সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
মহাজোট সরকারের বর্তমান অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন দক্ষ ও বিচক্ষন অর্থমন্ত্রী এ কথা সর্বজন বিদিত। অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিচক্ষণতা ও গভীর প্রজ্ঞা প্রতিভাত হয়েছে আমাদের দেশের বাজেট প্রণয়েনে। তবে বর্তমানে তাঁর বয়স সেই প্রজ্ঞা ও বিচক্ষনতা কিছুটা হেলেও হ্রাস করে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এটা স্বাভাবিক; এই স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। প্রাকৃতিক ভাবেই জীবনের প্রতিটি ধাপের প্রথম পর্যায়ে প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার প্রমান দেওয়া সক্ষম হলেও বয়সটা একটা নির্দ্দিষ্ট গন্ডি পেরুলে সেই জ্ঞান ও বিচক্ষনতা, বুদ্ধি বিবেচনা হ্রাস পেতে থাকে।
আর এ কারণেই জীবনের একটা সময়ে আসে অবসর নেবার সময়। আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বর্তমান বয়সটা এখন সেই পর্যায়ে উপনিত হয়েছে। তাঁর বর্তমান বয়স অবসর নেবার বয়স। এ বয়সে ছেলে মেয়েই শুধু নয় নাতি,পুতি নিয়ে অখন্ড অবসরে যাবার কথা। কিন্তু অনিবার্য কারণ অখবা বাধ্য হয়ে তাঁকে তাঁর দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
হয়তো জোর করেই তাঁকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে তাঁর কাজে মাঝে মধ্যেই ভুল ত্রুটি, অসংলগ্ন কথা বার্তা তাঁর অগোচরে, অনিচ্ছায় প্রকাশ হয়ে পড়ছে যা বোদ্ধাজনদের বিব্রত করছে। ইতি পূর্বে তিনি, "সরকার গাধা নয় !" মন্তব্য করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ছিলেন। বিস্তারিত এখানেঃ
Click This Link
গতকাল বুধবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, " সংবাদপত্র ও সুশীল সমাজ অর্থনীতিকে সংকটে ফেলছে" উক্ত সভায় তিনি আরো বলেছেন,
১। সরকার খুব বেশি ঋণ নিচ্ছে, কথাটা ঠিক নয়
২।
নানা বক্তব্য দিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, সংবাদপত্র ও সুশীল সমাজ দেশের অর্থনীতিকে সংকটে ফেলছে। অর্থনীতি সংকটে রয়েছে এমন কথা বলে অহেতুক আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং এভাবে দেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। অবশ্য এর একদিন আগেই সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিতে কালো ছায়া রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে দেশের অর্থনীতিতে তেমন কোনো সংকট নেই। সরকার খুব বেশি ঋণ নিচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।
তবে জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। বেশি আশা করবেন না।
পাদটিকাঃ "সংবাদপত্র ও সুশীল সমাজ অর্থনীতিকে সংকটে ফেলছে" দূর্মুখেরা বলেন, এটা মানীয় অর্থমন্ত্রীর বয়স জনিত সমস্যার কারনে বেফাঁস কথা। এ বয়সে এমন কথা বলাটাই স্বাভাবিক। তবে বোদ্ধারা তার এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, কারণ তিনি নিজেও সুশীল সমাজের একজন গর্বিত অংশিদার।
নিজের সম্পর্কে এমন কঠিন সমালোচনা করতে পারার মত সৎসাহস অনেকেরই থাকেনা। তিঁনি পেরেছেন, আর এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। সবাই যদি তাঁর মতো এমন কড়া সমালোচনা করার সাহস দেখাতে পারতো তা হলে দেশের বর্তমান অবস্থা অন্যরকম হতে পারতো, আর সরকারে কোন গাধা থাকতো না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।