ফলোআপ পোস্ট : ঈশানের ভাঙা হাড়ের কান্না এখনো শুনতে পাচ্ছি , এক অপরাধী ফিরে এলো ক্যাম্পাসে
এই সেই ভাঙা হাড়।
এই হলো হাড় ভাঙার আসামীদের একজন, সুজিত সাহা।
আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের জন্য ছাত্রছাত্রীদের নীরব অবস্হান ভিসি অফিসে।
নির্ঘুম আন্দোলন চলেছে।
এই হলো তার ফলাফল, বুয়েট থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সবাই খুশি, বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। পত্রপত্রিকা, ফেসবুকে, ব্লগে বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের বিজয়গাথা রচিত হয়েছে।
এর পরে কিন্তু আর কেউ কোনো খবর রাখে না।
কিন্তু তারপর কি হয়েছে?
অপরাধীরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপীল করেছিলো, কিন্তু কোনো শিক্ষকই তাদের প্রতি করুণা দেখায় নাই, তাই পূর্বের শাস্তি বহাল ছিলো।
অতঃপর তারা কোর্টে গেল।
কোর্টের অর্ডার নিয়ে আসামীদের একজন সুজিত সাহা আজকে ৯ ফ্রেব্রুয়ারী ২০১২ সকাল ১০.০০ থেকে দুপুর ১.০০ টা পর্যন্ত পুরাতন একাডেমিক ভবনে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিলো।
আজকে পরীক্ষা দিলে গেল, কাল থেকে বুক ফুলিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াবে, আর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বলবে, তোমরা আমার কচু করতে পেরেছো।
আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা কে দিবে?
## দয়া করে এমন কিছু কেউ বলবেন না, যাতে আদালত অবমাননা হয়। যেহেতু বিষয়টা বিচারাধীন, তাই সুজিতের শিক্ষা কর্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যেতে কোনো বাধা নাই আপাতত।
আর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অনুরোধ , ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে (আমি মনে প্রাণে চাই, এমনটা যাতে আর কখনো না হয়) খামাকা আর আন্দোলন করে কি করবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।