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি।
দেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ‘দোয়েল’ নিয়ে দেশের সাধারণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের প্রত্যাশা অন্তহীন। প্রথম আলোর মত জাতীয় দৈনিক মিথ্যা অপপ্রচার আর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছাপিয়ে মানুষকে হতাশ করেছে কিছুদিন আগেই। দোয়েল নাকি বন্ধ হয়ে গেছে! ল্যাপটপ নিম্নমানের প্লাস্টিকে তৈরী, ব্যাটারী ভালো না,পার্টস পালটানো যায় না, নষ্ট হলে ঠিক করার উপায় নেই। লিনাক্সভিত্তিক তাই সাধারন মানুষ চালাতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি!
প্রকৃত সত্য হচ্ছে দোয়েলের বেসিক মডেল, এন্ড্রয়েড ওএস ভিত্তিক ট্যাব যার দাম ১০ হাজারটাকা ছিল সেটির উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
বাকি মডেলগুলোর উৎপাদন চলছে এবং সেগুলো ভালমতই কাজ করছে। দোয়েল এর বডি প্লাস্টিক নির্মিত তাই এটি হালকা এবং উল্লেখ্য বাংলাদেশের বেশিরভাগ ল্যাপটপই প্লাস্টিক নির্মিত। বলা হচ্ছে এটি নাকি চায়নিজ! চায়নিজ সিম্ফোনি,ম্যাক্সিমাস ইত্যাদি কাড়াকাড়ি করে কিনে তো ঠিকই চালাচ্ছে মানুষ। দোয়েল মূল যন্ত্রাংশের বেশ কিছু অংশ চায়না থেকেই আনানো হয়েছে সত্য তবে মানের দিক থেকে সেগুলো কোন অংশেই খারাপ নয়। লিনাক্স ভিত্তিক হওয়ায় ভাইরাস আক্রমনের ভয় নেই।
লিনাক্স ফ্রি বিধায় দোয়েলের দামটাও কম রাখা সম্ভব হচ্ছে। আর আমাদের দেশে আমরা বিদেশী ব্রান্ড এর যে ল্যাপটপগুলো ব্যাবহার করি সেগুলো তৃতীয় বা চতুর্থ ক্যাটেগরির। তাই প্রচুর ল্যাপটপ কেনার পর পরেই সার্ভিসিং এ পাঠাতে হচ্ছে। দোয়েল নিয়ে আরো যে বিভ্রান্তি এটি নষ্ট হলে ঠিক করা যাবে না এটিও প্রথম আলোর সম্পূর্ন বানোয়াট গল্প। ক্লোন ল্যাপটপ হওয়ায় দোয়েলে আপনি সহজেই অন্য যেকোন ব্রান্ড এর যন্ত্রাংশ সংযোজন করতে পারেবেন।
সুতরাং বিভ্রান্ত না হয়ে দেশী পণ্য কিনুন।
তথ্যসূত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।