আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্রঃ
'রংপুর বার্তাবহ' পূর্ববঙ্গে (বাংলাদেশ) প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র ৷১৮৪৭ সালের আগষ্ট মাসে রংপুরের কুণ্ডি পরগণার জমিদার কালীচন্দ্র রায় চৌধুরীর উদ্যোগে এবং আর্থিক সহায়তায় পত্রিকাটির প্রকাশ শুরু হয় ৷ গুরুচরণ রায় এই মফঃস্বল সংবাদপত্রটির প্রথম সম্পাদক ৷ স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্রের প্রথম সম্পাদক ৷ প্রায় এক দশক পর ১৮৫৬ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রথম সাপ্তাহিক 'ঢাকা নিউজ' প্রকাশিত হয় ৷১৮৬০ সালের এপ্রিলে কাকিনীয়ার জমিদার শম্ভুচন্দ্র রায় চৌধুরীর উদ্যোগে ও আর্থিক সহায়তায় এবং মধুসুদন ভট্টাচার্য'র সম্পাদনায় রংপুর থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত দ্বিতীয় সংবাদপত্র 'রংপুর দিকপ্রকাশ' ৷১৮৬১ সালে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদনায় ঢাকা থেকে সাপ্তাহিক 'ঢাকা প্রকাশ' প্রকাশিত হয় ৷পত্রিকাটি প্রতি বৃহস্পতিবার বাবুবাজারের 'বাঙ্গলা যন্ত্র' থেকে আট পৃষ্টার ২৫০ কপি প্রকাশিত হতো ৷কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ১৮৩৪ সালে খুলনা জেলার সেনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ৷তিনি একজন বিশিষ্ট কবি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন ৷'ঢাকা প্রকাশ' ছেড়ে তিনি ১৮৬৫ সালে 'বিজ্ঞাপনী' নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় যোগ দেন ৷দেড় বছর তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর পুনরায় 'ঢাকা প্রকাশ' সম্পাদনায় ফিরে আসেন ৷মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এক পর্যায়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হন ৷১৮৭৪ সালে সুস্থ হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার যশোর জেলা স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন ৷১৮৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে চাকরি করেন ৷১৮৮৬ সালে তিনি সংস্কৃত বাংলা ভাষার মাসিক 'বৈভাষিকী' সম্পাদনা করেন ৷১৮৬০ সালে ঢাকায় 'বাঙ্গলা যন্ত্র' ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হলে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদনায় মাসিক'‘মনোরঞ্জিকা' ও 'কবিতা কুসুমাবলী' প্রকাশিত হয় ৷১৯৫৯ সালের ১২ এপ্রিলের সংখ্যাটি ছিল 'ঢাকা প্রকাশ'-এর শেষ সংখ্যা; যেটি সম্পাদনা করেছিলেন আবদুর রশিদ খান ৷শেষ সংখ্যাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে ৷ষাটের দশকে বন্ধ হয়ে যাওয়া 'ঢাকা প্রকাশ'-এর পুরাতন সংখ্যাগুলোকে সমকালীন জীবন ও জনগণের অসামান্য দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয় ৷যা শুধু বর্তমানের নয় ভবিষ্যতের গবেষক ও পাঠকদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে বাধ্য ৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।