সময় তুমি একটু দাঁড়াও!!!!!!!
কবিরাজের কাছ থেকে আমাশয়ের ওষুধ এনে খেয়েছিলেন হাবিবুর রহমান (২৫)। খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। ওষুধের বিষক্রিয়ায় হাবিব মারা যান বলে অভিযোগ করে তাঁর স্বজনেরা। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে কবিরাজ নিজেই ওই ওষুধ খান। এতে অসুস্থ হয়ে তাঁরও মৃত্যু ঘটে।
গত শুক্রবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তাড়াশের দেমীগ্রাম ইউনিয়নের নারা-তেঘুরি গ্রামের হাবিবুর রহমান আমাশয় নিরাময়ে পাশের বড়মাঝ-দক্ষিণা গ্রামের কবিরাজ ময়দান আলীর (৪৫) কাছ থেকে হাতে তৈরি ওষুধ নিয়ে আসেন। শুক্রবার দুপুরে ওষুধ সেবন করার পর তাঁর প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হয়। তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাবিবের স্ত্রী সাবিনা (২০) বলেন, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে আমাশয়ে ভুগছিলেন। অনেক চিকিত্সা করিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কবিরাজি চিকিত্সায় সুস্থ হতে পারেন—এমন বিশ্বাস নিয়ে তিনি ময়দান আলীর কাছে যান। তাঁর দেওয়া ওষুধ খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হাবিবের মৃত্যুর পর তাঁর স্বজনেরা গিয়ে ময়দান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁর ওষুধের বিষক্রিয়ায় হাবিবের মৃত্যু হয়েছে।
ময়দান আলী তা মেনে নেননি। ওষুধে যে বিষ নেই, তা প্রমাণ করতে নিজেই ওই ওষুধ সেবন করেন। এতে তিনিও প্রচণ্ড পেটব্যথায় আক্রান্ত হন। তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিত্সাধীন অবস্থায় রাত নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেসুর রহমান বলেন, ওষুধের বিষক্রিয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।