শারদশশীর অনন্ত অপেক্ষায় তোর চোখের সবুজ রঙ আকাশনীল হয়ে গেলে ঠিক ধরে নিস আমি হারিয়ে গেছি ঘাসেদের দলে...
মুঠো
মুঠো খুলে বিস্ময়ে দেখ
সেখানে তার যত আলোছায়া
যদি ভাব আরেকবার
মুঠো ভরা স্বপ্ন হাজার
তারাগুলো জ্বলে থাকে অনেক ক্লান্তি ভুলে
সেখানে লুকিয়ে থাকে তার কবিতা, শিহরণের প্রথম আঁচড়।
আকাশ আর পৃথিবী... একাকার।
নয় কি এ জয় ভালবাসার?
ভয়ার্ত রোদ্দুর
মৃত রোদের সমাধিতে এসেছি
বিবর্ণ কফিনে শায়িত বৃদ্ধ রোদ-শরীর
আপাতঃ ভয়ার্ত শিশু রোদেরা
এখন ছায়ামেঘ ঢাকা
রাতের সুকৌশল আড়ালে
আঁধার বেড়ে ওঠে শোকের পোশাকে
শুকনো রোদের বুনো গন্ধ লেপ্টে থাকে
এলোমেলো পাথুরে মাটিতে, আর
আধফোটা ঘাসফুল আমাদের নিয়ে যায়-
রোদের আঁচড়ে বিক্ষত হবার দিনগুলোতে
তীব্র তপ্ত দুপুর- দহনময় দিনগুলোতে
ভোরের লাল আকাশের দিনগুলোতে
কিছু না বলা কথার দিনগুলোতে
কিছু কথা না-হয় আড়ালই থাক তবে-
ভয়ার্ত রোদ্দুরকণাগুলোকে বাঁচতেই হবে!
নেই
স্তব্ধদুপুর
চিন্তাপুকুর
আকাশপাড়ি
নিঝুমবাড়ী
ইচ্ছেঘুড়ি
চাঁদের বুড়ী
সন্ধ্যাতারা
বাঁধনহারা
বুনোরং
স্বপ্নক্ষণ
ভুলে যাওয়া
অলস কথন
সবশেষে আমি নেই কোথাও।
ব্রোকেন স্ট্রিং
আমি আসব।
আবার এখানে আসব।
বার বার ফিরে আসব।
আমি জানব, কেউ একজন ছিল
যে নির্বিবাদে নিজেকে আড়াল করে
ঘণ্টার পর ঘন্টা সময় গোণে নি সমাপ্তির।
আমি জানব, কেউ একজন ছিল
যে আকাশটাকে নিজের করতে চেয়েছিল
অথচ নির্মম কর্কট তার ডানাই কেড়ে নিলো।
আমি জানব, কেউ একজন ছিল
যে একটু একটু করে জড়ো করেছিলো
পৃথিবীর সবটুকু অপেক্ষা
আর দীর্ঘতম রাতের নির্ঘুম অবকাশ।
নির্বাক প্রহরে...
তার ফেলে আসা পথের মুছে যাওয়া স্মৃতি
তার হাসিমাখা মুখের আড়ালে লুকিয়ে রাখা আকুতি
তার ছোট্ট জীবন- আমাদের প্রতিমুহূর্তে স্মরণ করিয়ে দিয়ে যাবে-
একজন কেউ সত্যিই এখানে ছিল...
যে কখনো হারতে শেখেনি।
ব্লগার ইসমাইল টিপু (১৯৮৯-২০১১) স্মরণে লেখা।
মোটামুটি সবগুলোই পুরনো লেখা। আজকাল লিখতে ইচ্ছে করে না। লেখার ইচ্ছেটা ক্যানো যেন হারিয়ে যাচ্ছে। আগের মত আগ্রহ নিয়ে আর বসা হয়না।
তবুও কবিতা? হয়তো! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।