........... ছোটবেলায় যখন ফেলুদার বই পড়তাম তখন মনে হতো ফেলুদার কাহিনীগুলো সব সত্যি। সেসময় খুব ইচ্ছে হতো কোলকাতার বালিগন্জের রজনী সেন রোডের বাসায় গিয়ে ফেলুদার সাথে দেখা করতে, ছোটবেলার একশান হিরো ফেলুদাকে নিয়ে গুণে গুণে সাতটি চলচ্চিত্রের সংক্ষিপ্ত বর্ননা
সত্যজিৎ রায় নিজেই দু'টি চলচ্চিত্র নিমার্ণ করেন-সোনার কেল্লা (১৯৭৪) আর জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮); দুটো চলচ্চিত্রেই ফেলুদার ভূমিকায় ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তোপসের ভূমিকায় ছিল সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী আর সন্তোষ দত্ত ছিলেন জটায়ুর ভূমিকায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যথার্থই ফেলুদার চরিত্র রূপায়ণ করেছিলেন; এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই। সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী আর সন্তোষ দত্তের অভিনয়ও আমার কাছে প্রশ্নাতীত মনে হয়েছে।
সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় ফেলু মিত্তিরকে নিয়ে আরও পাঁচটি চলচ্চিত্র নিমার্ণ করেন-বাক্স রহস্য (২০০১), বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (২০০৩), কৈলাসে কেলেঙ্কারী (২০০৭), টিনটোরেটর যীশু (২০০৮) এবং গোরস্থানে সাবধান (২০১০)।
বাক্স রহস্য (২০০১) টেলিছবি হলেও বাকিগুলো সবই বড় পর্দার চলচ্চিত্র। এই পাঁচটি চলচ্চিত্রেই ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। সব্যসাচী চক্রবর্তী ফেলুদার চরিত্রে খুব সাবলীল অভিনয় করলেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এখনো আমার কাছে আদর্শ ফেলুদা। বাক্স রহস্য (২০০১)-এ তোপসের ভূমিকায় ছিল শাশ্বত চ্যাটার্জী আর জটায়ুর ভূমিকায় ছিলেন রবি ঘোষ। রবি ঘোষ জটায়ুর চরিত্রে অভিনয়ে উৎরে গেলেও তোপসের চরিত্রে শাশ্বত চ্যাটার্জীর কাতু-কাতু অভিনয় প্রশ্নবিদ্ধ।
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (২০০৩), কৈলাসে কেলেঙ্কারী (২০০৭) এবং টিনটোরেটর যীশু (২০০৮) এই তিনটি চলচ্চিত্রে তোপসের ভূমিকায় ছিল পরমব্রত চ্যাটার্জী আর জটায়ুর ভূমিকায় বিভু ভট্টাচার্য। পরমব্রত চ্যাটার্জী-বিভু ভটাচার্যের অভিনয় বেশ সাবলীল হলেও সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী আর সন্তোষ দত্ত এখনো কিংবদন্তী। গোরস্থানে সাবধান (২০১০)-এ জটায়ুর ভূমিকায় বিভু ভট্টাচার্য অভিনয় করেন।
গোরস্থানে সাবধান (২০১০)-এ তোপসের ভূমিকায় অভিনয় করে সাহেব ভট্টাচার্য। তোপসের চরিত্র রূপায়ণকারীদের তুলনা করলে সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী, পরমব্রত চ্যাটার্জী, শাশ্বত চ্যাটার্জী আর সাহেব ভট্টাচার্যের মধ্যে সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জীর অভিনয় অসাধারণ।
তবে, এটা স্বীকার করতেই হয় যে, ফেলুদার উপর তৈরী করা সাতটি চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটিই বাংলা চলচ্চিত্রের সম্পদ।
সোনার কেল্লা (১৯৭৪)
পরিচালক: সত্যজিৎ রায়
কাহিনী সংক্ষেপ:
সুধীর ধরের ছয় বছরের ছেলে "জাতিস্মর" মুকুলকে কেন্দ্র করে এর কাহিনী গড়ে উঠে। মুকুল পূর্বজন্মের স্মৃতি থেকে সোনার কেল্লার ছবি এঁকে মা-বাবাকে দেখায়। প্যারাসাইকলজিস্ট ডক্টর হাজরা মুকুলকে পরীক্ষা করে মুকুলের সঙ্গে রাজস্থানে সোনার কেল্লার খোঁজে যান। এদিকে বর্মন আর বোস নামের দুজন দুষ্কৃতকারী মুকুল পূর্বজন্মের স্মৃতি ব্যবহার করে সোনার কেল্লার গুপ্তধনের খোঁজ বের করতে চায়।
ফেলু মিত্তিরের দায়িত্ব পড়ে মুকুলকে দেখভাল করার। রোমাঞ্চকর পরিণতির দিকে এগোয় কাহিনী......
জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮)
পরিচালক: সত্যজিৎ রায়
কাহিনী সংক্ষেপ:
মূল্যবান গণেশ মূর্তির চুরিকে কেন্দ্র করে কাহিনী গড়ে উঠে। মূল্যবান মূর্তির চোরাকারবারীর ব্যবসায়ী ভয়ংকর মগনলাল মেঘরাজের মুখোমুখি হতে হয় ফেলুদাকে.....
বাকি গুলো আগামী পর্বে...............
উৎসর্গ করলাম আমার খুবই প্রিয় একজন ব্লগার ও কলেজ জীবনের বন্ধু উদ্ভটফাহাদ কে................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।