১। নিজের ইচ্ছামতো, অনুমান করে, আত্মীয় বা পড়শির (যাঁরা চিকিৎসক নন) পরামর্শ কিংবা দোকানির দেওয়া ওষুধ সেবন করবেন না।
২। রোগ নির্ণয়ের আগেই উপসর্গের শুরুতে ওষুধ সেবন করবেন না।
৩।
সর্দি-কাশিতে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ট্যাবলেট, সিরাপ বা কাশির সিরাপের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। তবু সামান্য ভালোর জন্য অনেকেই টানা কয়েক দিন অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করে থাকে, যা ঠিক নয়।
৪। অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও নেশাজাত-এ তিন ধরনের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কিনে সেবন করবে না।
৫।
অসুখ হলেই সাধারণ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রবণতা বাদ দিতে হবে। কেননা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও নানা রকম পরীক্ষার জন্য বেশ অর্থের প্রয়োজন হয়। এসব এড়াতে অনেকেই স্বনির্বাচিত ওষুধ ব্যবহার করে থাকে।
৬। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যালিডাক্সিক এসিড, সিপ্রোফ্লক্সাসিলিন, কিশোর-বয়সীদের ক্ষেত্রে টেট্রাসাইক্লিন খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
৭। পেপটিক আলসারে অ্যাসপিরিন, কিডনির অসুবিধায় সালফার-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করা উত্তম।
৮। একসঙ্গে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করা ও নির্ধারিত বিরতি অর্থাৎ ছয় বা আট ঘণ্টা পর অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
ভরাপেটে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না, খাওয়ার আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পর খাওয়া অধিক কার্যকর।
৯। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অর্থাৎ পুরো কোর্সটি সম্পূর্ণ খাবেন। কিছুটা ভালো হওয়ার পর অ্যান্টিবায়োটিক বাদ দেবেন না, এতেও ওষুধটি পরে আর শরীরে কাজ করবে না।
১০।
ওষুধ চলাকালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন শরীরে লাল দাগ বা দানা, চুলকানি, চামড়ায় ফুস্কুড়ি দেখা দিলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওই ওষুধটির নাম মনে রাখবেন, যাতে পরে আপনি চিকিৎসককে বলতে পারেন।
১১। অ্যাজমা বা হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের অসুখসহ দীর্ঘমেয়াদি রোগে স্টেরয়েড তাড়াতাড়ি উপশম এনে দিলেও শরীরের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, অন্য ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ সেবন করবেন না। স্টেরয়েডযুক্ত চোখের ড্রপ, ত্বকের মলমও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না।
১২। সর্দিজ্বর, গা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও শিশুদের বয়স অনুযায়ী সাসপেনশন দেওয়া যেতে পারে। দু-তিন দিনে অবস্থার পরিবর্তন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১৩। অ্যাসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক খালিপেটে খাবেন না।
১৪। অ্যান্টিহিস্টামিন, ভিটামিন, আয়রন অপ্রয়োজনে খাবেন না।
১৫।
পুড়ে গেলে মলম না লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলিযুক্ত গজ লাগাতে পারেন। জায়গাটি না ঢেকে বাতাস চলাচলের জন্য খোলা রাখুন।
১৬। মচকে গেলে বা ব্যথা পেলে প্রথমে ঠান্ডা পানি দেবেন, পরে গরম সেঁক দিতে পারেন। ব্যথার মলম দেওয়ার দরকার নেই।
ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ইনজেকশন, শরীর দুর্বল লাগলে অযথা ভিটামিন-জাতীয় ইনজেকশন নেবেন না।
১৭। শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ একবার তৈরির পর খাওয়া শেষে অবশিষ্ট অংশ সংরক্ষণ করবেন না।
১৮। নাক দিয়ে পানি পড়লেই নাকের ড্রপ ব্যবহার করবেন না।
গরমপানিতে সামান্য একটু মেনথল দিয়ে ভাপ নিলে উপকার পাবেন।
১৯। গলা খুসখুস করলে অ্যান্টিহিস্টামিন না খেয়ে গরমপানির গড়গড়া করলে উপকার পাবেন।
২০। বাসার সব ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।